রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নব গঠিত কমিটি, জজ কোর্ট পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারী পিপি নিযুক্তদের ‘ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদের মূল ফটক বন্ধ করে পরিষদ ঘেরাও এবং বিক্ষোভ সমাবেশ করেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই প্রতিনিধি রাকিব হাসান ও মোস্তফা রাজু।
পরে রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠকে বসার প্রতিশ্রুতি দিলে কর্মসুচি প্রত্যাহার করা হয়।
এদিকে নিয়োগের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে অফিসে প্রবেশ করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।
এর আগে ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নতুন পরিষদ গঠন করা হয়।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কাজল তালুকদারসহ ১৪ সদস্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দায়িত্ব নেন।
এ দিকে ‘আওয়ামী দোসরদের’ নিয়োগ বাতিল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
এ সময় পার্বত্য উপদেষ্টার বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ ও জজ কোর্টের বিভিন্ন নিয়োগে স্বজনপ্রীতি এবং বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছেন বক্তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি রাকিব হাসান বলেন, ‘জজ আদালত ও রাঙামাটি জেলা পরিষদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের অনেকেই অতীতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া পার্বত্য উপদেষ্টার আত্মীয়-স্বজনও নিয়োগ পেয়েছেন। ১৫ সদস্যদের ৯ জনই রাঙামাটি সদরের। গুরুত্বপূর্ণ চার উপজেলার প্রতিনিধি নেওয়া হয়নি।’
জুলাই আন্দোলন বৈষম্যের বিরুদ্ধেই ছিল মনে করিয়ে রাকিব বলেন, ‘স্বজনপ্রীতি কখনোই গণভ্যুত্থানের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে পারে না।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরেক প্রতিনিধি মোস্তফা রাজু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের বহিষ্কার করে নতুন নিয়োগ দিয়ে কমিটি গঠন করতে হবে। এই কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমাদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৈঠক করতে হবে।’
বৈঠকে না বসলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন রাজু।
জুয়েল/নাইমুর/পপি/অমিয়/