বাংলাদেশে জ্বালানি গ্যাস সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে ‘এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন’ উপলক্ষে সিলেটে নৌ-সমাবেশ করেছে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) সিলেট, সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর কাজিরবাজার ব্রিজের দক্ষিণ অংশে সুরমা নদীর তীরে এই নৌ-সমাবেশ করা হয়। নৌ-সমাবেশে বক্তারা পৃথিবীর অস্তিত্বের স্বার্থেই জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পের সম্প্রসারণ বন্ধ করে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
সমাবেশে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, উন্নত দেশসমূহ অতি মুনাফা লাভে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার করে বায়ুমণ্ডলে মাত্রাতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে অনুন্নত দেশগুলোর অস্তিত্ব সংকটে ফেলছে। আবার ঝুঁকিতে থাকা এসব অনুন্নত দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে অর্থ, প্রযুক্তি ও কাঁচামাল জোগান দিচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারে শীর্ষ দেশগুলা। আমরা যতদিন এ শৃঙ্খল থেকে বের হতে না পারবো ততদিন আমাদের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন।
‘এশিয়া ডে অফ অ্যাকশন’ জীবাশ্ম জ্বালানি বিশেষত প্রাকৃতিক গ্যাস ও এলএনজি প্রকল্পের সম্প্রসারণ এবং অর্থায়নের বিরোধিতা করে সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা সিলেটের সদস্য সচিব আবদুল করিম কিম বলেন, বাংলাদেশে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে যা পরিবেশ ও জলবায়ুর জন্য ক্ষতিকর। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ ইতোমধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বিরূপ আবহাওয়া এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই আন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে একটি ন্যায্য, টেকসই, এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ভিত্তিতে উন্নতির দিকে ধাবিত করার দাবি জানানো হবে।
ধরা সিলেটের আহ্বায়ক ডা. মোস্তফা শাহজামান চৌধুরী সভাপত্বিতে কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ফকরুজ্জামান ফখরুল, সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী, রেজাউল কিবরিয়া, রোমেনা বেগম রোজি, ডা. এনামুল হক, মোতাহের হোসেন সোহেল, নিগাত সাদিয়া, কালাম জুবায়ের নিশাত, শাহিন আহমেদ সিদ্দিকী, সুপ্রজিৎ তালুকদার, সোহাগ তাজুল আমিন, প্রকৌশলী মুস্তাসার চৌধুরী, সাংবাদিক শাকিলা ববি, আহমদ আল নাহিয়ান, শামসুল আলম জাকারিয়া প্রমুখ। এছাড়াও সিলেটের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই নৌ-সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/