শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ফসল বাঁচাতে কৃষকদের দেওয়া বিদ্যুতের তারে পেঁচিয়ে এক বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার বাতকুচি টিলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে একটি জেনারেটর ও জিআই তার জব্দ করেন। একই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ভ্যানচালককে আটক করেন।
এদিকে শুক্রবার (১ নভেম্বর) বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে সার্বিক পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। রাতেই ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। মৃত হাতির ময়নাতদন্ত করা হবে এবং এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ছাড়া শেরপুরের সহকারী বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘জেনারেটরের বিদ্যুৎ দিয়ে বন্যহাতি হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে একটি জেনারেটর ও কিছু জিআই তার জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় শহিদুল ইসলাম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে বনবিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, টিলাপাড়া এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৩০ থেকে ৪০ একর জমিতে আমনের আবাদ করা হয়েছে। বন্যহাতির আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে কৃষকরা জেনারেটর চালিয়ে বিদ্যুতের তার দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। গত রাতে ২০ থেকে ২৫টি বন্যহাতি সেই ফসল খেতে হানা দেয়। এ সময় একটি হাতি তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। বাকি হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে।
গত এক সপ্তাহ যাবৎ ২৫ থেকে ৩০টি বন্যহাতির একটি পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। এরা দিনে টিলা বা জঙ্গলে থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর দল বেঁধে ধানখেত ও লোকালয়ে নেমে আসে।
শাকিল/নাইমুর/পপি/