ঢাকা ২৩ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

বাঁশখালীতে ভারী বর্ষণে ধসে গেছে বেড়িবাঁধ

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:০৭ পিএম
বাঁশখালীতে ভারী বর্ষণে ধসে গেছে বেড়িবাঁধ
ছবি : খবরের কাগজ

বাঁশখালীতে ভারী বর্ষণে জলকদর খালের বেড়িবাঁধ ধসে গেছে। ভেঙে পড়েছে বেড়িবাঁধের ৫০০ মিটার এলাকার মাটি। এতে একদিকে উপকূলবাসীর চলাচল বিঘ্ন ঘটছে; অন্যদিকে বেড়িবাঁধ ভেঙে পুরো এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জলকদর খালটি বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে সংযুক্ত জোয়ার-ভাটার একটি খরস্রোতা নদী। যা বাঁশখালীর বড়ঘোনা খাটখালী হয়ে খানখানাবাদ ইউনিয়নের ইস্বরবাবুর হাট হয়ে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে যুক্ত।

জানা গেছে, গত বুধবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে বাঁশখালীর পূর্ব বড়ঘোনা ৭নং ওয়ার্ড হামিদ উল্লাহর টেক এলাকায় বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ দেবে যায়। যেকোনো সময় ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে আশপাশের এলাকা।

স্থানীয়রা জানান, জলকদর খালের বেড়িবাঁধ দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিশাল অংশ ভেঙে গেছে। যেকোনো সময় এটি ভেঙে লোকালয়ে নোনা পানি প্রবেশ করতে পারে। এতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

গণ্ডামারা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ওসমান গণি জানান, বেড়িবাঁধের বিশাল অংশ দেবে যাওয়ার বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

শফকত হোসাইন/জোবাইদা/অমিয়/

কানাইঘাটে চাচাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
কানাইঘাটে চাচাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা
চাচাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা করেছে সুলতান আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন চাচাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যা করেছে আরেক ভাই। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের বাউরভাগ নয়াগাউ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

হুসন আহমদ নামের (৬৫) ঐ ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যা করেছে চাচাতো ভাই সুলতান আহমদ (৪৮)। গ্রামবাসী সুলতানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

স্থানীয়রা জানায়, নয়াগাউ গ্রামের আব্দুল লতিফ (লতই) এর ছেলে হুসন আহমদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল জলিল (জলই) এর ছেলে সুলতান ও তার পরিবারের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পর হুসন আহমদ ও  সুলতানের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সকাল ৬টার দিকে সুলতান আহমদ দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হুসন আহমদকে কোপাতে থাকলে সে বাড়ির উঠোনে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে ঘাতক সুলতান আপন চাচাতো ভাই হুসন আহমদকে গলাকেটে হত্যা করে।

চাচাতো ভাইকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে ঘাতক সুলতান পালানোর চেষ্টা করলে গ্রামবাসী তাকে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, হত‌্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে সুলতানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

ত্রিশালে ১০ মণ পিরানহা জব্দ

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
ত্রিশালে ১০ মণ পিরানহা জব্দ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আড়ত থেকে ১০ মণ নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহের ত্রিশালে আড়ত থেকে ১০ মণ নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলা মৎস্য আড়ত থেকে মাছগুলো জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জামান মাসুম বলেন, বিপুল পরিমাণ পিরানহা মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে আড়তে রাখা হয়েছিল। মাছ জব্দ করার আগ মূহুর্তে মাছের মালিক আব্দুল মালেক পালিয়ে যায়। 

আনুমানিক ৬০ হাজার টাকা মূল্যের মাছগুলো নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জুয়েল আহমেদ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহবুবুর রহমানের উপস্থিতিতে সুতিয়া নদীর পাশে গর্ত করে কেরোসিন ঢেলে মাটির নিচে পুতে ফেলা হয়েছে।

সামসুজ্জামান মাসুম বলেন, পিরানহা মাছের উৎপাদন বন্ধ করতে হলে এ মাছ কেনা থেকে ক্রেতাদের বিরত থাকতে হবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মাহফুজ/এমএ/

দিনাজপুরে সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৫ পিএম
দিনাজপুরে সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার কাউন্সিলর শমসের আলী। ছবি: খবরের কাগজ

দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শমসের আলীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুস্তম আলী গ্রেপ্তারেরর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শমসের আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।’

এর আগে, গত ২৪ অক্টোবর ছাত্র আন্দোলনে আহত রবিউল ইসলাম মামলাটি করেন।

গত ৪ আগস্ট দিনাজপুর শহরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণে শত শত শিক্ষার্থী আহত ও রাহুল নামে এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমসহ ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। শমসের আলী এই মামলার ৩৪ নম্বর আসামি ছিলেন। 

সুলতান মাহমুদ/সুমন/সালমান/ 

কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৩ পিএম
কক্সবাজারে ছিনতাইয়ের প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৬
ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ছবি : খবরের কাগজ

কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৫। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আইয়ুব (৩৪), তোফাজ্জল হোসেন নয়ন (২৪), শফিউল করিম (২৮), হৃদয় নিশান ওরফে মানিক (২০), মাহমুদ ইমাম শরীফ (১৮) ও রিয়াজ উদ্দিন (১৮)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ‘পর্যটন মৌসুম চলায় ভ্রমণ পিপাসুরা কক্সবাজার আসছেন। এ সুযোগে সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবনে একটি ছিনতাইকারী চক্র পর্যটকদের টার্গেট করে ছিনতাই ও জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে বলে তথ্য পায় র‌্যাব। এই তথ্যের ভিত্তিতে, র‌্যাবের একটি দল সুগন্ধা পয়েন্টের ঝাউবন এলাকায় অভিযান চালায়। উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সূত্রে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, পর্যটকদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে তাদের কাছ থেকে মোবাইল, টাকা এবং অন্যান্য দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিত বলে জানায় তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় পর্যটকদের আটকে রেখে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ আদায় করত। তাদের কক্সবাজার মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

মুহিববুল্লাহ/নাবিল/সালমান/

কুমিল্লার নিমসারে ২ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৫ পিএম
কুমিল্লার নিমসারে ২ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
গুঁড়িয়ে ফেলা হয় অবৈধ স্থাপনা। ছবি : খবরের কাগজ

অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কুমিল্লার নিমসার বাজারে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কাঁচাবাজারটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল প্রভাবশালী মহল। ফলে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশ ঘিরে গড়ে ওঠা এই বাজারের অবৈধ স্থাপনার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকত।

উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে নিমসার বাজারে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা দুই শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম। 

অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছিল একটি অসাধু চক্র। এ ছাড়া প্রতিবার দখল উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।  

সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে দেশের কাঁচা সবজির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার নিমসারে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।  

এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনের জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এই বাজার থেকে খাজনা আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এক দিনে সম্ভব না হলে আমরা আবারও এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব। তারপরও মহাসড়কের জায়গায় কেউ যেন অবৈধভাবে দোকানপাট তৈরি করে যানজট কিংবা ভোগান্তি সৃষ্টি না করে।  

জহির শান্ত/মাহফুজ/সালমান/