রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলতাফ হোসেন (৫৮) নামে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যকে হত্যার দায়ে নয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর মহল্লার ইসাহাক আলী (৬৫), মো. হাসান (৫২), মনি খাতুন (২৬), মুক্তা খাতুন (৩২), জাহিদ হাসান (২২), নাহিদ হাসান (২৫), দামকুড়া গ্রামের আবুল হাসনাত (৪০), আবদুল হালিম (২৮) এবং সেরাজুল ইসলাম মিয়া (৩০)।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, নিহত আলতাফ হোসেনের (৫৮) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তার ভাই ইসহাক আলীর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ৩ মে উভয় পক্ষকে নিয়ে মীমাংসায় বসেছিলেন কাঁকনহাট পৌরসভার তৎকালীন মেয়র। পৌরসভা কার্যালয়ে বসে মেয়র মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। সেদিন ইসহাক আলী তার ছেলে, মেয়ে ও ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আলতাফ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালাই। এ সময় আলতাফ হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে তারা চলে যায়।
পরে স্বজনরা আলতাফ হোসেনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিনদিন পর ৬ মে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ তদন্ত করে দশজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এই মামলার দশ আসামির মধ্যে একজন আগেই মারা গেছেন। অন্য নয়জনকে সাজা দিলেন আদালত। এছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি অন্য একটি ধারায় আরও তিন বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, নিহত আলতাফ হোসেন কাঁকনহাট পৌরসভার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। জমি নিয়ে ইসহাক আলীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ২০২৩ সালের ৩ মে মারধরে আহত হন আলতাফ। পরে রামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এনায়েত করিম/এমএ/