পঞ্চগড় সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ
পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর পর পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিজিবি।
এ বিষয়ে জেলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘বর্তমানে মরদেহ সদর থানায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এর আগে ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮-৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত আনোয়ার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকার বাসিন্দা।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
বিএসএফের দাবি, বাংলাদেশিরা তাদের উপর বঁটি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনোয়ার। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সেই সাথে চোরাই গরুও জব্দ করে তারা।
এ দিকে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারীদের প্রতিহত করার জন্য আট রাউন্ড গুলি ফাঁকা ফায়ার করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা।
অন্যদিকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহটি বিএসএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে বিকেলে সকল প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি।
ওসি আরও জানান, জিডি মূল্যে মরদেহটি গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
রনি মিয়াজী/নাবিল/