
চাকরি ফিরিয়ে দেওয়াসহ ৩ দফা দাবিতে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চাকরিচ্যুত কর্মীরা মানববন্ধন করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে ৩ শতাধিক কর্মী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
এ সময় তারা যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ পেয়েছেন বলে দাবি করেন। চাকরি ফিরিয়ে না দিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৬৭২ কর্মকর্তাকে ছাঁটাই করে বেসরকারি খাতের সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ওই দিন এসব কর্মকর্তাকে ই-মেইলের মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানানো হয়। পরে ব্যাংকে উপস্থিত হওয়া কর্মীদের চাকরিচ্যুতিপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মানববন্ধনে অংশ নেওয়া কর্মীরা।
এ সময় তারা বলেন, কোনো নোটিশ ছাড়াই বৃহস্পতিবার আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয়েছে, প্রবেশন পিরিয়ড শেষ না হওয়ায় আমাদের চাকরিচ্যুত করতে নোটিশ দেওয়া হয়নি। তাদের এক নোটিশে আমাদের ৬৭২টি পরিবার অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের কাছে আবেদন, আমাদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বলেন, ‘গত তিন মাস সংকট থাকার সময় আমরা ব্যাংকে অমানবিক কষ্ট করেছি, যাতে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়ায়। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ করেছি। অথচ ১ নোটিশে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।’
আরেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার বলেন, ‘আমরা সবাই অন্য চাকরি ছেড়ে ভালো ভবিষ্যতের আশায় এখানে এসেছি। এখন আমাদের অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই প্রচার করছেন, আমাদের নিয়োগ নাকি অবৈধ। অথচ আমরা ব্যাংকের সব নিয়মকানুন মেনেই চাকরিতে যোগদান করেছি। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৩০ হাজার আবেদনকারীর মধ্যে আমরা উত্তীর্ণ হয়েছি। আমাদের চাকরি ফেরত চাই। সেটা না হলে, আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।
কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার মোহাম্মদ আরিফ, মো. মনজুর আলম হিরু, ইব্রাহিম নূর সাইমন, সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। এতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে ৩টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো চাকরিচ্যুত কর্মীদের অবিলম্বে পুনর্বহাল, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদকে এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া ও ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া চালু করা।