চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) কর্মরত যেকোনো জ্যেষ্ঠ অধ্যাপককে ভিসি হিসেবে নিয়োগের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একাত্মতা প্রকাশ করায় বন্ধ রয়েছে প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক কার্যক্রম।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের সামনে সমবেত হয়ে তৃতীয় দিনের মতো শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার তাসিন বলেন, ‘গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমাদের দাবির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের টনক নড়ছে না। আমরা বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাককালীন সময়ের এই শিক্ষকরা নিজেদের ভার্সিটির উপাচার্য হয়ে এলে ক্যাম্পাসের উন্নয়ন, ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যকার সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ পুরো বিশ্বে ভেটেরিনারি শিক্ষায় বাংলাদেশ সিভাসুর মাধ্যমে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে। পূজার বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বন্ধ হওয়ার আগেই যেন সিভাসুতে অভ্যন্তরীণ ভিসি নিয়োগ হয়। অন্যথায় আমরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করব।’
উল্লেখ্য, নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে ভিসি নিয়োগের দাবিতে সিভাসুর শিক্ষার্থীরা গত ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন। এরপর ৩ অক্টোবর ক্লাস-পরীক্ষা বয়কট ও অবস্থান কর্মসূচি, ৪ অক্টোবর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মশাল মিছিল, ৫ অক্টোবর রোড ব্লক, ৬ অক্টোবর কমপ্লিট শাটডাউন ও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভিসি নিয়োগের আলটিমেটাম এবং ৭ অক্টোবর শিক্ষার্থী-শিক্ষক-কর্মচারী সবাই একসঙ্গে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে অবস্থান করেন। ৮ অক্টোবর শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রেস কনফারেন্স করে বিকেল ৫টায় ভিসির বাসভবন ও ভিসির অফিসে তালা দেন।