ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০২ এএম
বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা
বেপরোয়া মমেক হাসপাতালের কর্মচারীরা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড। ঘটনাটি গত ২৮ অক্টোবর রাত দেড়টার দিকে। আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ট্রলিবয় রুহান হোসেন রুপু একজন রোগী নিয়ে ওই ওয়ার্ডে গিয়ে লাইট জ্বালিয়ে হল্লা করেন। 

এ সময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত এক রোগী লাইট জ্বালাতে নিষেধ করলে ট্রলিবয় রুপু আহত রোগীদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। শুরু হয় কথা-কাটাকাটি। একপর্যায়ে রুপু অন্য ট্রলিবয়দের ডেকে এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন সোহেল, সাগর, হৃদয়, শামীম এবং নাজমুল নামের ৫ জনকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সেনাবাহিনী, পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, মহানগর ও জেলা ছাত্রদলসহ ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় ওয়ার্ড মাস্টার মো. শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৪ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রুহান হোসেন রুপু এবং মোশারফ হোসেনকে সংশ্লিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি, গুড গভর্নেন্স, চিকিৎসক-রোগীর সম্পর্ক, টিকিট কাটা থেকে সেবা পাওয়া পর্যন্ত রোগীর কত সময় লাগে, এ রকম কয়েকটি বিষয়ে ৩০০ নম্বরের মধ্যে স্কোরিং করে সেরা প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়। ফিল্ড ভিজিট এবং রোগীর সাক্ষাৎকারও এই ফলাফলের মূল্যায়নে অন্তর্ভুক্ত হয়। মমেক হাসপাতালটি এসব কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ফলেই দেশ সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি অর্জন করে। কিন্তু বর্তমান সময়ে হাসপাতালের সেবা নিয়ে অসন্তুষ্ট রোগীরা। অসাধু কর্মচারীদের দাপটের কাছে জিম্মি তারা। ফলে হাসপাতালের সুনাম ধরে রাখতে অসাধু কর্মচারীদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি রোগীদের।

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহের দুই কোটি মানুষের ভরসাস্থল এই হাসপাতাল। এ ছাড়া গাজীপুর ও সুনামগঞ্জ জেলার মানুষও চিকিৎসা নিতে এই হাসপাতালে আসেন। এক হাজার শয্যার অনুমোদিত লোকবল দিয়ে বাড়তি এসব রোগীর চাপ সামাল দিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা।

তারপরও চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। রোগী ও তাদের স্বজনদের হয়রানি কিংবা সেবার নামে বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনো অভিযোগ এলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কারও কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাসপাতালে ব্যাপক দাপট কর্মচারীদের। বিশেষ করে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলার সাহসও পাওয়া যায় না। তাদের বেশির ভাগ স্থানীয় হওয়ায় বেশি প্রভাব খাটায়। ফলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা। আউটসোর্সিং ছাড়াও অসাধু কিছু স্থায়ী কর্মচারীও সেবা দেওয়ার পর বকশিশ দাবি করেন। বকশিশ না দিলে রোগী ও তাদের স্বজনদের দেখতে অসহযোগী আচরণ।

সদরের চুরখাই এলাকার বয়োবৃদ্ধ মঞ্জু মিয়া পেটে প্রচণ্ড জ্বালাপোড়া নিয়ে হাসপাতালে আসেন। হেঁটে যেতে খুব কষ্ট হয় তার। সঙ্গে ছিলেন অটোরিকশাচালক ছেলে আলমাস। ট্রলিবয়কে ডাক দিয়ে বলেন, ট্রলিতে করে তার বাবাকে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতে। আলমাসকে ট্রলিবয় বলেন, ‘এর জন্য দেড় শ টাকা লাগবে।’ আলমাস খবরের কাগজকে বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে আব্বাকে হাসপাতালে আনছি। লগে যা টাকা আছিন, গাড়ি ভাড়ায় খরচ হয়ে গেছে। হাসপাতালে আইবার পরে লগে টাকা আছিল না। এ জন্য ট্রলিবয়কে টাকা দিবার পারছি না। নিজেই আব্বারে ধইরা ধীরে ধীরে ওয়ার্ডে নিয়ে গেছি।’

ইদ্রিস আলী নামের আরেকজন বলেন, ‘জেলার ফুলপুরের বালিয়া গ্রাম থেকে এসে এক সপ্তাহ ধরে শিশু ওয়ার্ডের মেঝেতে বাচ্চাকে নিয়ে ভর্তি আছি। চিকিৎসক না থাকলে নার্সদের সহযোগিতা নিচ্ছি। নার্সদের ডাক দিলে শিশুর কাছে আসেন অনেকক্ষণ পরে। পরের বার আবারও ডাক দিলে রাগারাগি করেন। এক কর্মচারী বেসরকারি হাসপাতালে চলে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু তার কথায় যাইনি। ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে লিখে দিয়েছিল। ওই কর্মচারী নিজ থেকেই আরেকজন লোকের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট পেয়েছি। এ জন্য কর্মচারীসহ আরেকজনকে ৫০০ টাকা দিতে হয়েছে।’

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন নার্স বলেন, ‘এই ওয়ার্ডে এখন শিশু রোগীর চাপ আরও বেড়েছে। তবুও আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। মাঝেমধ্যে শিশুদের অভিভাবক কিংবা স্বজন একসঙ্গে এসে ডাকাডাকি করেন। তখন প্রথমে একজন অসুস্থ শিশুর কাছে গিয়ে পরে আরেক শিশুকে সেবা দেওয়া হয়। মাঝেমধ্যেই শিশুর অভিভাবক রাগারাগি করলেও আমরা চুপ থাকতে চেষ্টা করি।’

বাড়তি টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে সালাম নামের একজন কর্মচারী বলেন, ‘আমি কখনো কারও কাছ থেকে টাকা নেই না। অন্য কর্মচারী এসব করে কি না, আমার জানা নেই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহের সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, ‘হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ভালো রাখতে চাইলে সেখানে অনিয়ম ও দুনীতিমুক্ত করতে হবে। হাসপাতালের কারও বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে চাকরিচ্যুতসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার মান ভালো রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। গুটি কয়েক কর্মচারীর জন্য সুনাম নষ্ট হতে দেওয়া হবে না। কোনো কর্মচারী কোনো অনিয়ম করলে কিংবা বাড়তি টাকা নিলে সচেতন রোগী কিংবা তাদের স্বজনদের উচিত আমাদের জানানো। তা হলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে আমাদের সুবিধা হয়। কর্মচারীদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। অনিয়মের প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৮ পিএম
সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিহত
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় জেলার মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ-মুলাদী সড়কের বড়ইয়া খাসেরহাট উঁচু পোল নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজার এলাকার একটি মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করার কথা ছিল ড. ফরহাদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশালের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

নিহত উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন মুলাদি উপজেলার নন্দীর বাজার এলাকার মাওলানা কাদের হাওলাদারের ছেলে। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১) উপসচিব ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার বিকেলে মীরগঞ্জ ফেরিঘাট থেকে একটি থ্রি-হুইলারযোগে মুলাদী সদরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন ফরহাদ হোসেন। থ্রি-হুইলারটি (মাহিন্দ্রা আলফা) প্যাদারহাট পার হয়ে হাওলাদার ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে একটি কুকুর হঠাৎ সেটির সামনে আসে। চালক আকস্মিক ব্রেক দিলে থ্রি-হুইলারটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। চালকের যে পাশে মো. ফরহাদ হোসেন বসা ছিলেন, মাহিন্দ্রাটি সেই পাশে উল্টে যায়। এতে ফরহাদ হোসেন মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মুলাদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ড. ফরহাদ হোসেনের মৃত্যু হয়।

এদিকে চরলক্ষ্মীপুর নন্দীরবাজার মাহফিল আয়োজন কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন জানান, নন্দীর বাজারে শুক্রবার অনুষ্ঠিত মাহফিলে ড. ফরহাদ প্রধান অতিথি ছিলেন। এতে অংশ নিতেই তিনি ঢাকা থেকে চরলক্ষ্মীপুরে আসছিলেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘মো. ফরহাদ হোসেনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মঈনুল ইসলাম সবুজ/এমএ/

মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। ছবি: খবরের কাগজ

মাগুরায় ২ হাজার ৫০০ জন শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেন শীতার্তদের এই শীতবস্ত্র বিতরণ করেন।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া সরকারি আইডিয়াল হাইস্কুল মাঠে এ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা মমতাজ, শালিখা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. ওলি মিয়া,উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিচুর রহমান মিল্টন ও আড়পাড়া সরকারী আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম খায়রুজ্জামান প্রমুখ।

কাশেমুর রহমান/সুমন/এমএ/

সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৩ পিএম
সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: মুহাম্মদ আবদুল্লাহ
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে সাংবাদিকদের সহায়তা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।  কল্যাণ ট্রাস্ট সেই দায়িত্বটি পালন করে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অসচ্ছল প্রবীণ সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ চলছে।’

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) খুলনা সার্কিট হাউজ সম্মেলনকক্ষে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম কিস্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপংকর দাশ। এ ছাড়া বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা মো. আনিসুজ্জামান, এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব রফিউল ইসলাম টুটুল, বিএফইউজের সাবেক সহ-সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম প্রমুখ।

মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘সাংবদিকতা পেশা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, অথচ এ পেশায় যারা এসেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বিগত ১৬ বছর সাংবাদিকদের একটি গোষ্ঠীকে বারবার অনুদান দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের মূল চালিকাশক্তি হলেও, এই শক্তিকে বিগত দিনে অথর্ব করে রাখা হয়েছিল। পরিণত করা হয়েছিল রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে। আর সাংবাদিকদের বানানো হয়েছিল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের আর্থিক সুরক্ষা ও কল্যাণে সম্ভাব্য করণীয় সব কিছু করার চেষ্টা করা হবে।’

এ ছাড়া দেশের বিরুদ্ধে যারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠানে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার ১৩ জন গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আট লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

মাকসুদ রহমান/নাবিল/এমএ/

পঞ্চগড়ে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত বিএসএফের

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১২ পিএম
পঞ্চগড়ে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত বিএসএফের
পঞ্চগড় সীমান্তে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ। ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যুর পর পতাকা বৈঠক শেষে মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিএসএফ বিজিবির কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে বিজিবি।

এ বিষয়ে জেলা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ  পারভেজ বলেন, ‘বর্তমানে মরদেহ সদর থানায় রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক  হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

এর আগে ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া ও ভারতের শিংপাড়া সীমান্তের মেইন পিলার ৭৫১ এর ৮-৯ নম্বর সাব পিলারের মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিহত আনোয়ার জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের আমজুয়ানী এলাকার বাসিন্দা।

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কয়েকজন বাংলাদেশিসহ ভারতে গরু আনতে যান আনোয়ার হোসেন। পরে ভোরের দিকে গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৯৩ ব্যাটালিয়নের চানাকিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। 

বিএসএফের দাবি, বাংলাদেশিরা তাদের উপর বঁটি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে হামলা করতে গেলে আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায় বিএসএফ। এ সময় ঘটনাস্থলেই নিহত হন আনোয়ার। পরে তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সেই সাথে চোরাই গরুও জব্দ করে তারা।

এ দিকে গুলির শব্দ পেয়ে চোরাকারবারীদের প্রতিহত করার জন্য আট রাউন্ড গুলি ফাঁকা ফায়ার করেন ঘাগড়া বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা।

অন্যদিকে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানিয়ে মরদেহটি বিএসএফের কাছ থেকে গ্রহণ করে বিকেলে সকল প্রক্রিয়া শেষে থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে বিজিবি।

ওসি আরও জানান, জিডি মূল্যে মরদেহটি গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

রনি মিয়াজী/নাবিল/

যশোর জেলা মুক্ত দিবস উদযাপিত

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
যশোর জেলা মুক্ত দিবস উদযাপিত
যশোর মুক্ত দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। ছবি: খবরের কাগজ

আজ ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্ত হয় যশোর জেলা। মূলত ঝিনাইদহ জেলার সঙ্গে একইদিনে শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা।  স্বাধীন বাংলাদেশের রক্ত সূর্যখচিত সবুজ পতাকা আজকের দিনেই উড়েছিল এ জেলায়। 

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে দিবসটি উপলক্ষে টাউন হল ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।

এরপর আয়োজিত হয় বিজয় শোভাযাত্রা। সন্ধ্যায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে টাউন হল ময়দানের স্বাধীনতা মঞ্চে শহিদদের স্মৃতির উদ্দেশে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। এতে ২০টি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মাথায় জাতীয় পতাকা, ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল ময়দানে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় আরও অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এএইচএম মাযহারুল ইসলাম মন্টু, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন প্রমুখ।

জাতির জীবনে মহিমান্বিত এক গৌরবোজ্জ্বল দিন ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অবিভক্ত বাংলার প্রথম জেলা যশোর শত্রুমুক্ত হয়। সেদিনই মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের মধ্যে প্রথম বিজয় সূচিত হয়। ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়ে যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জেলাকে প্রথম শত্রুমুক্ত করে। বয়ে আনেন যশোরবাসীর জন্য বিরল এক সম্মান।

এইচ আর তুহিন/নাবিল/