সামান্য বৃষ্টিতেই চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ১২ নম্বর উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাতায়াত, খেলাধুলা ও অন্যান্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিদ্যালয়ের পাশে ৩টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় বৃষ্টি হলেই সেখানকার পানি উপচে মাঠে চলে আসে। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া পানির সঙ্গে পাশের বড়দৈল বাজারের ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকিয়া বলে, ‘মাঠে পানি থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। অনেক সময় পড়ে যাই। ভিজে গেলে ক্লাস না করে বাড়ি চলে যেতে হয়। সাপ-জোঁকের ভয়ে বারান্দা থেকে নিচে নামতে পারি না।’
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তায় পানি আটকে থাকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। এতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠান ব্যাহত হচ্ছে।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন বলেন, ‘মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত পরিবেশের কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি।’
কচুয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, ‘মাঠ ভরাটের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে স্থানীয়ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের কাছে মাঠ ভরাটের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দ এলে দ্রুততম ওই বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করা হবে।’