ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

গৃহকরখেলাপি ও ঠিকাদারদের কড়া বার্তা চসিক মেয়রের

প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ পিএম
গৃহকরখেলাপি ও ঠিকাদারদের কড়া বার্তা চসিক মেয়রের
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগরের ৪১টি ওয়ার্ডের ৪১০০ জন শীর্ষ গৃহকরখেলাপিদের তালিকা তৈরির জন্য রাজস্ব বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগর ভবনে চসিকের রাজস্ব ও প্রকৌশল বিভাগের সঙ্গে সভায় তিনি এসব সিদ্ধান্ত জানান। 

প্রাথমিকভাবে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডের শীর্ষ ১০০ জন করে গৃহকরখেলাপিদের তালিকা ১ সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, আগামী রবিবার থেকে তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যাবেন। খেলাপিদের বকেয়া কর প্রদানের আহ্বান জানাবেন। কোনো স্থাপনা মালিক আর্থিকসংকটে থাকলে বিশেষ বিবেচনা করা হবে। তবে গায়ের জোর দেখিয়ে কেউ কর না দিলে আইনের আওতায় আনা হবে। গৃহকর বাড়ানোর পরিবর্তে যারা কর দিচ্ছে না তাদের কাছ থেকে আদায় নিশ্চিত করতে হবে। কর প্রদান অটোমেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের কর প্রদান সহজ করারও ঘোষণা দেন তিনি। 

চসিক মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশনের যেসব মার্কেট, হাট-বাজার-ঘাট আছে তা থেকেও রাজস্ব আদায় নিশ্চিত করতে হবে। হাট-ঘাট নিয়ে মামলা থাকলে তাও নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেবেন তিনি।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে আর্থিকভাবে সচ্ছল করার পাশাপাশি নগরীর অবকাঠামোগত উন্নয়নে প্রকৌশল বিভাগ ও রাজস্ব বিভাগের নাগরিক সেবামূলক কাজের মান বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে শাহাদাত বলেন, কাজের মান ঠিক না হলে ঠিকাদার বিল পাবে না। চট্টগ্রাম নগরীর অবকাঠামোগত সক্ষমতার সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন জড়িত। এ জন্য প্রকৌশল কাজের মান বাড়াতে হবে। ঠিকাদাররা যেসব নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করছেন, তা পরীক্ষা করা হবে। 

চসিকের আয় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দিয়ে মেয়র বলেন, চসিক বর্জ্য থেকে আয় করতে পারে। পচনশীল বর্জ্য দিয়ে সার বানানো যায়। প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে প্লাস্টিকের দানা বানানো যায়। এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পারলে বন্দরনগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি করপোরেশন আর্থিকভাবে লাভবান হবে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে আবর্জনা থাকলে তার দায় তাকেই নিতে হবে। প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেনস বাতিল করা হবে। বৈঠকে বারইপাড়া খাল প্রকল্প দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন মেয়র। এ ছাড়া সড়কে আলোকায়ন নিশ্চিত করা এবং বিদ্যুৎসাশ্রয়ী বাতি ব্যবহারেরও নির্দেশ দেন তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রাজস্ব কর্মকর্তা অফিসার মো. সাব্বির রহমান সানি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় এয়ারপোর্ট রোডসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি মো. আনিসুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, জসিম উদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, আনোয়ার জাহান, রিফাতুল করিম, তাসমিয়া তাহসিন, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর প্রমুখ।  

বিপ্লব উদ্যানে হবে গ্রিন পার্ক 

এদিকে চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে নতুন অবকাঠামো ভেঙে নাগরিকদের জন্য গ্রিন পার্ক নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার নগরীর দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম এবং সচিব আশরাফুল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে বিপ্লব উদ্যান এলাকা পরিদর্শন করেন মেয়র।

পরিদর্শন শেষে ডা. শাহাদাত বলেন, বিপ্লব উদ্যানের নতুন মার্কেটের জন্য করা স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এ বিপ্লব উদ্যান থেকে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যেটা ঠিক এর পেছনেই ছিল সেখান থেকে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি কর্নেল জানজুয়াকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বলেছিলেন, আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করছি। জিয়াউর রহমান তখন পাকিস্তানি আর্মির মেজর ছিলেন। বিদ্রোহ করার কারণে তার কোর্ট মার্শাল হতে পারত। মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সেদিন তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। সেটার জন্য এ বিপ্লব উদ্যান ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থান।

মেয়র বলেন, বিপ্লব উদ্যানে মার্কেটের জন্য যে স্থাপনাগুলো করা হচ্ছে সেগুলো ভেঙে দেওয়া হবে। এখানে কোনো নতুন স্থাপনা হবে না। এখানে সবুজের সমারোহ হবে। এখানে আবারও পাখি ডাকবে। মানুষ হাঁটবে ও অক্সিজেন নেবে। মালিক সমিতির যিনি সেক্রেটারি আছেন আমি তাকে নির্দেশ দিচ্ছি, এখানে নবনির্মিত লোহার কাঠামাগুলো ভেঙে দেবেন। আমরা এখানে একটি গ্রিন পার্ক করব।

উল্লেখ্য, চসিকের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিপ্লব উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের দায়িত্ব দেন রিফর্ম লিমিটেড ও স্টাইল লিভিং আর্কিটেক্টস লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠানকে। সেখানে দোতলা একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়। যার পুরোটাই খাবারের দোকান। চুক্তিতে ছিল, উদ্যানের পূর্ব পাশে প্রত্যেকটি ১৫০ বর্গফুটের মোট ২৫টি দোকান নির্মাণ করা যাবে। কিন্তু প্রতিটি দোকান করা হয় ২০০ বর্গফুটের।

 

দেশের মাটিতে কেউ হাত দিলে, সে হাত ভেঙে দেব: হান্নান মাসউদ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ পিএম
দেশের মাটিতে কেউ হাত দিলে, সে হাত ভেঙে দেব: হান্নান মাসউদ
হাতিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ। ছবি: খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ড. ইউনূসের হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। অপরাধীর চোখের দিকে তাকিয়ে তাকে অপরাধী বলতে হবে। আমাদের দেশের মাটির প্রতি কোনো দেশ যদি হাত বাড়ায় সে হাত আমরা ভেঙে দেব।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার পরিষদ মাঠে স্থানীয়দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঐক্য ও সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

হান্নান মাসউদ বলেন, ভারত তার এজেন্ট শেখ হাসিনাকে মসনদে বসিয়ে দেশকে ধ্বংস করেছে। শুধু দেশকে ধ্বংস করে শেষ হয় নাই, দিল্লিতে বসে এখনো বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তার এ স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, দিল্লিতে বসে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে সে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানাই। যে দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান একসঙ্গে বসে খায়, একসঙ্গে স্লোগান ধরে, সে দেশ কখনো সাম্প্রদায়িক দেশ হতে পারে না।

জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের কথা স্মরণ করতে গিয়ে তিনি হাতিয়াবাসীর উদ্দেশে বলেন, এখানে বৈষম্যবিরোধী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। এখানে বৈষম্যেবিরোধী লড়াই হয় নাই বলে দ্বীপবাসী এখনো এর তাৎপর্য বুঝতে পারেনি।

এ সময় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর সমালোচনা করে বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী নিজের রাজনীতির স্বার্থে যখন যাকে ইচ্ছে তাকে হত্যা ও নির্যাতন করেছে। এ পর্যন্ত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে তার মতের বিরুদ্ধে থাকায়। এ এলাকার মানুষ জুলাই অভ্যুত্থানের পর মুক্তি পেয়েছে।

মাসুদ বলেন, ফ্যাসিস্টের দোসর মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এ ছাড়া জুলাই অভ্যুত্থানের পর যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে আইনের আওতায় আনতে হবে। নতুন করে হাতিয়ায় আর কোনো চাঁদাবাজি চলবে না। যেখানে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে, সেখানে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

এ সময় হাতিয়া উপজেলা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মো. হানিফ উদ্দিন সাকিব/মাহফুজ

 

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৪ পিএম
সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ
বিজিবির হাতে আটক মালামাল। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন সীমান্তে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার চোরাচালানি মালামাল জব্দ করেছে সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)। ১০ ও ১১ ডিসেম্বরে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এসব মালামাল জব্দ করা হয়।

৪৮ বিজিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ও বুধবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) দায়িত্বাধীন বাংলাবাজার, সোনালীচেলা, সংগ্রাম, তামাবিল, পান্থুমাই, বিছনাকান্দি এবং কালাইরাগ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ভারতীয় চিনি, কমলা, শীতের কম্বল, সাবান, মোমেটা স্কিন ক্রিম, গরুর মাংস, গরু, চকলেট, সুপারি, বিড়ি, বিয়ার, মোটরসাইকেল, বাংলাদেশ হতে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ রসুন, শিং মাছ চোরাচালানি মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারি নৌকা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৭১ হাজার ১৫০ টাকা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্তবর্তী এলাকার অভিযান পরিচালনা করে চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত চোরাচালানি মালামাল বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

চসিকের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হবে খেলার মাঠ-শিশুপার্ক: মেয়র

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
চসিকের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হবে খেলার মাঠ-শিশুপার্ক: মেয়র
দুটি মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি : খবরের কাগজ

শিশুদের আনন্দময় শৈশব উপহার দিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়তে চান বলে জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুটি মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

এ সময় চসিক মেয়র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ওয়ার্ডেও খেলার মাঠ ও শিশুপার্ক গড়তে চাই।’ এদিন ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশখালকে ঘিরেও একটি সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ১৬ হাজার ৮৭৭ টাকা। 

আর ফিরোজ শাহ মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধনে ৩ কোটি ২ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫৭  টাকা এবং ২ কোটি ৭৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে ১১ নং ওয়ার্ডের বহুরূপী মাঠের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। 

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, ‘আমার ইচ্ছা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডেই খেলার মাঠ, ওয়াকিং স্পেস ও শিশুপার্ক  গড়ে তুলব। ফিরোজ শাহ ও বহুরূপী মাঠ উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা যুবসমাজকে শরীরচর্চার সুযোগ দিতে চাই, যা তাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘নাগরিকদের সুস্থ বিনোদন সুবিধা বাড়ানোর লক্ষ্যে আমি চসিকের বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। সরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গেও ভূমি বরাদ্দের জন্য যোগাযোগ করেছি। আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, জিয়া শিশুপার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা কমপ্লেক্স নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে পদক্ষেপ নিয়েছি। বিপ্লব উদ্যানে একটা স্ট্রাকচার করা হচ্ছিল, সেটি ভেঙে গ্রিন পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ আমি দেখেছি শিশুদের খেলার অধিকার নিয়েও বৈষম্য তৈরি হয়েছে। টার্ফ হওয়ার ফলে অসচ্ছল ঘরের ছেলেরা খেলতে পারছে না। এ কারণে আমার ইচ্ছা প্রতিটি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ নিশ্চিত করা। শিশুদের খেলার মাঠে ফেরাতে পারলে মাদক সমস্যা, কিশোর গ্যাং কমে আসবে।’

 

হাতকড়া নিয়ে মায়ের জানাজায় ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
হাতকড়া নিয়ে মায়ের জানাজায় ছাত্রলীগ নেতা
হাতকড়া পরা অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চুয়াডাঙ্গায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন। তার হাতে হাতকড়ার ছবি ও ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা চলছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি পান জাহাঙ্গীর হোসেন। এরপর হাতকড়া অবস্থায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন।

তিনি পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি। নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ১২ নভেম্বর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্টোকজনিত কারণে জাহাঙ্গীরের মা আলেয়া খাতুনের (৭০) মৃত্যু হয়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের দাফনে অংশ নিতে জাহাঙ্গীরের প্যারোলে মুক্তি চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করা হয়। পরে বেলা ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেওয়া হয়।

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে পুলিশি প্রহরায় প্রথমে নিজের বাড়িতে যান জাহাঙ্গীর। হাতকড়া পরেই মায়ের লাশের খাটিয়া বহন করেন এবং জানাজা ও দাফনে অংশ নেন। জানাজার সময় তার হাতকড়ার ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে অনেকেই সমালোচনা করেছেন এই বিষয়টি নিয়ে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা খবরের কাগজকে বলেন, সার্বক্ষণিক পুলিশি পাহারায় থাকতে হবে।

আফজালুল হক/মাহফুজ/

 

সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন নিয়ে সাংবাদিক-বেলা মতবিনিময়

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ পিএম
সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন নিয়ে সাংবাদিক-বেলা মতবিনিময়
সাংবাদিকদের সঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির মতবিনিময়। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বর্তমান অবস্থা বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) সিলেট। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর ধোপাদিঘীর পাড়ের হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালের কনফারেন্স হলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি সিলেটের বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শাহ সাহেদা আখতারের পরিচালনায় সভায় সিলেটের বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করে।

সভায় মুক্ত আলোচনায় সিলেটের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন ও বর্তমান অবস্থা এবং করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সাংবাদিকরা পূর্বের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা করে এবং বেলার পক্ষ থেকে পাথর উত্তোলন ও ওইসব এলাকার বর্তমান অবস্থা যথাযথ জরিপ করার আহ্বান ও বিভিন্ন সুপারিশও প্রদান করে।

বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সিলেটের বিভাগীয় প্রধান আইনজীবী সৈয়দা শিরীন আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় পাথর উত্তোলনের ফলে পরিবেশের বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনা করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সফিকুল ইসলাম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মিসবাহ উদ্দিন। এছাড়াও বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বার অ্যাডভোকেট মো. ইরফানুজ্জামান চৌধুরী এ সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনি বিষিয় নিয়ে আলোচনা করেন।

সাংবাদিকদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দীকি, দৈনিক সিলেটের ডাকের সিনিয়র রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী, সমকাল প্রতিনিধি ফয়সল আহমদ বাবলু, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের দেবাশিষ দেবু, দৈনিক কালের কণ্ঠের ইয়াহিয়া ফজল, ডিবিসি নিউজের প্রত্যুষ তালুকদার, বণিক বার্তার নূর আহমদ, দ্য ডেইলি স্টারের দোহা চৌধুরী, দৈনিক খবরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক শাকিলা ববি, ৭১ টিভির হুসাইন আহমদ সুজাদ, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ইয়াহিয়া মারুফ, বিডি নিউজ টুয়েন্টিফোরের বাপ্পা মিত্র প্রমুখ।

শাকিলা ববি/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });