ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

গোবিন্দগঞ্জে ৩ সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবিতে সমাবেশ

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৯ পিএম
আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ পিএম
গোবিন্দগঞ্জে ৩ সাঁওতাল হত্যার বিচার দাবিতে সমাবেশ
বিক্ষোভ মিছিল করছেন সাঁওতালরা। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাঁওতালদের ওপর হামলা করে তিনজনকে হত্যা, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও জায়াগা-জমি দখল করার ঘটনাকে স্মরণ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) এই সমাবেশ করেন সাঁওতালরা। তারা এই দিনটিকে ‘সাঁওতাল হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকেন।

এ সময় উপজেলার জয়পুর গ্রামে নির্মিত অস্থায়ী শহিদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়। পরে মাদারপুর ও জয়পুর গ্রাম থেকে জাতীয় ও কালো পতাকা, তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ফেস্টুনসহ বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গাইবান্ধা শহরে আসেন। সেখানে নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সামনে সমাবেশ করেন তারা। 

সমাবেশে সাঁওতালদের হত্যার বিচার, আসামিদের গ্রেপ্তার, বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতালদের ক্ষতিপূরণ ও সাঁওতালদের রক্তভেজা তিন ফসলি জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কে।

বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী, রফিক আহমেদ সিরাজীসহ আরও অনেকে।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর মহিমাগঞ্জ সুগার মিল কর্তৃপক্ষ সাঁওতালদের উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ ও চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষে ৩০ জন সাঁওতাল আহত এবং তিনজন নিহত হয়। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাদের বাড়িঘর।

এ ঘটনার পর থমাস হেমব্রম নামে একজন সাঁওতালি বাদী হয়ে তৎকালীন সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদসহ ৩৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

রফিক খন্দকার/সুমন/অমিয়/

চট্টগ্রামে সিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩০

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
চট্টগ্রামে সিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩০
গ্রেপ্তারদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিএমপি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কোতোয়ালী থানা থেকে মো. জোবায়ের খান প্রকাশ জুরাত (২৭), হাজী সেলিমুল ইসলাম (৭০), মো. জসিম উদ্দিন (২৯), মো. জুয়েল প্রকাশ মামা জুয়েল (২৫), মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৪), বাকলিয়া থানার আসামি হাসনাত জামান বাবু (৪২), মো. ইফতার হোসেন আলভি (২০), মো. হৃদয় (৯৯), চান্দাগাঁও থানার আসামি মো. সাইফুল ইসলাম (৫৬), মো. রমজান আলী (৫৫), মো. নুর (৪৮), মো. ইমরান হোসেন (৩২), বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি এসএম ইউসূফ লিটন (৪৮), মো. এনাম (৩৫), মো. আব্দুল জলিল রিফাত (২৫), সদরঘাট থানার আসামি রিয়াদ হোসেন (২১), পাঁচলাইশ থানার আসামি শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (২৭), মো. মঞ্জুর আলম (৪০), হালিশহর থানার আসামি মো. নাজিম উদ্দিন (৪২), পাহাড়তলী থানার আসামি মো. ফয়সাল আক্তার চৌধুরী, আকবরশাহ থানার আসামি মো. শওকত মামুন (৫২), পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি মো. সোলাইমান (৩০), ডবলমুরিং মডেল থানার আসামি সেকান্দর মিয়া (৫০), মো. আজিম উদ্দিন (২৩), মো. সৌরভ চৌধুরী (২৮), খুলশী থানার আসামি মো. ফারুক (২৯), মো. আবুল কালাম (৫৮), ইপিজেড থানার আসামি মো. আল আমিন (১৯), কর্ণফুলী থানার আসামি নাছির উদ্দিন নাহিদ (৪০) ও চকবাজার থানার আসামি মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (৩৪)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসী বিরোধী আইন ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।

মাহফুজ/

চট্টগ্রামে শুরু রিহ্যাব মেলা, ভবনে খোলা জায়গা রাখার পরামর্শ মেয়রের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
চট্টগ্রামে শুরু রিহ্যাব মেলা, ভবনে খোলা জায়গা রাখার পরামর্শ মেয়রের
চট্টগ্রামে আবাসন মেলার উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরে নির্মাণাধীন প্রত্যেক ভবনে একটি খোলা স্পেস রাখার অনুরোধ জানিয়েছিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রামে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ১৬তম আবাসন মেলার উদ্বোধনকালে এ অনুরোধ জানান তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু-তে মেলা শুরু হয় যা চলবে রবিবার পর্যন্ত। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে গ্রীন, ক্লিন ও হেলথি সিটি হিসেবে রুপান্তর করতে চাই। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা সড়কে ময়লা ফেলব না, পরিবেশ সুন্দর রাখব। নিয়ম মেনে ভবন তৈরী করব। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের অনেক মার্কেট পুরাতন হওয়ায় ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। নতুন মার্কেট তৈরি করব। 

শিশুদের বিনোদনের কথা উল্লেখ্য করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরী করব শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য। ইতোমধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্প চালু করা হয়েছে। 

রিহ্যাব সদস্যদের উদ্যেশ করে তিনি বলেন, আপনারা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। প্রত্যেক ভবনের একটি ফ্লোরে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। একটি ফ্লেট খালি রাখুন খেলাধূলার জন্য। 

জানা গেছে, এবারের মেলায় ৪২টি স্টল থাকছে। এর মধ্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে।

চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজি দেলোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্যে জানান, ২০০১ সালে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এর পর ২০০৪ সাল থেকে বিদেশেও এ ফেয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, ইতালি, কানাডা, সিডনি ও কাতারসহ বিভিন্ন দেশে সফলভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এবং বিদেশে গৃহায়ণ শিল্পের বাজার সৃষ্টি ও প্রসারে রিহ্যাব কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসী ক্রেতারা তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

ফেয়ার আয়োজন ও স্টল রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫-এ গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড এবং উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড। এ ছাড়া ১৪টি কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানসহ ১৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।

কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- এরিয়েল প্রপার্টিজ লিমিটেড, সিএ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড, স্যানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, র‍্যানকন এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড, আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড, মুনতাসির লিভিং লিমিটেড, জুমাইরাহ হোল্ডিং লিমিটেড, ইক্যুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, শাইন ম্যাট্রিক্স বিল্ডার্স লিমিটেড (এসএমবিএল), সিটি হোম প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং সিকিউর প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামানে সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আমিরুল ইসলাম, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান এবং সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দিন আহমদ ও মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান।

প্রথম দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা উদ্বোধনীর পর বেলা ২টা থেকে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল এন্ট্রি। সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকিট দিয়ে মেলার সময় দর্শনার্থীরা চারবার প্রবেশ করতে পারবেন। আগত দর্শকদের জন্য লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

মাহফুজ

শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফুটানোর ওপর সিএমপির নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফুটানোর ওপর সিএমপির নিষেধাজ্ঞা

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফুটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, শবে বরাতের দিনে শিশু-কিশোরসহ অনেকেই আতশবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের পটকা ফুটিয়ে উল্লাস করে। পটকা ফোটানোর ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ইবাদত বন্দেগিতে বিঘ্ন ঘটে ও শবে বরাতের ভাবগাম্ভীর্য ক্ষুন্ন করে এবং জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আতশবাজি ও পটকা ফোটানো বন্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ অবস্থায় আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পবিত্র শবে বরাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ ফেব্রয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত নগরীতে সকল প্রকার আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, তৈরি, বিক্রয়, মজুদ ও বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যথায়, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজ

সা’দ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
সা’দ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার
ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। ছবি: খবরের কাগজ

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা। বুধবার রাত থেকে দেশ-বিদেশি মুসল্লীরা ইজতেমায় আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

সিলেট থেকে আগম খোকন মুন্সি (৫৫) বলেন, গত পাঁচ বছর যাবৎ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আসছি। এবারই আমাদের (সা'দ অনুসারীদের) কয়েকটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারিখ ভিন্ন ভিন্ন নির্ধারণ করাতে আমাদের সাথীদের টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে আসার জন্য অনেক বিভ্রান্তি হয়েছে। অনেক সমস্যার পরও ময়দানে ঠিকঠাক মতো আসতে পারায় অনেক খুশি তিনি। 

ইজতেমার সার্বিক বিষয়ে মাওলানা সা'দ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবেবরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, কাল থেকে শুরু হচ্ছে সা’দপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা। আগের মতোই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। কোনো দুষ্কৃতিকারী যদি ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদেরকে ধরিয়ে দেবেন। 

কমিশনার আরও বলেন, সা’দপন্থীদের এবারের ইজতেমায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, রুপটফ, ৩৫টি বাইনোকুলার, ২০টি চেকপোস্ট ও ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।

মাওলানা সা'দ অনুসারীদের শীর্ষ মুরব্বি ড. রেজাউল করিম জানান, সুন্দরভাবে ইজতেমা করতে দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, আপাতত কোনো শর্ত নিয়ে ভাবছি না। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে ইজতেমা পালন করেন শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। তৃতীয় ধাপে ১৪–১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা পালন করবেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

টাকা চুরির অভিযোগে শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম
টাকা চুরির অভিযোগে শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নয় বছরের শিশু রানা মিয়াকে নির্যাতন। ছবি: সংগৃহীত

টাকা চুরির অভিযোগ এনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক শিশুকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে। গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

শিশুটির বয়স ৯ বছর। নাম রানা মিয়া। তার বাড়ি সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে। সে ওই গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার রাতে গণমাধ্যমের নজরে আসে।

এছাড়া খুটিতে বেঁধে রাখার ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির দুই হাত পিছনে খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখা। কিছু মানুষ তাকে ঘিরে আছে। বিভিন্ন জন তাকে নানা রকম প্রশ্ন করছে। এসময় শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, হাত খুলে দেন, ব্যথা লাগছে। এসময় শিশুটিকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। 

এলাকাবাসী ও শিশুর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত তিনদিন আগে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের বিকাশ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে মোবাইল ও কিছু টাকা হারিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত মনে করে ওই শিশুটিকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে সন্দেহজনকভাবে তার বাড়ি থেকে ধরে আনা হয়। তাকে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী স্থানীয় বাজারে একটি মুদি দোকানের সামনের সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এসময় তাকে নির্যাতন করে মারধর করে ওই ব্যবসায়ী ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে শিশুটির হাতে সুচ ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। 

এদিকে মঙ্গলবার রাতে তাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটি হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৮ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন ছিল। শিশুটি বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত পেয়েছে। উঠে দাঁড়াতে পারে না। 

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুরঞ্জন কুমার মুঠোফোনে বলেন, শিশুটি বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

শিশুটির মা রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, টাকা চুরির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। তারপর আমার ছেলেটিকে বিনা অপরাধে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতন করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয় তারা। তিনি বলেন, আমার ছেলে কোনো দোষ করেনি। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই। কিন্তু আমাকে মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। 

এবিষয়ে বুধবার রাতে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, শিশুটিকে খুঁটিতে বেঁধে রাখার কথা শুনেছি। আমি সশরীরে হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছি। শিশুটির অভিভাবককে মামলা দেওয়ার কথা বলেছি। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত থানায় অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে এসব বিষয় জানতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তিনি ফোন ধরেননি। তারপর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

রফিক খন্দকার/মাহফুজ