ঢাকা ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪
English

রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শুরু হলো স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমের কার্যক্রম

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম
রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে শুরু হলো স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমের কার্যক্রম
ছবি: খবরের কাগজ

পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমে প্রথম ইগনিশনের মাধ্যমে বাষ্প সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি সংস্থা রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরামহীন এবং নিরাপদ পরিচালনের জন্য বয়লার রুমটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুমে উৎপাদিত বাষ্প বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিশনিং কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার মধ্যে রয়েছে রিয়্যাক্টরের ‘হট রানিং’ এবং টার্বাইন কনডেনসারে ট্রায়াল ভ্যাকুয়াম সাপ্লাই। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু অবস্থায় শিডিউল রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও এই বয়লারটির প্রয়োজন পড়ে। 

এ ছাড়া প্রকল্প সাইটে বিভিন্ন স্থাপনায় গরম পানি সরবরাহ এবং জরুরি শটডাউনের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ ইউনিটের নিরাপদ পরিচালন নিশ্চিত করে রুমটি।

এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের বাংলাদেশ প্রকল্প বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট আলেক্সি দেইরি জানান, রূপপুর প্রকল্পের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে আমাদের লক্ষ্য অর্জন এবং অঙ্গীকারগুলো বাস্তবায়ন করছি। স্টার্ট-আপ স্ট্যান্ডবাই বয়লার রুম চালুর মাধ্যমে এবার আমরা আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জন করলাম। এটি পরবর্তীতে কমিশনিং কাজে সহায়তা করবে এবং প্রকল্পের অনেকগুলো স্থাপনার অপারেশন্স নিশ্চিত করবে। এই সব কিছুই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নিরাপদ পরিচালনার জন্য আবশ্যক।

রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রূপপুরে নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

প্রকল্পটিতে দুটি বিদ্যুৎ ইউনিট থাকবে এবং এর মোট উৎপাদন ক্ষমতা হবে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে স্থাপিত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর যা সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।

রসাটম প্রকৌশল শাখা জেনারেল ডিজাইনার এবং কন্ট্রাকটর হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন/নাইমুর/সাদিয়া নাহার/

আরাকান আর্মির দখলে মংডু শহর, সতর্ক বিজিবি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
আরাকান আর্মির দখলে মংডু শহর, সতর্ক বিজিবি
ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে মায়ানমার ওপারে বিমান হামলা ও বোমার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। মায়ানমার মংডু শহরের হান্দা পাড়া এলাকায় জান্তা সরকারের শেষ ঘাঁটি সেটি দখলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। সর্বশেষ জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল (নাখাখা) কেরাম নামে ক্যাম্পটি এবং সেটি আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে।   

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে সীমান্তে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মায়ানমারে সংঘাতের কারণে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মায়ানমার ওপারে কোনো ধরনের বোমা বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে না। 

মায়ানমারের মংডু শহরের বসবাসকারীরা বলেন, চলমান সংঘর্ষের কারণে মংডু শহরের পরিস্থিতি দিন দিন ব্যাপক আকারে ধারণ করেছে। মংডু শহরের ৮-১০টি জান্তা সরকারের ক্যাম্প রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি ক্যাম্প দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। ৮ ডিসেম্বর জান্তা সরকারের সর্বশেষ মংডু শহরের হান্দা পাড়া ক্যাম্পটি দখল করে দিয়েছে আরাকান আর্মি। দখল করার পর থেকে মংডু শহরে কারফিউ জারি করেছে আরাকান আর্মি। গত কয়েকদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের ইউনিয়নের লোকজন আতঙ্ক ও ভয়ে রাত দিন পার করছে। চলমান যুদ্ধের কারণে মংডু শহরের জোলা পাড়, হাদিবিল, সিকদার পাড়া, তিন মাইল এস এলাকায় জনশূন্য এবং এসব এলাকায় আরাকান আর্মি বসবাস করছে বলে জানা যায়।

টেকনাফ পৌরসভা চৌধুরি পাড়া এলাকার বাসিন্দার ইমাম শরীফ বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি এবং আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধের কারণে রাতে ঘুমাতে খুবই কষ্ট হত এবং আতঙ্কে দিন পারছি পরিবার নিয়ে। বিমান হামলা ও বোমার শব্দে কেঁপে উঠে বাড়িঘর।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি। মায়ানমার রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীতে টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। নাফ নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং বাংলাদেশের জলসীমায় বিদ্যমান দ্বীপের আধিপত্য বিস্তারের জন্য নৌ টহল পরিচালনা করা হয়। সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় বিজিবি ২৪ ঘণ্টা জলে ও স্থলে টহল পরিচালনা করা যাচ্ছে। এছাড়া সীমান্তের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়ও রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে সকল নৌকা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরার ট্রলারকে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে এবং সেন্টমার্টিনগামী কোনো ধরনের নৌযান অনুমোদন রেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় সকল নৌযান চালু করা হবে।  

মো. শাহীন/মাহফুজ/এমএ/

সুন্দরবন থেকে ৪৩ জেলে আটক, জরিমানায় মুক্তি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম
সুন্দরবন থেকে ৪৩ জেলে আটক, জরিমানায় মুক্তি

সুন্দরবনের পশ্চিম সাতক্ষীরা রেঞ্জের অভয়অরণ্য এলাকায় বিশেষ অভিযানে হলদেবুনিয়া, নটাবেকী ও পুষ্পকাটি এলাকা থেকে মাছ ধরার সরঞ্জামাদিসহ ১০টি নৌকা ও ৪৩ জেলে আটক করেছে বন বিভাগের সদস্যরা।

আটকের বিষয় নিশ্চিত করেছেন বিশেষ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মশিয়ার রহমান।

অভিযানে বিশেষ দায়িত্বে থাকা বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত থেকে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকা হিসেবে ঘোষিত হলদেবুনিয়া, নটাবেকী ও পুষ্পকাটি টহল ফাড়ির বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪৩ জেলেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মাছ ধরার সরঞ্জামাদিসহ ১০টি নৌকা জব্দ করা হয়।

তিনি আরও জানান, বিশেষ এই অভিযানে পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক এসিএফ মো. মশিউর রহমানের নেতৃত্বে নটাবেকী বনটহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ, হলদেবুনিয়া বনটহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ও পুষ্পকাটি টহল ফাঁড়ির (ওসি) আ. ছালাম অংশ নেন।

এবিষয়ে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. মশিয়ার রহমান বলেন, আটক জেলেরা বনবিভাগের অনুমতি না নিয়ে অভয়ারণ্য এলাকায় মাছ শিকারের দায়ে তাদের আটক করা হয়। পরে তাদের বনআইনে (সিওআর) ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

সুলতান শাহাজান/এমএ/

সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৮ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
সীমান্ত থেকে এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
ছবি: সংগৃহীত

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পঁয়ষট্টিবাড়ি মাস্টার পাড়া সীমান্ত থেকে বাংলাদেশি নাগরিক খায়রুল ইসলাম (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

খায়রুল ইসলাম ওই ইউনিয়নের খেংটি গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম অহির উদ্দিন।

সীমান্ত সূত্র ও স্থানীয়রা জানায়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৪৩ ও উপপিলার ৪ নম্বরের পানিশালা সীমান্ত এলাকা দিয়ে উভয় দেশের ৪ থেকে ৫ জনের একটি চোরাকারবারির দল ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য পাচার করতে থাকে। এ সময় ভারতীয় জলপাইগুড়ি ৯৮ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পানিশালা বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা উভয় দেশের চোরাকারবারিদের ধাওয়া করে।

এ সময় অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও খায়রুলকে আটক করে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফের সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকেলে সীমান্ত আইন সংক্রান্ত মামলা দিয়ে মেখলিগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট খায়রুল ইসলামকে হস্তান্তর করে বিএসএফ।

এ ঘটনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ওই সীমান্তের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পঁয়ষট্টিবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুর রহিমের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বিস্তারিত জানাতে রাজি না হয়ে ব্যাটালিয়নের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ বিষয়ে রংপুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর অধিনায়ক শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, মূলত বিএসএফ যাকে আটক করে নিয়ে গেছে সে চোরাকারবারি। ভারতের অভ্যন্তরে পানিশালা নামক এলাকা থেকে তাকে আটক করেছে বিএসএফ।

মিনহাজ পারভেজ/মাহফুজ/এমএ/

বেনাপোলে বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা হামলা

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৭ পিএম
বেনাপোলে বিএনপি নেতার বাড়িতে বোমা হামলা
ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে বোমা হামলা। ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের বেনাপোল সীমান্তের গাতিপাড়া গ্রামে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান এ এস এম মাহবুবুল আলমগীর সিদ্দিকীর বাড়িতে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মাহবুবুল আলমগীর সিদ্দিকী বলেন, বিগত আওয়ামী সরকারের আমলেও আমি এই ইউনিয়নে বার বার ইউপি সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হয়েছি। জনণের কল্যাণে কাজ করায় একটি মহল বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমার কর্মকাণ্ডকে পছন্দ করছে না, যার ফলে তারা ঈর্ষাম্বিত হয়ে আমার বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এরা সীমান্ত-সংলগ্ন গ্রাম হওয়ায় অপরাধমূলক কাজ করে আবার ভারতে পালিয়ে যায়। শক্তিশালী বোমা হামলার ঘটনায় এলাকার মানুষ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভারতে পালিয়ে আবার সীমান্ত পেরিয়ে রাতের আঁধারে এসে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ভারতে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ ছাড়া এ ঘটনায় নিন্দা ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, বেনাপোল পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভরত, শার্শা উপজেলা বিএনপি যুবদলের আহ্বায়ক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম প্রমুখ।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, বোমা হামলার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নজরুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

এবার ভারতীয় চাদর পুড়িয়ে দেশি কাপড় বেচলেন রিজভী

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পিএম
এবার ভারতীয় চাদর পুড়িয়ে দেশি কাপড় বেচলেন রিজভী
ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে রাজশাহীতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এবার রাজস্থানের জয়পুর টেক্সটাইলের একটি বিছানার চাদর পুড়িয়ে দেশটির পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রাজশাহীতে ‘দেশীয় পণ্য কিনে হও ধন্য’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি বিছানার চাদরটি ছুড়ে ফেলে দিলে নেতা-কর্মীরা তাতে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেন। অনুষ্ঠানে দেশীয় কিছু কাপড় স্বল্পমূল্যে বিক্রি করা হয়।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ভুবন মোহন পার্কে ভারতীয় পণ্য বর্জন ও দেশি পণ্য ব্যবহারে উৎসাহিত করতে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রিজভী।

ভারতের মুখাপেক্ষী থাকব না জানিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘ওরা মনে করেছে, আমরা তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাদের ছাড়া আমাদের চলবে না। এখন দেখছে কলকাতা নিউমার্কেট বন্ধ, দোকানগুলো চলে না। আমরা আর কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না। এ বিষয়টা আমরা ভারতকে জানিয়ে দিতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের টাঙ্গাইলের শাড়ি, কুমারখালির লুঙ্গি-গামছা সারা পৃথিবীতে রপ্তানি হয়। আমাদের জামদানি শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, রাজশাহীর সিল্ক পৃথিবী বিখ্যাত। এখনও বিয়ে-শাদি হলে রাজশাহী সিল্ক পরিধান করে। তাহলে কেন বাংলাদেশের নারীরা ভারতীয় শাড়ি কিনবেন? কিনতে আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যখন আমাদের উপহাস করে, তখন আমরা কেন কিনব? কেন আমরা মুখাপেক্ষী থাকবো?’

রিজভী বলেন, বাংলাদেশে বার্ষিক ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা। উৎপাদন করি ৩৭ লাখ টন। নানা কারসাজি করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হয় এবং ভারত থেকে কোটি কোটি টাকা দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ঠিক করা যায় তাহলে কেউ ভারতীয় পেঁয়াজ নেবে না।

তাবেদারির কারণেই শেখ হাসিনা ভারতের প্রিয় ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ভারতের পণ্য বর্জন করছি কারণ তারা এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে না। তাদের বন্ধুত্ব শুধু শেখ হাসিনার সঙ্গে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাকি গোস্যা হয়েছেন, কষ্ট পেয়েছেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যা দখল করতে এলে আমরা কি ললিপপ খাব? আমি বলে রাখি আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকাবেন, তাহলে কি আমরা আমলকি চুষব?

রাজশাহী নগর বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহ খালিদ হাসান চৌধুরী পাইন, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এ সময় নগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুনের সঞ্চালনায় বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/মাহফুজ/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });