ঢাকা ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

রাঙামাটি জেলা পরিষদ কাজ না করেই টাকা উত্তোলন

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
কাজ না করেই টাকা উত্তোলন
রাঙামাটি সদরের ওয়াপদা রেস্ট হাউসের দক্ষিণ পাশে অশ্বিনী কুমার চাকমার বাড়ি পর্যন্ত তৈরি করা রাস্তার সম্মুখ অংশ পুকুরে ধসে গেছে। খবরের কাগজ

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তা’র আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাঙামাটির ‘লুসাই পাহাড়ে পর্যটন উন্নয়ন’ প্রকল্পে অর্থায়ন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। কাজটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা। প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয় ৩ কোটি টাকা। প্রথম অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বরাদ্দ দেওয়া হয় ১০ লাখ টাকা। সেই টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পের কাজ আজ পর্যন্ত শুরুই হয়নি!

মূলত প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে ঠিকাদার দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। কিন্তু হঠাৎ সরকার পতনের কারণে সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী? যদিও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরাদ্দ পাওয়া গেলে আবারও কাজ শুরু করা হবে। এ ছাড়া রাঙামাটি শহরে অর্ধকোটি টাকার একটি রাস্তা নির্মাণেও মিলেছে অনিয়মের অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লুসাই পাহাড়ে পর্যটন উন্নয়নে কোনো কাজই করা হয়নি। কাপ্তাই হ্রদ পরিবেষ্টিত বিচ্ছিন্ন পাহাড়টি আগে যেভাবে ছিল এখনো ঠিক সেভাবেই পড়ে আছে। উন্নয়ন কাজে কোদালের একটি কোপও সেখানে পড়েনি। অথচ কাজের টেন্ডারসহ কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল এক বছর আগে। পাহাড়টিতে কয়েকটি পরিবারের বাড়িঘর দেখা যায়, যারা অনেক আগে থেকেই সেখানে বসবাস করছেন। তারা জানিয়েছেন, ওই পাহাড়ে পর্যটন উন্নয়নে আজ পর্যন্ত কোনো কাজ করতে দেখা যায়নি। সেখানে এমন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে তাও তারা জানেন না। 

এদিকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখায় এক কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে পাওয়া বরাদ্দের বিল যদি গত অর্থবছরের জুন ফাইনালের আগে তোলা না হতো তাহলে টাকা ফেরত যাওয়ার কথা। কিন্তু এ ধরনের কোনো প্রকল্পের টাকা ফেরত যায়নি। কাজেই সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদারের নামে বিলের টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে।’ যদিও ঠিকাদারের নাম প্রকাশ না হওয়ায় খবরের কাগজের পক্ষ থেকে তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া বলেন, ‘লুসাই পাহাড়ের পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্পটিতে আসলে অনেক কাজ। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ কোটি টাকা অনুমোদন করা হলেও পুরোপুরি কাজ করতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। বরাদ্দ পেলে কাজ পুরোদমে শুরু হবে।’

এদিকে টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়টি সরাসরি না জানালেও ঠিকাদারের পক্ষেই সাফাই গেয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘প্রথম অর্থবছরে পাওয়া বরাদ্দের পরিমাণ (১০ লাখ টাকা) খুবই কম। এ টাকায় কাজ করা সম্ভব না। তা ছাড়া জায়গাটির সীমানা নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে চলা বিরোধ সমাধানের কাজ রয়েছে। তাই এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এগুলো সমাধান হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে কাজ শুরু করা যাবে।’ 

এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন সহায়তার আরেকটি কাজেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাঙামাটি শহরের চম্পকনগরের ‘ওয়াপদা রেস্ট হাউসের দক্ষিণ পাশে অশ্বিনী কুমার চাকমার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ’ প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। কিছু রড ও সিসি ঢালাই দিয়ে করা ২০০ ফুটের রাস্তাটির কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

জানা গেছে, কাজ শেষ হতে না হতেই রাস্তার শুরুর দিকের অংশ পুকুরে ধসে পড়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ের ওপর দিয়ে বানানোর কথা থাকলেও রাস্তাটি তৈরি করা হয়েছে চম্পকনগর পুকুরের পাড় দিয়ে। এতে মাত্র একটি পরিবার এর সুফল পাবে। ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হওয়া কাজটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে স্থানীয়দের দাবি, কাজটি করতে অর্ধেক টাকাও খরচ করা হয়নি। বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই চলে গেলে জেলা পরিষদের প্রকৌশল শাখার লোকজন ও ঠিকাদারের পকেটে।

রাঙামাটি জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, ‘জেলা পরিষদের বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ আমরা এরই মধ্যে পাচ্ছি। জেলা পরিষদকে আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখতে চাই। কিন্তু এভাবে রাষ্ট্রের অর্থের নয়ছয় করাটা খুবই দুঃখজনক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’

জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী বিরল বড়ুয়া বলেন, ‘পাহাড়ের ওপর দিয়ে রাস্তাটি করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এতে কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। বাধ্য হয়ে নিচের পুকুরের পাড়ঘেঁষে তা নির্মাণ করতে হয়েছে। এতে আশপাশের অনেকে উপকৃত হবেন।’ রাস্তার সম্মুখ অংশ ধসে যাওয়ার বিষয়ে দেখবেন বলে জানান তিনি।

বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তরুণীকে হত্যা, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার প্রেমিক

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় তরুণীকে হত্যা, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার প্রেমিক
গ্রেপ্তার প্রেমিক। ছবি:খবরের কাগজ

মুন্সিগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে তরুণীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।এছাড়া হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটিও জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার। 

তিনি জানান, হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি গত ৫ আগস্ট ঢাকার ওয়ারী থানা থেকে লুট হয়েছিল।

পুলিশ সুপার বলেন, নিহত শাহিদার সঙ্গে অভিযুক্ত তন্ময়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক সময় শাহিদা গর্ভবতী হলে তৌহিদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তৌহিদ গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে শাহিদাকে গুলি করে  হত্যা করেন।  

হত্যার পর ভোলার মনপুরা দ্বীপে পালানোর সময় জেলার ইলিশায় একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ থেকে অভিযুক্ত তন্ময়কে সোমবার (২ ডিসেম্বর) ভোরে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। 

এ দিকে আসামির দেওয়া তথ্য মতে ওইদিন ঢাকার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের বটতলী বেইলি ব্রিজের নিচে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত শনিবার রাতে নিহত শাহিদা ইসলাম রাফার মা জরিনা বেগম শ্রীনগর থানায় কথিত প্রেমিক তৌহিদ শেখ তন্ময়কে প্রধান অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা করেন। 

নিহত শাহিদা রাজধানী ঢাকার ওয়ারিতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। 

প্রসঙ্গত, গত শনিবার সকালে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে শ্রীনগরের দোগাছি থেকে গুলিবিদ্ধ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মঈনউদ্দিন সুমন/নাবিল/এমএ/

সিলেটে কিশোরের হাতে আরেক কিশোর খুন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৯ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ পিএম
সিলেটে কিশোরের হাতে আরেক কিশোর খুন
ছবি : সংগৃহীত

সিলেটে মাছ বিক্রেতা এক কিশোরের হামলায় চা দোকানের কর্মচারী খুন হয়েছে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নগরীর লালদিঘীর পাড় অস্থায়ী হকার মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

ঘটনার পর অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মো. জাহিদ খান (১৭) মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মো. দুদু মিয়ার ছেলে। সে লালদিঘীরপাড় হকার্স মার্কেটে একটি চায়ের দোকানের কর্মচারী ছিল।

অভিযুক্ত কিশোরের নাম ফরহাদ ইসলাম (১৬)। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার খায়রুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, জাহিদ অস্থায়ী হকার্স মার্কেটের মাছ বিক্রির স্থান থেকে পানি আনতে যায়। এ সময় ফরহাদ তাকে পানি নিতে নিষেধ করে। এক পর্যায়ে সে জাহিদকে কিল-ঘুষি মারলে সে মাঠিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে স্থানীয়রা এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক খবরের কাগজকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে রয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

শাকিলা ববি/জোবাইদা/অমিয়/

মেঘনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন সহোদরসহ গ্রেপ্তার ৫

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
মেঘনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে তিন সহোদরসহ গ্রেপ্তার ৫
মাদকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। ছবি : খবরের কাগজ

কুমিল্লার মেঘনায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত তিন সহোদরসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বিপুল পরিমাণ মাদক, নগদ টাকা ও ভারতীয় রুপি এবং মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের নয়া মোহাম্মদপুর গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।

হোমনা, মেঘনা ও বাঞ্ছারামপুরের দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ওবায়দুল ও মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল সমন্বয়ে এই অভিযানে সেনাবাহিনীর ৪৫ ও পুলিশের ১২ জন সদস্য অংশ নেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- মেঘনা লুটেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের তিন সহোদর মোহাম্মদ আলম, মোহাম্মদ আলী ও ইমাম হোসেন এবং একই গ্রামের বাসিন্দা হাসনারা ও রাজিয়া বেগম।

মেঘনা থানার ওসি আব্দুল জলিল বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লুটেরচর ইউনিয়নের নয়া মোহাম্মদপুর গ্রামের বগাবাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বসতঘরের কারের ভেতর থেকে ৬৪ কেজি গাঁজা, ২৬৪টি ইয়াবা, ১৫ হাজার ৪৯০ টাকা নগদ অর্থ, ১০০ ভারতীয় রুপি, ৭টি মোবাইল ফোনসহ পাঁচজনকে গ্ৰেপ্তার করা হয়।’

জহির শান্ত/সালমান/

ভোলাগঞ্জ মোবাইল কোর্টের অভিযানে ওপর হামলা

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০৬ পিএম
ভোলাগঞ্জ মোবাইল কোর্টের অভিযানে ওপর হামলা
সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ বাঙ্কারে মোবাইল কোর্টের অভিযানে পাথর ছুড়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এসিল্যান্ড অফিসের একজন ও আরেকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধলাই নদীর ১০ নম্বর এলাকার বাঙ্কারে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে ধলাই নদীতে বালু পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। ১০ নম্বর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাঙ্কারের পাশে যাওয়া মাত্রই পাথর ছুড়তে থাকে উত্তোলনকারীরা। এতে পুলিশ সদস্যসহ দুইজন আহত হন। পরে সেখান থেকে তারা চলে আসেন।

এ ব্যাপারে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ আহমেদ বলেন, 'আমরা বালু পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযানে গিয়েছিলাম। বাঙ্কারে যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এ সময় পাথর ছুড়ে কিছু দুষ্কৃতকারীরা। পরে সেখান থেকে আমরা চলে আসি।'

শাকিলা ববি/জোবাইদা/

ভোলায় মৎস্য বিভাগের পরিদর্শন টিমে জেলেদের হামলা, আহত ৮

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:০২ পিএম
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩২ পিএম
ভোলায় মৎস্য বিভাগের পরিদর্শন টিমে জেলেদের হামলা, আহত ৮
ছবি : খবরের কাগজ

ভোলায় মৎস্য বিভাগের পরিদর্শন টিমের ওপর জেলেদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভোলা সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানসহ আটজন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে মেঘনার নদীর কাঠির মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতদের ভোলার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মৎস্য বিভাগ জানায়, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি টিম মনিটরিং ও অবৈধ জাল অপসারণ করতে যায়। এ সময় মেঘনায় চরঘেরা জাল দেখতে পেয়ে তা অপসারণ করতে গেলে জেলেরা টিমের ওপর হামলা চালায়। 

আহত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার কাচিয়াকাঠির মাথা এলাকায় মেঘনা নদীতে চরঘেরা জাল দেখতে পাই। তখন সদর উপজেলা মৎস্য বিভাগের স্টাফরা অবৈধ জাল ও খুটি অপসারনের কাজ শুরু করেন। এ সময় চার পাঁচটি নৌকা ও ট্রলার নিয়ে ৩০ থেকে ৪০ জন দুর্বৃত্ত বগি দা ও গাবগাছের লাঠি-বৈঠা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমাদের তিনজনের মাথা ফাটিয়ে দেয়। পরে আমরা তাদের উদ্ধার ও বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, ভোলার মেঘনায় অবৈধ জাল পেতে মাছের রেনু ধংস করছে। তাই অবৈধ জাল অপশারনের জন্য আমারা নিয়মিত মনিটরিং করি। কিন্তু মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জলদস্যু জকেট জামাল বাহিনী জোর করে জাল ফেলছে। আজও আমাদের মনিটরিং ও অবৈধ জাল অপরসারণের সময় জকেট জামালের ভাতিজা শাহিন হামলা চালায়। এই ঘটনায় ভোলা সদর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।

আর ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুব আলম বলেন, মামলা হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলছে। দ্রুত দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ইমতিয়াজুর রহমান/জোবাইদা/অমিয়/