ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

কিশোরগঞ্জে কড়া পাহারার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১১ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
কিশোরগঞ্জে কড়া পাহারার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর
শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়ায় প্রতিমা ভাঙচুর। ছবি: খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বত্রিশ এলাকার শ্রীশ্রী জিউর আখড়ায় দুর্গাপূজার প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভোরে বড় বাজার মণিপুরঘাট রোডে অবস্থিত এই আখড়ায় প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের এই আখড়ায় প্রথমবারের মতো দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। রাতে নিরাপত্তার কারণে পাহারায় ছিলেন স্থানীয় গোপীনাথ সংঘের ছেলেরা। রাত চারটা পর্যন্ত সংগঠনের পাঁচ সদস্য জেগে ছিলেন। এরপর থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে দুর্বৃত্তরা প্রতিমা ভাঙচুর করে। 

নিরাপত্তার স্বার্থে পূজা উপলক্ষে মন্দিরে সিসি ক্যামেরা গতকাল বুধবার লাগানোর কথা থাকলেও বৃষ্টির জন্য তা লাগানো হয়নি।

এ ছাড়াও সনাতনীদের ধর্মীয় উপসনালয়গুলোতে নিরাপত্তার জন্য গত দুই মাস ধরে পাহারা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।

এলাকার স্থানীয় ও আখড়ার লোকজন খবরের কাগজকে বলেন, পূজার বাকি মাত্র সাত দিন। ৫ আগস্টের পর থেকে কিশোরগঞ্জে রাতে হিন্দু-মুসলিম মিলে শহরের মন্দির, আখড়াগুলো পাহারা দেওয়া হয়। দিনে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন পাহারা দেয়। সারারাত বৃষ্টিতে প্রতিমা পাহারা দিলেও ভোরে কে বা কারা ভাঙচুর করে গেছে তা আমরা জানতে পারিনি।

এলাকাবাসীসহ গোপীনাথ মন্দির পূজা উদযাপন কমিটি প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের কাছে এর বিচার দাবি করেছেন।

গোপীনাথ সংঘের সদস্য অপু কান্তি রায় খবরের কাগজকে বলেন, চারটা পর্যন্ত আমি মন্দির পাহারায় ছিলাম। বৃষ্টি নামার পর ভোরে ঘুমিয়ে পড়ি। রচনাঘরে আমরা পাঁচজন ঘুমিয়েছিলাম। এরপর সকালে ঘুম থেকে উঠে পিন্টু সাহা দেখতে পায় মূর্তি ভাঙা। এরপর ফোন দিয়ে জানালে মন্দিরে সবাই ছুটে আসেন।

গোপীনাথ সংঘের সহসভাপতি সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা মর্মাহত। আমাদের এলাকায় এই ঘটনা কখনো ঘটেনি। পূজা করতে দূরে যেতে হয় বলে এলাকায় প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে। সবার আনন্দ মাটি হয়ে গেছে এ ঘটনায়। প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি।

শ্রীশ্রী গোপীনাথ জিউর আখড়ার পুরোহিত প্রবাল গোঁসাই বলেন, মন্দিরের পাশের ঘরের নিরঞ্জন আমাকে ভোর পাঁচটার সময় কল দিয়ে জানায় যে মন্দিরের মূর্তি ভাঙচুর করা হয়েছে। আমার ৮৫ বছর বয়সে কিশোরগঞ্জ শহরে কোনোদিনও মূর্তি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। তদন্ত অনুযায়ী অপরাধীর শাস্তি চাই।

গোপীনাথ সংঘ ও গোপীনাথ মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সজীব কুমার সাহা বলেন, মন্দিরে কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। প্রতিদিন পাহারায় ২০ থেকে ৫০ জনের টিম থাকে। গতকাল পাঁচজন এই মন্দিরে প্রতিমা পাহারা দিয়েছে। বৃষ্টির কারণে এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে গিয়েছিল। প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে এসব করা হয়েছে। আমরা কাউকেই সন্দেহ করছি না বা এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি কারা মূর্তি ভাঙচুর করেছে। আমরা শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাই দুপুর ১২টার পর প্রতিবাদ মিছিলের উদ্যোগ নিয়েছি। 

গোপীনাথ সংঘ ও গোপীনাথ মন্দির পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার বলেন, প্রথমবারের মতো আমরা এলাকাবাসী মিলে পূজার আয়োজন করেছি। আমদের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এর আগে কোনোদিন এমন ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। এই অসাম্প্রদায়িক শহরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা যারা করার চেষ্টা করছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা পুলিশ প্রশাসন ও বর্তমান সরকারের কাছে বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি আমরা এই দেশের নাগরিক। তা হলে কেন আমার মন্দির পাহারা দিতে হয়।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী বলেন, আমরা তদন্ত করছি। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি বসেছি। দুষ্কৃতকারী যেই হোক না কেন, আমরা আইনের আওতায় আনব।

তাসলিমা আক্তার/অমিয়/

নীলফামারীতে নদী থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ  উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম
নীলফামারীতে নদী থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ  উদ্ধার, আটক ১
ছবি : খবরের কাগজ

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার নদী থেকে খালেদ বিন লিশাত ইসলাম মুশা (২২) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের চাড়াল কাটা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় রব্বানী নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
  
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম। 

লিশাত পাকার মাথা সফি মিয়াপাড়া এলাকার মবেদুল হকের ছেলে ও কিশোরগঞ্জ বিএম কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকালে নিতাই ইউনিয়নের চাড়াল কাটা নদী দিয়ে চুরি ফেরিওয়ালারা নদী পার হয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময়ে তারা মরদেহ পানিতে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। স্থানীয়রা তাদের চিৎকার শুনে ছুটে এসে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। 

ওয়ালি সুমন/জোবাইদা/

বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গাছের সঙ্গে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মেঝেরা গাওলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দির প্রাইভেট কারের চালক তারেক এবং একই উপজেলার বাসিন্দা রিয়াদ। 

এ ছাড়া মুরাদনগর উপজেলার হাবিবুর রহমান, দাউদকান্দি উপজেলার রাসেল এবং তিতাস উপজেলার সোরাব হোসেন আহত হয়েছেন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রিফাত মাহামুদ/মেহেদী/অমিয়/

অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহিত

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকা থেকে অপহৃত সাত বছরের শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০ ব্যাটালিয়ন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে ফেনীর সদর এলাকায় র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারসহ জড়িতকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার জানান, মৃত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাজিয়া আক্তার তার ওই শিশু কন্যাসহ খোলামোড়া এলাকায় বসবাস করেন। শিশু জান্নাত সেখানকার খাতুনে জান্নাত মাদ্রাসায় প্লে গ্রুপে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার সময় অপহরণের শিকার হয় শিশুটি। নিখোঁজ হিসেবে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি (গ্রেপ্তারকৃত) জান্নাতের মাকে ফোন দিয়ে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর তাৎক্ষণিক বিকাশে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন সাজিয়া। এর পরও টাকার জন্য চাপ দিয়ে অপহৃত জান্নাতকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন বিল্লাল। উপায় না দেখে ভুক্তভোগী মা সাজিয়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা তাপস আরও জানান, এ মামলার প্রেক্ষাপটে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। চট্টগ্রামের র‌্যাব-৭ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ফেনীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অপহরণকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে অপহৃত শিশুকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল শিশুটিকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার
অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে পরিচালিত অভিযানে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

তবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

এডিআইজি বলেন, বিকেলে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে অপরাধের উদ্দেশ্যে আরসার কতিপয় দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ অবস্থান করছে- এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। 

পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি হ্যান্ডগ্রেনেড, একটি দেশীয় বন্দুক ও একটি চাইনিজ রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। 

উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।

 

মুহিববুল্লাহ/নাইমুর/অমিয়/

গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় একদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ও সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক-ভ্যান সংঘর্ষে ঝরনা বেগম (৪৫), তার ছেলে জিহাদ মিয়া (২৪) এবং ভ্যানচালক খালেক মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও এক ভ্যানযাত্রী দুলু মিয়া (৩০) আহত হয়েছেন।  

এ ছাড়া সাদুল্লাপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সুফিয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ঝরনা বেগম দরবস্ত ইউনিয়নের হরিপুর বগুলাগাড়ী গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং সুফিয়া বেগম চন্ডিপুর গ্রামের বাবু মণ্ডলের স্ত্রী। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
  
পুলিশ জানায়, ঝরনা বেগমসহ চার যাত্রী নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে ভ্যানের এক্সেল ভেঙে যাত্রীরা পড়ে গেলে একটি লরি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঝরনা বেগম। পরে লোকজন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতির কারণে তাদের বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদ ও খালেক মিয়া মারা যান।

অন্যদিকে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সুফিয়া বেগম। 

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে দুইটি ঘটনার মামলাই প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রফিক খন্দকার/মেহেদী/অমিয়/