ঢাকা ২৭ কার্তিক ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের আড়তে ডিম বেচাকেনা বন্ধ

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৮ পিএম
চট্টগ্রামের আড়তে ডিম বেচাকেনা বন্ধ
ছবি: খবরের কাগজ

সরকারের নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে না পারা, রসিদ না দেওয়া, ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানার কারণে গতকাল সোমবার থেকে ডিম বেচাকেনা বন্ধ রেখেছেন চট্টগ্রামের আড়তদাররা। যতক্ষণ পর্যন্ত না সরকারের নির্ধারিত দামে ডিম কিনতে পারছেন, ততক্ষণ ডিম বেচাকেনা বন্ধ রাখবেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

চট্টগ্রামের আড়তদাররা জানান, চট্টগ্রামে ডিমের বড় আড়ত, পাহাড়তলী বাজার। এ বাজারে ১৫ জন আড়তদার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ডিম কিনে বিক্রি করে থাকেন। সবচেয়ে বেশি ডিম সংগ্রহ হয় টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ জেলা থেকে। এ ছাড়া রাজধানীর তেজগাঁও থেকেও পাহাড়তলী বাজারে ডিম আসে। এতে প্রতিটি ট্রাকে ১ লাখ ৪৪ হাজার পিস ডিম থাকে। আগে এক গাড়ি ডিম কিনতে খরচ হতো ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। বর্তমানে খরচ হচ্ছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা। এত বড় অঙ্কের টাকা জোগান দিতে গিয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। পোলট্রি ফার্মগুলো নিজেদের ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। তারা রসিদে সরকার নির্ধারিত দর দেখালেও বাস্তবে বিক্রি করছেন বেশি দামে। পোলট্রি ফার্ম, আড়ত বা মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় না এনে সরকার পাইকারি বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে। তাই প্রকৃত অপরাধীরা রয়ে যাচ্ছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল শুক্কর লিটন খবরের কাগজকে বলেন, ‘প্রতি পিস ডিমের সরকার নির্ধারিত দাম ১১ টাকা ০১ পয়সা। অথচ গত রবিবার আমাদের প্রতি পিস আনতে হয়েছে ১২ টাকা ৮০ পয়সায়। আমরা ওই দামেই ডিমগুলো বিক্রি করেছি। এতে প্রতিটি ডিমে ১০ থেকে ২০ পয়সা লোকসান দিয়েছি। শুধু সরকারি দামে ডিম কিনতে পারছি না বলেই লোকসান গুনতে হচ্ছে। এখানে আমাদের দোষটা কোথায়?’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যাদের কাছ থেকে ডিম সংগ্রহ করি, তারা রসিদ দিতে চায় না। উল্টো তারা বলে, রসিদ ছাড়া নিলে নেন, নইলে নাই। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযানে এলে আমরা রসিদ দেখাতে পারি না। এর ফলে আমাদের জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত আমাদের সভাপতিসহ আরও দুই ব্যবসায়ীকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে। এসব হয়রানি থেকে বাঁচতে, আমরা বাধ্য হয়ে ডিম বেচাকেনা বন্ধ রেখেছি।’ 

পোলট্রি ফার্মের কারণে প্রান্তিক খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, উল্লেখ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা খবরের কাগজকে বলেন, পোলট্রি ফার্মগুলো যেভাবে দাম বাড়ায়, একজন প্রান্তিক খামারি সেভাবে পারে না। এখানে একটা শক্ত সিন্ডিকেট রয়েছে।

এদিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের আড়তদাররা বলছেন, খামারি বিক্রি করার কথা ১০ টাকা ৫৮ পয়সা। কিন্তু এর মাঝে আবার মধ্যস্বত্বভোগী আছে। তাদের কাছ থেকে কেনার পর আমরা বিক্রি করার কথা ১১ টাকা ০১ পয়সায়। কিন্তু আমরাই তো সরকারের নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি করতে পারছি না। এ কারণে আমাদের এখানে গত রবিবার থেকে বেচাবিক্রি বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমানত উল্লাহ আমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে প্রতি পিস ডিম ১২ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১২ টাকা ৯০ পয়সায় বিক্রি করেছি। তাই চট্টগ্রামের আড়তদারকে ১৩ টাকার ওপরে বিক্রি করতে হয়। খুচরায় তো দাম আরও বেড়ে যায়। তাই চট্টগ্রামের আড়তদাররা সোমবার থেকে ডিম বেচাকেনা বন্ধ রেখেছেন। এখন সরকারের কাছ থেকে কি ধরনের সিদ্ধান্ত আসে, তারা সেই অপেক্ষায় রয়েছেন।’ 

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সারা দেশে দিনে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। বাজারে এখন সবজিসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়তি। তাই এখনো মানুষ ডিমের ওপর নির্ভরশীল। ডিমের দাম বেঁধে দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এদিকে ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের আড়তদাররা বেচাকেনা বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, ‘ডিম বেচাকেনা বন্ধ রাখা তো সমাধান না, এটা অন্যায়। তারা যদি সরকারি দামে ডিম কিনতে না পারে, তাহলে তো আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে হবে। এ ছাড়া ‘ডিম কেনার সময় রসিদ দিচ্ছে না’ এমন সমস্যার কথা তারা তো বলে না। বিষয়টি অন্তত ক্যাবকে জানাতে পারত। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা হলে তারা ব্যবসা বন্ধ করে দেবে, এটার অর্থ হলো তারা আইনের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়েছে। চট্টগ্রামের আড়তদাররা সরকারকে সহযোগিতা না করে বরং বাধা দিচ্ছে। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের সঙ্গে চট্টগ্রামের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীদের বোঝাপড়া অবশ্যই আছে। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের টিম পাহাড়তলীতে অভিযান পরিচালনা করছে। আমরা বেচাকেনার রসিদে গরমিল পাচ্ছি। বাড়তি দামে ডিম বিক্রির প্রমাণ পাচ্ছি। পাশাপাশি পাহাড়তলীর আড়তদাররা ডিম কেনার সময় রসিদ নিচ্ছেন না, সংরক্ষণ করছেন না। তাই আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছি।’ 

বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় নিহত ২
বাগেরহাটে প্রাইভেট কার দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত হয়েছেন। ছবি: খবরের কাগজ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে গাছের সঙ্গে প্রাইভেট কারের ধাক্কায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মেঝেরা গাওলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দির প্রাইভেট কারের চালক তারেক এবং একই উপজেলার বাসিন্দা রিয়াদ। 

এ ছাড়া মুরাদনগর উপজেলার হাবিবুর রহমান, দাউদকান্দি উপজেলার রাসেল এবং তিতাস উপজেলার সোরাব হোসেন আহত হয়েছেন। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মোল্লাহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নুরুজ্জামান চানু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রিফাত মাহামুদ/মেহেদী/অমিয়/

অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ পিএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
অপহৃত শিশু জান্নাত উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১
ছবি: সংগৃহিত

ঢাকার কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া এলাকা থেকে অপহৃত সাত বছরের শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এ ঘটনায় জড়িত বিল্লাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০ ব্যাটালিয়ন।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে ফেনীর সদর এলাকায় র‌্যাব-১০ ও র‌্যাব-৭ যৌথ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধারসহ জড়িতকে গ্রেপ্তার করে।

র‌্যাব-১০-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) তাপস কর্মকার জানান, মৃত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাজিয়া আক্তার তার ওই শিশু কন্যাসহ খোলামোড়া এলাকায় বসবাস করেন। শিশু জান্নাত সেখানকার খাতুনে জান্নাত মাদ্রাসায় প্লে গ্রুপে লেখাপড়া করে। গত শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার সময় অপহরণের শিকার হয় শিশুটি। নিখোঁজ হিসেবে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বিল্লাল নামে এক ব্যক্তি (গ্রেপ্তারকৃত) জান্নাতের মাকে ফোন দিয়ে মেয়ের মুক্তিপণের জন্য এক লাখ টাকা দাবি করেন। এরপর তাৎক্ষণিক বিকাশে ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন সাজিয়া। এর পরও টাকার জন্য চাপ দিয়ে অপহৃত জান্নাতকে হত্যার হুমকি দিতে থাকেন বিল্লাল। উপায় না দেখে ভুক্তভোগী মা সাজিয়া কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা তাপস আরও জানান, এ মামলার প্রেক্ষাপটে র‌্যাব-১০ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। চট্টগ্রামের র‌্যাব-৭ ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় ফেনীতে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অপহরণকারী বিল্লালকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে অপহৃত শিশুকে সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থায় উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল শিশুটিকে অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
উখিয়ায় আরসার ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড ও অস্ত্র উদ্ধার
অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সন্ত্রাসীরা পালানোর সময় ফেলে যাওয়া হ্যান্ডগ্রেনেড, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

সোমবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে পরিচালিত অভিযানে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

তবে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানান ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মো. আমির জাফর।

এডিআইজি বলেন, বিকেলে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকে অপরাধের উদ্দেশ্যে আরসার কতিপয় দুর্বৃত্ত অস্ত্রসহ অবস্থান করছে- এমন খবরে অভিযান চালানো হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। 

পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দুর্বৃত্তদের ফেলে যাওয়া একটি হ্যান্ডগ্রেনেড, একটি দেশীয় বন্দুক ও একটি চাইনিজ রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি। 

উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এপিবিএনের এই কর্মকর্তা।

 

মুহিববুল্লাহ/নাইমুর/অমিয়/

গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
গাইবান্ধায় একদিনে সড়কে ঝরল ৪ প্রাণ
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধায় একদিনে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। 

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ও সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।

এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জে ট্রাক-ভ্যান সংঘর্ষে ঝরনা বেগম (৪৫), তার ছেলে জিহাদ মিয়া (২৪) এবং ভ্যানচালক খালেক মিয়া (৩০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও এক ভ্যানযাত্রী দুলু মিয়া (৩০) আহত হয়েছেন।  

এ ছাড়া সাদুল্লাপুরে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় সুফিয়া বেগম (৫০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

ঝরনা বেগম দরবস্ত ইউনিয়নের হরিপুর বগুলাগাড়ী গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী এবং সুফিয়া বেগম চন্ডিপুর গ্রামের বাবু মণ্ডলের স্ত্রী। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
  
পুলিশ জানায়, ঝরনা বেগমসহ চার যাত্রী নিয়ে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি গোবিন্দগঞ্জের দিকে যাওয়ার পথে ভ্যানের এক্সেল ভেঙে যাত্রীরা পড়ে গেলে একটি লরি তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ঝরনা বেগম। পরে লোকজন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতির কারণে তাদের বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জিহাদ ও খালেক মিয়া মারা যান।

অন্যদিকে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সুফিয়া বেগম। 

এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে দুইটি ঘটনার মামলাই প্রক্রিয়াধীন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

রফিক খন্দকার/মেহেদী/অমিয়/

১১ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১২ এএম
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৩ এএম
১১ বছর পর হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেপ্তার ৪
গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

আর্থিক লেনদেন ও পরকীয়ার জেরে খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে প্রবাসী মুসা হত্যার ১১ বছর পর রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ওমান প্রবাসী মুসার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল তার ভাবী নাসিমা আক্তারের (মৃত ভাইয়ের স্ত্রী)। মুসা প্রবাসে থাকার সময় আরেকজনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে নাসিমার। পরে বিয়েও হয় তাদের। বিষয়গুলো ধামাচাপা দিতে এবং প্রবাস থেকে পাঠানো অর্থ আত্মসাৎ করার জন্য ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মুসাকে দেশে এনে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতায় হত্যা করেন নাসিমা।

পরে দীর্ঘ ১১ বছর পর বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের ফাঁসানোর লক্ষ্যে মুসার মাকে বিষয়টি জানান নাসিমা এবং ঘটনার সাক্ষী হন।
 
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, পুলিশের তদন্তে রহস্য উদঘাটনে নাসিমাকে মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। বর্তমানে নাসিমা আক্তার ও তার স্বামী মনির হোসেনসহ অপর আসামি শরিয়তউল্লাহ এবং দেলোয়ারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলার মানিকছড়ি ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে কিছু হাড়, মাথার খুলি ও কাপড়ের অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে লাশের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।