ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

সিভাসুতে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন

প্রকাশ: ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৬ পিএম
সিভাসুতে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন
ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) কর্মরত যেকোনো জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করায় বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক কার্যক্রম। 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে তৃতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তাসিন বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমাদের দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের টনক নড়ছে না। আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাককালীন সময়ের এই শিক্ষকরা নিজেদের ভার্সিটির উপাচার্য হয়ে এলে ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ পুরো বিশ্বে ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ সিভাসুর মাধ্যমে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। পূজার বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ হওয়ার আগেই যেন সিভাসুতে অভ্যন্তরীণ ভিসি নিয়োগ হয়। অন্যথায় আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করব।’ 

উল্লেখ্য, নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। এরপর ৩ অক্টোবর ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট ও অবস্থান কর্মসূচি, ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল, ৫ অক্টোবর রোড ব্লক, ৬ অক্টোবর কমপ্লিট শাটডাউন ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের আলটিমেটাম এবং ৭ অক্টোবর শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী সবাই একসঙ্গে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। ৮ অক্টোবর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রেস কনফারেন্স করে বিকেল ৫টায় ভিসির বাসভবন ও ভিসির অফিসে তালা দেন।

বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গাছের সঙ্গে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মেঝেরা গাওলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দির প্রাইভেট কারের চালক তারেক এবং একই উপজেলার বাসিন্দা রিয়াদ। 

এ ছাড়া মুরাদনগর উপজেলার হাবিবুর রহমান, দাউদকান্দি উপজেলার রাসেল এবং তিতাস উপজেলার সোরাব হোসেন আহত হয়েছেন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রিফাত মাহামুদ/মেহেদী/অমিয়/

অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহিত

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকা থেকে অপহৃত সাত বছরের শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০ ব্যাটালিয়ন।


গতকাল সোমবার রাত ৩টার দিকে ফেনীর সদর এলাকায় র্যাব-১০ ও র্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারসহ জড়িতকে গ্রেপ্তার করে।


র্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার জানান, মৃত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাজিয়া আক্তার তার ওই শিশু কন্যাসহ খোলামোড়া এলাকায় বসবাস করেন। শিশু জান্নাত সেখানকার খাতুনে জান্নাত মাদ্রাসায় প্লে গ্রুপে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার সময় অপহরণের শিকার হয় শিশুটি। নিখোঁজ হিসেবে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি (গ্রেপ্তারকৃত) জান্নাতের মাকে ফোন দিয়ে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর তাৎক্ষণিক বিকাশে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন সাজিয়া। এর পরও টাকার জন্য চাপ দিয়ে অপহৃত জান্নাতকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন বিল্লাল। উপায় না দেখে ভুক্তভোগী মা সাজিয়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন।


র্যাব কর্মকর্তা তাপস আরও জানান, এ মামলার প্রেক্ষাপটে র্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। চট্টগ্রামের র্যাব-৭ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ফেনীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অপহরণকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে অপহৃত শিশুকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল শিশুটিকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার
অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে পরিচালিত অভিযানে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

তবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

এডিআইজি বলেন, বিকেলে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে অপরাধের উদ্দেশ্যে আরসার কতিপয় দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ অবস্থান করছে- এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। 

পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি হ্যান্ডগ্রেনেড, একটি দেশীয় বন্দুক ও একটি চাইনিজ রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। 

উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।

 

মুহিববুল্লাহ/নাইমুর/অমিয়/

গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় একদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ও সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক-ভ্যান সংঘর্ষে ঝরনা বেগম (৪৫), তার ছেলে জিহাদ মিয়া (২৪) এবং ভ্যানচালক খালেক মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও এক ভ্যানযাত্রী দুলু মিয়া (৩০) আহত হয়েছেন।  

এ ছাড়া সাদুল্লাপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সুফিয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ঝরনা বেগম দরবস্ত ইউনিয়নের হরিপুর বগুলাগাড়ী গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং সুফিয়া বেগম চন্ডিপুর গ্রামের বাবু মণ্ডলের স্ত্রী। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
  
পুলিশ জানায়, ঝরনা বেগমসহ চার যাত্রী নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে ভ্যানের এক্সেল ভেঙে যাত্রীরা পড়ে গেলে একটি লরি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঝরনা বেগম। পরে লোকজন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতির কারণে তাদের বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদ ও খালেক মিয়া মারা যান।

অন্যদিকে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সুফিয়া বেগম। 

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে দুইটি ঘটনার মামলাই প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রফিক খন্দকার/মেহেদী/অমিয়/

১১ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
১১ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে প্রবাসী মুসা হত্যার ১১ বছর পর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওমান প্রবাসী মুসার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তার ভাবী নাসিমা আক্তারের (মৃত ভাইয়ের স্ত্রী)। মুসা প্রবাসে থাকার সময় আরেকজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাসিমার। পরে বিয়েও হয় তাদের। বিষয়গুলো ধামাচাপা দিতে এবং প্রবাস থেকে পাঠানো অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুসাকে দেশে এনে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় হত্যা করেন নাসিমা।

পরে দীর্ঘ ১১ বছর পর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের ফাঁসানোর লক্ষ্যে মুসার মাকে বিষয়টি জানান নাসিমা এবং ঘটনার সাক্ষী হন।
 
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটনে নাসিমাকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে নাসিমা আক্তার ও তার স্বামী মনির হোসেনসহ অপর আসামি শরিয়তউল্লাহ এবং দেলোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার মানিকছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিছু হাড়, মাথার খুলি ও কাপড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।