ঢাকা ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
English

রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক তুহিন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক তুহিন গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার তুহিন। ছবি: খবরের কাগজ

বিস্ফোরক আইনের মামলায় রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক আশিকুর রহমান তুহিনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)  বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৫ সদর দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার আশিকুর রহমান তুহিন নগরীর বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং বোয়ালিয়া থানা (পূর্ব) আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিকুর রহমান কালুর ছেলে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান তুহিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত ২৫ সেপ্টেম্বর মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় এই মামলাটি  করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে  নওগাঁয় অভিযান চালিয়ে জেলার ডাক্তারের মোড় এলাকা থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৫ । গ্রেপ্তারের পর তাকে  বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজশাহী চেম্বারের পরিচালক তুহিন ছাত্রলীগ কর্মী জীবন শেখ হত্যা মামলারও আসামি ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করা নিয়ে ২০১৫ সালের ২৮ মে রাতে নগরের রাণীবাজার এলাকায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে গুলি বিনিময়, ভাঙচুর ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে জীবন শেখ নামের ওই ছাত্রলীগকর্মী মারা যান এবং আরও অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ঘটনায় তুহিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা হয়েছিল। পরে ঐ মামলা থেকে পার পেয়ে যান তিনি।

এদিকে, তুহিনের বাবা আতিকুর রহমান কালু একাধারে ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। তিনি উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুহাট রাজশাহীর 'সিটিহাট' এর ইজারাদার। আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট কালুর নামে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনিও পলাতক রয়েছেন।

এনায়েত করিম/মাহফুজ/সুমন/এমএ

বাবা শহিদ রাব্বির বুকে ঠাঁই হলো না সন্তানের

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ পিএম
বাবা শহিদ রাব্বির বুকে ঠাঁই হলো না সন্তানের
ছবি : খবরের কাগজ

রুমি খাতুনের কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান। শীতের রাতে কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশের মাঝেই সন্তানের মুখ দেখে আনন্দে অশ্রুবরণ করল মা। কিন্তু সেই আনন্দে যেন বেদনারও সংমিশ্রণ। বিষণ্নতার সঙ্গে অশ্রুসিক্ত গোটা পরিবার। গতকাল বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সারা দিন এমন পরিবেশ তৈরি হয় মাগুরা জেলা শহরের ল্যাব সিটি মেডিকেল সার্ভিসেস ক্লিনিকে। কন্যা সন্তানটির বাবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান রাব্বি।

নিহত রাব্বির স্বজন শফিকুল ইসলাম জানান, মা ও মেয়ে দুজনই ভালো আছে। শারীরিক কোনো জটিলতা নেই বলে তারা চিকিৎসক থেকে জানতে পেরেছেন। রাব্বীর মৃত্যুর সময় তার স্ত্রী রুমি খাতুন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্বামী হারানোয় তিনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। সেই শোক নিয়ে দীর্ঘ চার মাস পর কন্যা সন্তানের মুখ দেখে মায়ের মুখে আনন্দের পাশাপাশি ছিল তীব্র বেদনার রেশ। 

মেহেদী হাসান রাব্বি মাগুরা পারনান্দুয়ালী সংলগ্ন বরুনাতৈল এলাকার মৃত মইন উদ্দিনের ছেলে। মাগুরা জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন তিনি। গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তিনি মাগুরা পারনান্দুয়ালী উপশহরের ব্রিজ এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিতে নিহত হন।

নিহত রাব্বির স্ত্রী কানিফ ফাতেমা রুমি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে আমার স্বামীর জন্য দোয়া চাই। আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতবাসী করে। সবাই আমার বাচ্চার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন আমার স্বামীর আদর্শে আমার সন্তানকে মানুষ করতে পারি।’ 

স্বামী হত্যার বিচার না পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কার কাছে বিচার চাইব, যেখানে পুলিশ প্রটেকশনে আওয়ামী লীগ দিয়ে আমার স্বামীকে হত্যা করিয়েছে। অথচ এখন পর্যন্ত পুলিশ একজন খুনিকেও গ্রেপ্তার করতে পারল না। এর কি আর বিচার হবে? হলে চার মাসে বিচার হতো। সরকার যদি এর বিচার না করতে পারে, তাহলে আমার কাছে তারা স্বীকার করুক যে তারা ব্যর্থ। তারপর আমি আল্লাহ পাকের কাছে ছেড়ে দেব, তিনি যেন এর বিচার করেন।’ 

নিহত রাব্বির মা সালেহা বেগম বলেন, ‘বাচ্চা গর্ভে আসার পর আমার ছেলের খুব শখ ছিল তার সন্তানকে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে, বিভিন্ন কিছু কিনে দেবে। আজ সন্তান দুনিয়াতে এসেছে কিন্তু আমার ছেলে এ দুনিয়া থেকে চলে গেল।’

রাব্বীর মৃত্যুর ঘটনায় গত ১৩ আগস্ট মাগুরা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের ভাই ইউনিস আলী। ওই মামলায় মাগুরার আওয়ামী লীগের দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাদের আসামি করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে প্রায় ১৫০ জনকে। তবে চার মাসেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার দেখাতে পারেনি পুলিশ।

এদিকে সন্তান জন্মদানের খবর শুনে বুধবার দুপুরে ক্লিনিকটিতে শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান।

শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৪ দিন পর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৯ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
শিশু অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, ৪ দিন পর মরদেহ উদ্ধার
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্তরা। ইনসেটে শিশু আহনাফ আল মাঈন নাশিত। ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীতে অপহরণের চার দিন পর আহনাফ আল মাঈন নাশিত (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে ফেনী সদর উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ ময়লার ভাগাড় সংলগ্ন ঢাকা-চট্রগ্রাম রেললাইনের পাশে একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় পুলিশ বুধবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে। 

আটকরা হলেন- আশ্রাফ হোসেন তুষার (২০), মোবারক হোসেন ওয়াসিম (২০) ও ওমর ফারুক রিপাত (২০)। তারা সবাই ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কের বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকালে ফেনীর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসপি হাবিবুর রহমান বলেন, ৮ তারিখ বিকালে ফেনী শহরের আতিকুল আলম সড়কের লাইটিং হাউজিং কোচিং সেন্টারে পড়তে যায় ওই এলাকার অস্থায়ী বাসিন্দা রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন সোহাগের ছেলে নাশিত। কোচিং শেষে ঘরে না ফেরায় ৯ তারিখে নাশিতের পিতা সোহাগ ফেনী মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। গত দুই দিন ধরে একটি মোবাইল থেকে নাশিতের পিতা সোহাগকে কল করে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

পুলিশ সুপার বলেন, বুধবার তুষার নামের এক ব্যক্তির কথাবার্তায় নাশিতের পিতার সন্দেহ হলে সে পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ তুষারকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রাত ২টার দিকে তুষার অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। পুলিশ তুষারের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনায় জড়িত আরও দুইজনকে আটক করে।

পুলিশ সুপার আটকদের ভাষ্য উল্লেখ করে বলেন, অপহরণকারীরা ভিকটিমের পূর্ব পরিচিত। ৮ তারিখ সন্ধ্যায় কোচিং সেন্টার থেকে ফেরার পথে ভিকটিমকে সিএনজি করে ঘুরতে বের হয় অপহরণকারীরা। পরে তাকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেওয়া হয়। এসময় ভিকটিমের পিতার কাছে কল দিয়ে ১২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ঘুম থেকে উঠে ভিকটিম কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে গলায় কাপড় প্যাঁছিয়ে হত্যা করা হয়। পরে শিশু নাশিতের মরদেহ গুম করতে ফেনী শহরের নির্জন এলাকা দেওয়ানগঞ্জ রেললাইনের পাশে একটি ডোবার ভেতর লুকিয়ে রাখে। মরদেহটি পানিতে ভেসে না ওঠার জন্য ভিক্টিমের স্কুল ব্যাগে পাথর ভরে চাপা দেওয়া হয়। পরে আটকদের দেওয়া তথ্য মতে মরদেহটি উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সংবাদ সম্মেলন শেষে আটকদের ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ভিকটিমের পিতা মাঈন উদ্দিন সোহাগ বলেন, কী কারণে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে তা জানি না। তারা আমার কাছে ১২ লাখ টাকা চেয়েছে। আমি টাকা জোগাড় করে তাদের কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। আমি আমার সন্তান হত্যার বিচার চাই।

তোফায়েল আহাম্মদ নিলয়/মাহফুজ/

 

সাবেক মেয়র ও আ.লীগ নেতার দখলে থাকা ৩০০ বিঘা জমি উদ্ধার

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৫ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ পিএম
সাবেক মেয়র ও আ.লীগ নেতার দখলে থাকা ৩০০ বিঘা জমি উদ্ধার
বেনাপোলে জমি দখলমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন। ছবি: খবরের কাগজ

দীর্ঘ ১২ বছর পর যশোরের শার্শায় সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতার দখলে থাকা ৩০০ বিঘা সরকারি খাস জমি দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন।

বৃহস্প্রতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী নাজিব হাসানের নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) নুসরাত ইয়াসমিন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির আব্বাস এবং  স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তার যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এর আগে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের হরিণাপোতা মৌজার ওই জমি দখল করে রাখেন বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এবং বাহাদুরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।

এ সময়  দখলে থাকা ৩০০ বিঘা জমি দখলমুক্ত করা হয় । এ ছাড়া সেখানে ১৫০টি বাঁশের খুটিতে লাল পতাকা টাঙিয়ে সীমানা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়।

জানা যায়, ২০১২ সালে শার্শার হরিণাপোতা বিলে সরকারি ৩০০ বিঘা সরকারি খাস জমি দখলে নিয়ে সাবেক পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান পুকুর কেটে সেখানে মাছ চাষ করতে থাকে।

গত এক মাস আগে একই বিলে সাবেক এমপি আফিল উদ্দিনের দখলে থাকা ১৩০ বিঘা জমি দখলমুক্ত করে উপজেলা প্রশাসন। সাবেক এই এমপি আফিল ব্রিডার ফার্মের নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সেখানে মাছের চাষ করতেন।

এ বিষয়ে ইউএনও কাজী নাজিব হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি এই জমি অবৈধভাবে দখল করে ভোগদখল করে আসছিল সাবেক মেয়র লিটন ও মফিজুর রহমান। পরে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আজ তা দখলমুক্ত করেছি।

নজরুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

সাদ অনুসারীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে জুবায়েরপন্থিদের সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
সাদ অনুসারীদের জোড় ইজতেমা ঠেকাতে জুবায়েরপন্থিদের সড়ক অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর
ছবি: খবরের কাগজ

ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বেলা ১টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় মাওলানা জুবায়েরের পাঁচ শতাধিক অনুসারী অবস্থান নেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে মহাসড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এসময় সাদপন্থীদের গাড়ি ভাঙচুর করে জুবায়েরপন্থীরা। পরে পুলিশের অনুরোধে বিক্ষুব্ধরা মহাসড়ক ছেড়ে ইজতেমা ময়দানে চলে যায়।

এ ঘটনায় সাদপন্থীদের ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাওলানা বসির (৫২) ও মাওলানা আতাউর (৫৪) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা পালন করে কয়েক হাজার মুসল্লি। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরে জোড় ইজতেমায় আয়োজনের অনুমতি চায় ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির আয়োজক কমিটির (বাংলাদেশের) শীর্ষ মুরব্বিরা। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তে দ্বিতীয় দফায় জোড় ইজতেমার অনুমোতি দেওয়া হয়নি মাওলানা সাদের অনুসারীদের।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলবির ইজতেমা আয়োজক কমিটির কয়েকজন শীর্ষ মুরব্বি ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম অংশে যান। এতে বাধা দেন জুবায়ের অনুসারীরা। ময়দানে প্রবেশ করতে না পেরে সাদ অনুসারীরা পুলিশের সহযোগিতা চেয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় যায়। পরে পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় সাদপন্থীরা ময়দানের দিকে রওনা হলে আগে থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে অবস্থান করা জুবায়ের অনুসারীরা ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মন্নুগেট এলাকায় সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালায়। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা সাদ অনুসারীদের দুইজন আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজধানীর উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

জুবায়েরপন্থী ইজতেমা আয়োজক কমিটির মুরব্বি মাহফুজ হান্নান বলেন, আজ তারা ইজতেমা ময়দানের বিদেশি মেহমানখানায় প্রবেশের চেষ্টা করেন। তাদের ময়দানে জোড় ইজতেমা আয়োজন করার অনুমোতি দেওয়া হয়নি। তারা অবৈধভাবে ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করলে আমাদের সাথীরা (জুবায়ের অনুসারী) তাদের প্রতিহত করে। 

ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভির ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম বলেন, আগামী ২০ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপে জোড় ইজতেমা আয়োজন করতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। পরে পুলিশ সদস্যদের নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমরা ময়দানে প্রবেশ করিনি। তারা আমাদের একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে দুইজনকে আহত করেছে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী ২০১৮ সালে সাদপন্থীদের হামলার বিচারের দাবি জানায়। এ সময় তারা সাদ অনুসারীদের একটি প্রাইভেটকারে ভাঙচুর করে।

এদিকে, হামলা ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুর ৩টার দিকে ইজতেমার পশ্চিম পাশের মসজিদে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন সাদ পন্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে সাদ পন্থীরা বলেন, হামলার ঘটনায় দ্রুত মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে যেকোনো মূল্যে ডিসেম্বরেই জোর ইজতেমা মাঠে করা হবে। 

পলাশ প্রধান/মাহফুজ/

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে সংস্কার আসছে: উপাচার্য

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৯ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে সংস্কার আসছে: উপাচার্য
রাজশাহী কলেজের সেমিনারে বক্তব্য রাখেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাসে সংস্কার আসছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)  ‘বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চ শিক্ষায় একাডেমিক পারফরম্যান্সের ওপর ক্লাসে অনুপস্থিতির প্রভাব: সরকারের ওপর একটি অধ্যয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সেমিনারে উপাচার্য আরও বলেন, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার দরকার। দেশের মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য প্রথমে এই দুটি সংস্কার করতে হবে। তবেই উন্নত দেশগুলোর মতো উন্নত হতে পারবে আমাদের দেশের মানুষ। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বেশ কিছু পরিবর্তন আসছে। পাশাপাশি অনার্স কোর্সের সঙ্গে একটা বাধ্যতামূলক কারিকুলাম শিক্ষা চালু করতে যাচ্ছি।

রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মু. যহুর আলীর সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কলেজে উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. ইব্রাহিম আলী, রাজশাহী কলেজ শিক্ষক পরিষদের সভাপতি ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. সেরাজ উদ্দীন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জুবাইদা আয়েশা সিদ্দীকা, নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. জহিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমিনুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. তৌহিদুল ইসলাম, নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সামসুল হক, বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শওকত আলম মীর, পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আব্দুল আউয়াল মিয়া ও জয়পুরহাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম।

এনায়েত করিম/নাবিল/এমএ/

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });