ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশা উল্টে ২ শিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে অটোরিকশা উল্টে ২ শিক্ষার্থী নিহত
ছবি: খবরের কাগজ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় এক শিশু ও অটোরিকশায় থাকা আরও দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত দুই শিক্ষার্থী হলেন-শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার কাশেম মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল সায়েম (১৭) ও ভাগলপুর এলাকার রবি সূত্রধরের ছেলে অমিত সূত্রধর (১৮)। তারা কমলগঞ্জ সরকারি গণ মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আহতরা হলেন-শ্রীমঙ্গলের কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার ময়না মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (১৮), গীরু দেবের ছেলে সৈকত দেব (১৮) ও শিশু জান্নাতুল (১১)।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে শ্রীমঙ্গল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কমলগঞ্জ কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় গাড়িটি কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের বটেরতলা এলাকায় আসলে এক শিশুকে রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সায়েমের মৃত্যু হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা আরো দুই শিক্ষার্থীসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে আহত অমিত ও শিশু জান্নাতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৌলভীবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আহত অমিতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

পুলক পুরকায়স্থ/মাহফুজ/এমএ/

 

সিলেটে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১০ পিএম
সিলেটে আ.লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগের তিন নেতা। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক বিদায়সুলপানি গ্রামের সিরাজুল ইসলাম (৫২), উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা, সরিষপুর গ্রামের রফিক মিয়া (৪০) ও বিশ্বনাথ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক, পূর্ব জানাইয়া গ্রামের শামীম ওরফে চাক্কু শামীম (৩২)।

পুলিশ জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগের দিন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি প্রতিহত করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতরা উপজেলা সদরে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেয়। তারা বাসিয়া ব্রিজে আল-হেরার ব্যবসায়ী জামায়াত নেতা আমজাদ আলীর ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করে। ভাঙচুর করে পোড়ানো হয় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। পরে তাকে ধাওয়া করে ভাঙচুর করা হয় আল-হেরা মার্কেটও। এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততা ছিল। ঘটনার পরদিন ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা হয় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে। শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রুবেল মিয়া বলেন, ‘তিন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

 

বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৩ পিএম
বেনাপোল দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি
মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে আলু পৌঁছায়। ছবি: খবরের কাগজ

দেশে আলুর বাজার দর নিয়ন্ত্রণে আনতে ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোলের রেলওয়েস্টেশনের মাস্টার সাইদুজ্জামান।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে করে ভারতের মালদা থেকে বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশনে এই আলু পৌঁছায়।

আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স টাটা ট্রেডার্স। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মেসার্স আতিফ এক্সপোর্ট।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) আমদানিকারকের পক্ষে আলুর চালানটি ছাড়ের জন্য বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাবমিট করবেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলম অ্যান্ড সন্স।

আলম অ্যান্ড সন্সের প্রতিনিধি নাজমুল আরেফিন জনি জানান, ‘ভারত থেকে ট্রেনের একটি রেকে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। কাস্টমস ও রেলওস্টেশনের কার্যক্রম শেষ হলে আলুগুলো বেনাপোল বন্দর অথবা নওয়াপাড়ায় আনলোড করা হবে। এরপর সেখান থেকে আলুগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।’

স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, ‘ভারত থেকে একটি ট্রেনের রেকে ৯ হাজার ৪৬০ ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ৪ লাখ ৬৮ হাজার কেজি। পণ্যের চালানটির আমদানি মূল্য ১ লাখ ৭ হাজার ৬৪০ মার্কিন ডলার।’

নজরুল ইসলাম/সুমন/এমএ/

মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে রাজশাহী
রাজশাহীতে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে চারদিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেইসঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শুক্রবার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সে অনুযায়ী শুক্রবার থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কয়দিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।’

মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে রাজশাহী। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে কাবু হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন তারা।

দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এ দিকে শীত নামলেও রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, আমাদের এখনও শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।

এ ছাড়া, হঠাৎ করে আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ায় কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। শিশু ও বয়স্করাই অন্যদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন বলে জানান এ চিকিৎসক।

অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। ফলে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি করায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষকে।

অপরদিকে, রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। এ কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আম গাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে নিকটস্থ কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশিদিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

কনেকে নিতে হেলিকপ্টারে আসলেন আইনজীবী বর

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০১ পিএম
কনেকে নিতে হেলিকপ্টারে আসলেন আইনজীবী বর
কনেকে নিজ বাড়িতে নিতে হেলিকপ্টার নিয়ে আসেন বর নাজিমউদ্দীন। ছবি: খবরের কাগজ

রংপুরের বদরগঞ্জে বিয়ে করে হেলিকপ্টারযোগে কনেকে নিয়ে গেলেন বর নাজিমউদ্দিন চৌধুরী। তিনি সিলেট জেলা জজ কোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হেলিকপ্টারে চড়ে বর বাড়িতে নিয়ে যান কনেকে।

কনে বিষ্ণুপুর ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সালেহা আক্তার লাবনী। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবিকা (নার্স)।

ছোটবেলা থেকেই নাজিমের প্রবল ইচ্ছা বউ নিয়ে আসবেন হেলিকপ্টারে। এবার সেই ইচ্ছার বাস্তব প্রতিফলন ঘটালেন তিনি।

জানা গেছে, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ছোট হাজিপুর বড় বানিয়াপাড়া গ্রামের লাভলু রহমানের মেয়ে সালেহা আক্তার লাবনীর সঙ্গে সিলেট মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলার বক্সী মাইল ইউনিয়নের জাবদা গ্রামের বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এদিকে হেলিকপ্টার আসার খবরে উৎসুক এলাকার শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ বিভিন্ন বয়সের হাজারো মানুষ ভিড় করেন স্কুল মাঠের পাশে। জামাই হেলিকপ্টারে কনেকে নিয়ে যাবে শুনে খুশি নতুন বউ, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা।

বিয়ে রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল মাবুদ জানান, হেলিকপ্টারটি অবতরণ করার পরে কনের বাবা ও তার আত্মীয়-স্বজন বরকে উৎসবমুখর পরিবেশে বরণ করে নেন। এরপর দুই লাখ ৬০ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ের রেজিস্ট্রি করেন তিনি।

কনের চাচা আতিয়ার রহমান বলেন, আগে থেকে পারিবারিকভাবে সম্পর্ক থাকায় দুই পরিবার মিলে সালেহা আক্তার লাবনী ও নাজিমউদ্দিনের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার বিয়ে হয় আর আজ শুক্রবার হেলিকপ্টারে করে ছেলে আমাদের মেয়েকে নিয়ে যায়। তিনি সবার কাছে নবদম্পতির জন্য দোয়া চেয়েছেন।

সেলিম সরকার/নাবিল/এমএ/

টঙ্গীতে সা'দপন্থীদের মানহানি মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম
টঙ্গীতে সা'দপন্থীদের মানহানি মামলা ও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
সা'দপন্থীদের হামলার বিচার এবং ইজতেমার মাঠ দখলের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: খবরের কাগজ

২০১৮ সালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার মাঠে ছাত্র ও তাবলীগের লোকজনের ওপর সা'দপন্থীদের হামলার বিচার এবং সা'দপন্থীদের ইজতেমার মাঠ দখলের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতা।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর টঙ্গী-সিলেট ও টঙ্গী পূর্ব থানার মুল গেইটে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে জুমার নামাজের পর টঙ্গীসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন মসজিদের মুসল্লিরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা গেইটে অস্থান নেয়। সেখানে তারা সা'দপন্থীদের ২০১৮ সালের হামলা, মানহানির মামলা ও কর্মকাণ্ডের বিচার দাবি করে। 

পরে দেশের বিভিন্ন ওলামায়ে কেরামের ঊর্ধ্বতন মুরুব্বীরা টঙ্গী পূর্ব থানায় উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনারের বরাবর একটি স্মারক লিপি প্রদান করেন।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });