রাজধানীর হাজারীবাগের কালুনগরে বেড়িবাঁধের পাশে নির্মাণাধীন ভাগাড় অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন সেই ভাগাড়ের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান তারা। ওই ওয়ার্ডের বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি কলেজ ও মাহাতাব পেট্রলপাম্পের মধ্যবর্তী স্থানে ভাগাড়টি বর্তমানে নির্মাণাধীন।
স্থানীয়দের দাবি, এই এলাকায় ইতোমধ্যে একটি আধুনিক ভাগাড় রয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ কম জনবসতিপূর্ণ এলাকার সেই ভাগাড় ভেঙে নতুন করে পার্শ্ববর্তী ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় আরেকটি ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করছে। এতে একদিকে যেমন অর্থের অপচয় হচ্ছে, অন্যদিকে জনজীবনে ভোগান্তি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মানববন্ধনে ওই এলাকার বাসিন্দা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভাগাড়ের ১০০ গজের মধ্যে একটি পেট্রলপাম্প, একটি সরকারি কলেজ, একটি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ, দুটি মাদ্রাসা, একটি সরকারি হাসপাতাল, একটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসসহ নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পাশাপাশি এলাকাটিও জনবসতিপূর্ণ একটি আবাসিক এলাকা। এই এলাকায় ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকবে না।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ওই এলাকার বাসিন্দা সরকারি চাকরিজীবী এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘প্রায় দুই মাস আগে নতুন করে স্কুল-কলেজের পাশে ভাগাড় নির্মাণ শুরু করে সিটি করপোরেশন। আমরা সিটি করপোরেশনে এ ময়লার ভাগাড় নির্মাণ না করার আবেদন করলেও তারা সেটি আমলে নেয়নি। এমনকি আমরা পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, আবাসিক এলাকায় ভাগাড় নির্মাণে তাদের কাছ থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়নি সিটি করপোরেশন।’
স্থানীয় আন-নূর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা নূরুজ্জামান বলেন, ‘নির্মাণাধীন এ ভাগাড়ের পাশেই একটি মসজিদ ও দুটি মাদ্রাসা আছে। প্রতিদিন এলাকার মানুষ সেই মসজিদে নামাজ পড়তে যান। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা শিক্ষা নেয়। এখন সেখানে ময়লার ভাগাড় নির্মাণ করলে মুসল্লি ও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না।’