ঠাকুরগাঁও সুগার মিলসের আখ মাড়াই উৎসব অনুষ্ঠান। ছবি: খবরের কাগজ
ঐতিহ্যবাহী ঠাকুরগাঁও সুগার মিলসের ২০২৪-২৫ মৌসুমের ৬৭তম আখ মাড়াই উৎসব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে আখ মাড়াইয়ের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) পরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন ও মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা চিনি শিল্পের বর্তমান চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৬৫-৭০ দিন মিল চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এই সময়ে ৮৫ হাজার টন আখ মাড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের চেয়ে আট হাজার টন বেশি। পুরো আখ সংগ্রহ ও মাড়াই করা সম্ভব হলে ছয় হাজার ২১০ টন চিনি উৎপাদন করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানান, এ বছর ছয় হাজার একর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। তবে পরবর্তী মৌসুমে আখ উৎপাদন আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে সাত হাজার একর জমিতে আখ চাষের পরিকল্পনা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চাষীদের উৎসাহিত করতে আগাম সেচ সুবিধা, সার, ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘দেশীয় চিনি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আখচাষীদের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা চাষীদের সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে চাষিরা বলছেন, আখের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হলে এবং আখ সঠিক সময় মিলে সরবরাহ করা হলে তারা আখ চাষে আগ্রহী হবেন।
ঠাকুরগাঁও সুগার মিলস দেশের অন্যতম বৃহৎ চিনি কারখানা। এটি শুধু চিনি উৎপাদন নয়, আখচাষীদের জীবিকা নির্বাহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে চিনি শিল্পের বর্তমান সংকট মোকাবিলায় সরকারি সহযোগিতা এবং চাষীদের সঙ্গে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নবীন হাসান/সুমন/এমএ/