ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

পুকুরে পাওয়া গেল মোটরসাইকেল, অস্ত্র পাহাড়ে

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
পুকুরে পাওয়া গেল মোটরসাইকেল, অস্ত্র পাহাড়ে
অস্ত্রের সন্ধানে পুকুরে তল্লাসি। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরীতে মো. মাহবুবুর রহমান নামে এক আসামির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুরে অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে সেখানে দুটি মোটরসাইকেল পেয়েছে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে পাহাড় থেকে।

সোমবার (৪ নভেম্বর) মহানগরীর পাহাড়তলীর সাগরিকা এলাকার একটি পুকুর এবং ইস্পাহানি পাহাড় থেকে এসব উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামি মাহবুবুর রহমান গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মুসলিম আলীর ছেলে। তার দেওয়া তথ্যে পুলিশ নোয়াখালীর মাইজদী এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে মো. নুরুন্নবীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা দুজনই গার্মেন্টসকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (পাবলিক রিলেশনস) কাজী তারেক আজীজ খবরের কাগজকে বলেন, ইস্পাহানি পাহাড় থেকে একটি নাইন এমএম পিস্তল ও বিটাক এলাকার একটি পুকুর থেকে দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রথমে পুকুরে অভিযান চালানো হয়েছিল। কারণ আসামি প্রথমে বলেছিল পুকুরে অস্ত্র আছে। এ জন্য সেখানে অভিযান চালানো হয়। পরে পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট এসব জিনিসপত্র লুট হয়েছিল। তাদের থেকে এসব ছাড়াও পুলিশের ইউনিফর্ম, ক্যাপ, দুটি হাতঘড়ি, পাঁচটি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট, পুলিশের ব্যবহৃত এক জোড়া কেডস ও এক জোড়া সু, পুলিশের লোগোসংবলিত একটি ছাতা, ট্রাউজার, ইলেক্ট্রিক কেটলি, ট্রিমার, চশমা ও পুলিশের ব্যবহৃত রেইনকোট উদ্ধার করা হয়েছে।’

মনির/সুমন/অমিয়/

ধামরাইয়ের ট্রমা সেন্টারটি নিজেই ট্রমায়

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ এএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১২ এএম
ধামরাইয়ের ট্রমা সেন্টারটি নিজেই ট্রমায়
ঢাকার ধামরাইয়ে উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে নির্মিত ট্রমা সেন্টারটি ১২ বছর ধরে অযত্নে আর অবহেলায় পড়ে আছে। ছবি: খবরের কাগজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে ঢাকার ধামরাইয়ে তৈরি করা হয় ট্রমা সেন্টার। কিন্তু ১২ বছর পার হলেও আজও ট্রমা সেন্টারটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে। দীর্ঘদিন অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে আছে সেটি। ভবনের দেয়ালের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে পড়ছে। সেই সঙ্গে জানালা ও লোহার গেটগুলোতে মরিচা ধরেছে। এভাবেই নষ্ট হচ্ছে প্রায় দুই কোটি টাকার ট্রমা সেন্টারটি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ধামরাই পৌরশহরের ইসলামপুর এলাকায় উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরেই তৈরি করা হয়েছে ট্রমা সেন্টারটি। ভবনের মূল ফটকে ঝুলছে তালা। ফটকের সামনে কয়েকটি ভাঙা চেয়ার ও একটি টেবিল নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। সামনে জমে আছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। লোহার কলাপসিবল গেটে মরিচা পড়েছে। ভবনটির ভেতরের বিভিন্ন অংশে ধুলোবালির পুরো আস্তরণ জমে আছে। ভবনের ভেতর ও বাইরের দেয়ালে লতাপাতা গজিয়ে উঠেছে। ছাদে বেড়ে উঠেছে ছোট আকৃতির গাছ।

ভবনটির দ্বিতীয়তলার কার্নিশে ৫টি এসির বাইরের অংশে জমেছে ধুলোবালি। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ভবনের পেছনে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে বলে জানান স্থানীয়রা। দেখভালের লোক না থাকায় ট্রমা সেন্টারটি এখন যেন নিজেই রোগী হয়ে গেছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালের মার্চ মাসে প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় ৩ তলা বিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হয় ২০১২ সালে। কিন্তু ওই সময় এর সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়নি, দেওয়া হয়নি বৈদ্যুতিক সংযোগ। লিংক করিডোরের কাজ এখনো অসমাপ্ত। ভবনের সামনের সড়কে কার্পেটিং করা হয়নি। সেই অবস্থায় ভবনটি বুঝে নেওয়ার জন্য ওই সময়ের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানায় গণপূর্ত বিভাগ।

কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাজ সমাপ্ত করে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানান। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার অসম্পন্ন কাজ শেষ করে ভবনটি হস্তান্তরের অনুরোধ জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি গণপূর্ত বিভাগ।

অপরদিকে ট্রমা সেন্টারটিতে প্রায় ১২ বছর আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। অথচ বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই বিল আসে ১২ লাখ টাকার মতো। একদিকে ট্রমা সেন্টারটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুঝে পায়নি, অপরদিকে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে বিলের মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া রয়েছে।

পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা আনিসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘসময় ধরে ভবনটি পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত ট্রমা সেন্টারটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিলে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

হাসপাতালের পাশে বসবাস করেন জসিম মিয়া বলেন, ‘১২ বছর ধরে ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণ করে ফেলে রেখেছে। সমস্যা কী আমরা জানি না। সন্ধ্যা হলেই সেখানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। এটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হলে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের আর ঢাকায় যেতে হবে না। এখানেই চিকিৎসা নিতে পারবে।’

ইমরান হোসেন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ট্রমা সেন্টারটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কবে চালু হবে তার কোনো নিশ্চয়তাও নেই। কোটি টাকার ভবনটি দ্রুত চালু করা দরকার।’

ট্রমা সেন্টারটি বুঝে পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েছিলেন সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা। স্বাস্থ্য বিভাগ বিষয়টি গণপূর্ত বিভাগকে জানাবেন বলে কেটে যায় বছরের পর বছর।

বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, ‘ট্রমা সেন্টারটি চালু করতে বিদ্যুৎ বিভাগ, গণপূর্ত বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের একত্রে কাজ করতে হবে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেন্টারটি চালু করার জন্য ভাবছেন। দ্রুত এটি চালু জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় জেলার মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ-মুলাদী সড়কের বড়ইয়া খাসেরহাট উঁচু পোল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজার এলাকার একটি মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করার কথা ছিল ড. ফরহাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

নিহত উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন মুলাদি উপজেলার নন্দীর বাজার এলাকার মাওলানা কাদের হাওলাদারের ছেলে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) উপসচিব ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার বিকেলে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে একটি থ্রি-হুইলারযোগে মুলাদী সদরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন ফরহাদ হোসেন। থ্রি-হুইলারটি (মাহিন্দ্রা আলফা) প্যাদারহাট পার হয়ে হাওলাদার ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি কুকুর হঠাৎ সেটির সামনে আসে। চালক আকস্মিক ব্রেক দিলে থ্রি-হুইলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। চালকের যে পাশে মো. ফরহাদ হোসেন বসা ছিলেন, মাহিন্দ্রাটি সেই পাশে উল্টে যায়। এতে ফরহাদ হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ড. ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু হয়।

এদিকে চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজার মাহফিল আয়োজন কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, নন্দীর বাজারে শুক্রবার অনুষ্ঠিত মাহফিলে ড. ফরহাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে অংশ নিতেই তিনি ঢাকা থেকে চরলক্ষ্মীপুরে আসছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘মো. ফরহাদ হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মঈনুল ইসলাম সবুজ/এমএ/

মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ জন শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শীতার্তদের এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুল মাঠে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ, শালিখা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. ওলি মিয়া,উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিচুর রহমান মিল্টন ও আড়পাড়া সরকারী আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম খায়রুজ্জামান প্রমুখ।

কাশেমুর রহমান/সুমন/এমএ/

সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।  কল্যাণ ট্রাস্ট সেই দায়িত্বটি পালন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মো. আনিসুজ্জামান, এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘সাংবদিকতা পেশা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, অথচ এ পেশায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিগত ১৬ বছর সাংবাদিকদের একটি গোষ্ঠীকে বারবার অনুদান দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হলেও, এই শক্তিকে বিগত দিনে অথর্ব করে রাখা হয়েছিল। পরিণত করা হয়েছিল রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে। আর সাংবাদিকদের বানানো হয়েছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে সম্ভাব্য করণীয় সব কিছু করার চেষ্টা করা হবে।’

এ ছাড়া দেশের বিরুদ্ধে যারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ১৩ জন গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আট লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

মাকসুদ রহমান/নাবিল/এমএ/

পঞ্চগড়ে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত বিএসএফের

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
পঞ্চগড়ে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত বিএসএফের
পঞ্চগড় সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর পর পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিজিবি।

এ বিষয়ে জেলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ  পারভেজ বলেন, ‘বর্তমানে মরদেহ সদর থানায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক  হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

এর আগে ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮-৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আনোয়ার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকার বাসিন্দা।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। 

বিএসএফের দাবি, বাংলাদেশিরা তাদের উপর বঁটি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনোয়ার। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সেই সাথে চোরাই গরুও জব্দ করে তারা।

এ দিকে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারীদের প্রতিহত করার জন্য আট রাউন্ড গুলি ফাঁকা ফায়ার করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা।

অন্যদিকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহটি বিএসএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে বিকেলে সকল প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি।

ওসি আরও জানান, জিডি মূল্যে মরদেহটি গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

রনি মিয়াজী/নাবিল/