তীব্র গরমে সপ্তাহখানেক ধরে চট্টগ্রামে চলছে লোডশেডিং। গভীর রাতেও পাওয়া যাচ্ছে না বিদ্যুৎ। লোডশেডিং বাড়ায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ না পাওয়ায় এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
চট্টগ্রামে দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা প্রায় ১২০০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ বিতরণ করা হচ্ছে দৈনিক গড়ে ৯৭১ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ না থাকায় নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাট, পাঁচলাইশ, কাতালগঞ্জ, শোলকবহর, বাকলিয়া, কাজির দেউড়ি, লাভলেইন, জুবিলি রোড, টেরিবাজার, হাজারী গলি, আন্দরকিল্লা, দেওয়ান বাজারমুন্সি পুকুর পাড়, আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, হামজারবাগ, বিবিরহাট সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বাসাবাড়িতে ওয়াসার পানি সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। এতে পানি সংকটে পড়েছেন অনেকে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১৯০ মেগাওয়াট। জাতীয় গ্রিড থেকে সেদিন বিদ্যুৎ বিতরণ করা হয় মাত্র ৮৫০ ওয়াট। ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১১৮৯ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে ১০৪২ মেগাওয়াট। গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে ১০৮৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতেসরবরাহ করা হয় ৯৪৯ মেগাওয়াট। গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রামে ১০৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে গ্রিড থেকে তাই সরবরাহ করা হয়েছে।
পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম মৃধা জানিয়েছেন, গরমের কারণে বিদ্যুৎ এর চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যায়। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ কম। তাই লোডশেডিং হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে লোডশেডিং কমে আসবে।
এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, চট্টগ্রামে যে পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তা চট্টগ্রামেই সরবরাহ করা হলে লোডশেডিং হতো না। সমস্যা হলো, চট্টগ্রামে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়ে যায়। চট্টগ্রাম হলো বাণিজ্যিক রাজধানী। এখানে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, কারখানা রয়েছে। চট্টগ্রামকে অন্ধকারে রাখলে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
তারেক/নাবিল/