ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

কচুয়া উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ এএম
জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২ নম্বর উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধ মাঠ। খবরের কাগজ

সামান্য বৃষ্টিতেই চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২ নম্বর উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাতায়াত, খেলাধুলা ও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যালয়ের পাশে ৩টি পুকুর  রয়েছে। এসব পুকুরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই সেখানকার পানি উপচে মাঠে চলে আসে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পানির সঙ্গে পাশের বড়দৈল বাজারের ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে। 

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া বলে, ‘মাঠে পানি থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। অনেক সময় পড়ে যাই। ভিজে গেলে ক্লাস না করে বাড়ি চলে যেতে হয়। সাপ-জোঁকের ভয়ে বারান্দা থেকে নিচে নামতে পারি না।’   

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তায় পানি আটকে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠান ব্যাহত হচ্ছে।’

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন বলেন, ‘মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত পরিবেশের কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’

কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘মাঠ ভরাটের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের কাছে মাঠ ভরাটের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুততম ওই বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করা হবে।’

হবিগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ এএম
হবিগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ২
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে বালুবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে যাত্রীবাহী বাসের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ জন।

শনিবার (৮ ডিসেম্বর) রাত দুইটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কান্দিগাঁও নাঈমা ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার মধ্যরাতে নাঈমা ফিলিং স্টেশনের সামনে সিলেট থেকে ঢাকাগামী লিমন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সামনে থাকা একটি বালুবোঝাই ট্রাককে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলেই দুজন যাত্রী নিহত হন। আরও ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুই জনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে  পাঠানো হয়েছে।

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্র ও শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় হতাহতদের উদ্ধার করে।

গোপলার বাজার তদন্তকেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার জানান, নিহত দুজনের মধ্যে একজনের বয়স ২৫ ও অপরজনের ৩৫ হবে।

কাজল সরকার/সাদিয়া নাহার/

এবার লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম
এবার লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

একদিনের ব্যবধানে এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত হলেন এক বাংলাদেশি যুবক। তার নাম হেলালুজ্জামান ওরফে হেলাল উদ্দিন (৩৬)। আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুটিরপাড় সীমান্তের ৯২৫/২ নম্বর পিলার এলাকার ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক কুটিরপাড় গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে যেতেন হেলাল। কয়েক মাস কাজ করে আবার দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে ঘনকুয়াশার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় বিএসএফ মদনকুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা রাবার বুলেট ছুড়লে আহত হন তিনি। পরে তাকে বিএসএফ সদস্যরা ভারতের দিনহাটা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 

অবশ্য স্থানীয় অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও গরু আনতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন হেলাল। তার সঙ্গে কয়েকজন রাখালও ছিল। গরু নিয়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফের হাতে আটক হন তিনি। পাচারকারী দলটি ৭০টি গরু-মহিষ নিয়ে দেশে ফেরে বলেও দাবি করেন ওই সূত্র।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবার খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে একজন বাংলাদেশি বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আহত ব্যক্তি ভারতে কাজ করে দেশে ফিরছিলেন। গরু পাচারের খবর জানা নেই।’

গত শুক্রবার ভোরে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন।

 

 

চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ইউনিটি এক্সেসরিজ নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে ইপিজেড বেপজা গেটের সামনে ১ নম্বর রোডে পাঁচতলা ভবনের চতুর্থতলায় একটি কার্টন ফ্যাক্টরিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রাত ৮টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক খবরের কাগজকে জানান, চারটি ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। কোনো হতাহতের খবর নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যখন কারখানায় আগুন লাগে পাঁচতলা ভবনের চতুর্থতলায় কার্টন ফ্যাক্টরিটি তখনো খোলা ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা সবাই নিরাপদে বের হয়ে যান। তবে হুড়িহুড়িতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। ওই ভবনে থাকা অন্যান্য কারখানা ও অফিসের লোকজনও নিরাপদে বের হতে পেরেছেন বলে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলে খবরের কাগজকে জানান।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে কার্টন কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে কোনো হতাহতের খবর তিনি পাননি বলে জানান। 

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান খবরের কাগজকে জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কাছে থাকায় তারা দ্রুত আসতে পেরেছেন। তাই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে তদন্ত ছাড়া সুনির্দিষ্টভাবে আগুন লাগার কারণ বলা যাবে না।

গোলার শব্দে অশান্ত টেকনাফ সীমান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
গোলার শব্দে অশান্ত টেকনাফ সীমান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে এই গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং-এর পূর্বে নাফ নদীর ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মায়ানমারের জান্তাবাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মির অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব জায়গা পুরোপুরি উদ্ধারের জন্য কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। ফলে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁপে উঠছে।

 টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘মায়ানমারের গোলার শব্দে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে। আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’

 সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, মায়ানমারে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’

 তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ। 

এদিকে খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনা থেকে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। মর্টারশেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। 

ক্যাম্পে বসবাস করা একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘রাখাইনে কয়েকদিন ধরে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুৎসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

এদিকে, মায়ানমারের মংডু শহরে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত টহল দিচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

এ বিষয়ে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও গোলার বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’

মাহফুজ/এমএ/

 

চাঁদপুরে নৌবন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ জনকে চেক হস্তান্তর

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
চাঁদপুরে নৌবন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ জনকে চেক হস্তান্তর
নৌবন্দর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ পরিবার ও ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন কোটি ২৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মাদ্রাসা রোডের দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। এ কাজে সহায়তা করে সোশ্যাল এনজিও।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশব্যাপী ব্রিটিশ আমল থেকে চাঁদপুর নদী বন্দরের সুনাম রয়েছে। আশপাশের মানুষের জন্য এই লঞ্চ টার্মিনাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দৃশ্যমান বিষ্ময়কর একটি টার্মিনাল হবে। যারা টাকা পাবেন তারা নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নিবেন। এর ব্যতয় হলে তিন দিনের মধ্যে খালি করা হবে। একই জায়গার জন্য আপনারা দুইবার ক্ষতিপূরণ পেলেন। এই টার্মিনাল হলে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন। কক্সবাজারের মতো চাঁদপুরে একটা রিভারড্রাইভ নির্মাণ হবে। এখানে পর্যটনের জন্য রিসোর্ট তৈরি হবে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ করে ডিসি বলেন, আগামী ২০২৫ সালের আগষ্ট মাসে কাজ শেষ করতে হবে।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. ফরহাদুজ্জামান, চাঁদপুর পৌর বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তীসহ বিশিষ্টজনেরা।

প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের চেক প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান স্থান ত্যাগ করতে হবে।

ফয়েজ/নাবিল/এমএ/