ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

তালা প্রেসক্লাবে তালা

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম
তালা প্রেসক্লাবে তালা
সাতক্ষীরার তালা প্রেসক্লাব। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ছাত্রদল-যুবদলের বিক্ষোভ মিছিল থেকে তালা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলাম। তিনি তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক।

রবিবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিন রাস্তার মোড়ে পাল মার্কেটে তিনি এ ঘটনার নেতৃত্ব দেন। এ  সময় সঙ্গে আরও সাত থেকে আটজন নেতা-কর্মী ছিলেন।

ঘটনার সময়ে উপস্থিত থাকা স্থানীয় সাংবাদিক ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘একটি বিক্ষোভ মিছিল তালা উপশহর প্রদক্ষিণ করছিল। খবরের জন্য আমি সেটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করছিলাম। মিছিলটি তিন রাস্তার মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামের নেতৃত্বে সাত থেকে আটজন নেতা-কর্মী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তালা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক রিপন ইসলাম বলেন, ‘বেশ কয়েকজনের অফিসে তালা লাগানো হয়েছে। এটা যদি প্রেসক্লাব হয়, তা হলে কোনো সমস্যা নেই। ভুল করে লাগিয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে সরাসরি বিস্তারিত কথা বলব। আমাদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্ররাও ছিল।’

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তালার প্রতিনিধি সাকিব ও কাদের বলেন, ‘রবিবার তালায় আমাদের কোনো কর্মসূচি ছিল না। এমন কি মিছিলেও আমাদের কেউ ছিল না। আমাদের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে দায়ভার সেই ব্যক্তি বা সংগঠনের।’

তালা উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মন্টু বলেন, ‘আমি পাটকেলঘাটায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করছিলাম। তালার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এটি নিয়ে আমি কথা বলব। কোনো অপকর্মের দায় দল নেবে না।’

প্রেসক্লাবে তালা লাগানোর বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি। এ ঘটনায় যে বা যারা যুক্ত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম সজীব ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। অভিযোগ সত্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবেন।’

২০১৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক প্রণব ঘোষ ও সে সময়ের উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মশিয়ার সরদার তালা প্রেসক্লাব দখল করে নেন। এরপর থেকে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা পাল মার্কেটে অস্থায়ী কার্যালয় নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তালায় অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা রিপন ইসলামসহ একটি বাহিনী ব্যাপক তাণ্ডব ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন রিপনসহ তার অনুসারীরা।

এবার লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ পিএম
এবার লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত

একদিনের ব্যবধানে এবার লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আহত হলেন এক বাংলাদেশি যুবক। তার নাম হেলালুজ্জামান ওরফে হেলাল উদ্দিন (৩৬)। আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের কুটিরপাড় সীমান্তের ৯২৫/২ নম্বর পিলার এলাকার ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক কুটিরপাড় গ্রামের মৃত শাহাবুদ্দিনের ছেলে।

দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘মাঝেমধ্যে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে যেতেন হেলাল। কয়েক মাস কাজ করে আবার দেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে ঘনকুয়াশার কারণে কাজ বন্ধ থাকায় শুক্রবার রাতে দেশে ফিরছিলেন তিনি। এ সময় বিএসএফ মদনকুড়া ক্যাম্পের সদস্যরা রাবার বুলেট ছুড়লে আহত হন তিনি। পরে তাকে বিএসএফ সদস্যরা ভারতের দিনহাটা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। 

অবশ্য স্থানীয় অপর একটি সূত্র দাবি করেছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও গরু আনতে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন হেলাল। তার সঙ্গে কয়েকজন রাখালও ছিল। গরু নিয়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে বিএসএফের হাতে আটক হন তিনি। পাচারকারী দলটি ৭০টি গরু-মহিষ নিয়ে দেশে ফেরে বলেও দাবি করেন ওই সূত্র।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আকবার খবরের কাগজকে বলেন, ‘ভারতের অভ্যন্তরে একজন বাংলাদেশি বিএসএফের রাবার বুলেটের আঘাতে আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। আহত ব্যক্তি ভারতে কাজ করে দেশে ফিরছিলেন। গরু পাচারের খবর জানা নেই।’

গত শুক্রবার ভোরে পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হন।

 

 

চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) ইউনিটি এক্সেসরিজ নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে ইপিজেড বেপজা গেটের সামনে ১ নম্বর রোডে পাঁচতলা ভবনের চতুর্থতলায় একটি কার্টন ফ্যাক্টরিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

রাত ৮টা ২০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক এমডি আবদুল মালেক খবরের কাগজকে জানান, চারটি ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। কোনো হতাহতের খবর নেই।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যখন কারখানায় আগুন লাগে পাঁচতলা ভবনের চতুর্থতলায় কার্টন ফ্যাক্টরিটি তখনো খোলা ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা সবাই নিরাপদে বের হয়ে যান। তবে হুড়িহুড়িতে কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছেন। ওই ভবনে থাকা অন্যান্য কারখানা ও অফিসের লোকজনও নিরাপদে বের হতে পেরেছেন বলে তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন বলে খবরের কাগজকে জানান।

সিইপিজেড ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শাহাদাত হোসেন জানান, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে কার্টন কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। তবে কোনো হতাহতের খবর তিনি পাননি বলে জানান। 

ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক আবদুস সোবহান খবরের কাগজকে জানান, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কাছে থাকায় তারা দ্রুত আসতে পেরেছেন। তাই আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তবে তদন্ত ছাড়া সুনির্দিষ্টভাবে আগুন লাগার কারণ বলা যাবে না।

গোলার শব্দে অশান্ত টেকনাফ সীমান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ পিএম
গোলার শব্দে অশান্ত টেকনাফ সীমান্ত, ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা
ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত চলছে। গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে এই গোলাগুলির বিকট শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তের মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 সীমান্তে বসবাসকারীরা বলছেন, কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এবং সাবরাং-এর পূর্বে নাফ নদীর ওপারে মংডু শহরের অবস্থান। ওই সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। দীর্ঘ চলমান যুদ্ধে মায়ানমারের জান্তাবাহিনী বিদ্রোহী আরাকান আর্মির অধিকাংশ এলাকা তাদের দখলে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব জায়গা পুরোপুরি উদ্ধারের জন্য কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটির জান্তা সরকার। ফলে সেদেশের গোলার শব্দে এপারের সীমান্ত কেঁপে উঠছে।

 টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, ‘মায়ানমারের গোলার শব্দে নির্ঘুম রাত কেটেছে। সকাল পর্যন্ত বড় ধরনের গোলার বিকট শব্দ শোনা গেছে। আমরা রাত জেগে বসে ছিলাম। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা ভয়ে ছিল।’

 সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন, মায়ানমারে এখনো কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। বর্তমানে মংডুতে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। এভাবে যুদ্ধ চলমান থাকলে ফের নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে।’

 তবে সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর ইশতিয়াক মুরর্শেদ। 

এদিকে খারাংখালী, টেকনাফ, পৌরসভা, হ্নীলা, জাদিমুড়া, দমদমিয়া, নাইট্যংপাড়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ, নাফ নদীর মোহনা থেকে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ। মর্টারশেলের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত। 

ক্যাম্পে বসবাস করা একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘রাখাইনে কয়েকদিন ধরে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে পালিয়ে আসার জন্য। কিন্তু তাদের এদেশে না আসতে নিরুৎসাহিত করছি। তবু মানুষ প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আসার চেষ্টা চালাচ্ছে।’

এদিকে, মায়ানমারের মংডু শহরে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিনরাত টহল দিচ্ছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত।

এ বিষয়ে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘আমিও গোলার বিকট শব্দ শুনেছি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এ ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সীমান্তে বসবাসকারী মানুষের খোঁজ খবর রাখছি। পাশাপাশি সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আমাদের বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছে।’

মাহফুজ/এমএ/

 

চাঁদপুরে নৌবন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ জনকে চেক হস্তান্তর

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
চাঁদপুরে নৌবন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ জনকে চেক হস্তান্তর
নৌবন্দর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের চেক বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরে আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ১২৭ পরিবার ও ব্যবসায়ীকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন কোটি ২৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে শহরের মাদ্রাসা রোডের দারুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। এ কাজে সহায়তা করে সোশ্যাল এনজিও।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, দেশব্যাপী ব্রিটিশ আমল থেকে চাঁদপুর নদী বন্দরের সুনাম রয়েছে। আশপাশের মানুষের জন্য এই লঞ্চ টার্মিনাল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি দৃশ্যমান বিষ্ময়কর একটি টার্মিনাল হবে। যারা টাকা পাবেন তারা নিজ দায়িত্বে স্থাপনা সরিয়ে নিবেন। এর ব্যতয় হলে তিন দিনের মধ্যে খালি করা হবে। একই জায়গার জন্য আপনারা দুইবার ক্ষতিপূরণ পেলেন। এই টার্মিনাল হলে এর সুফল আপনারাই ভোগ করবেন। কক্সবাজারের মতো চাঁদপুরে একটা রিভারড্রাইভ নির্মাণ হবে। এখানে পর্যটনের জন্য রিসোর্ট তৈরি হবে।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ করে ডিসি বলেন, আগামী ২০২৫ সালের আগষ্ট মাসে কাজ শেষ করতে হবে।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ কাজের প্রকল্প পরিচালক মো. আইয়ুব আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মো. ফরহাদুজ্জামান, চাঁদপুর পৌর বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হারুনুর রশিদ, সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব চক্রবর্তীসহ বিশিষ্টজনেরা।

প্রকল্প পরিচালক আইয়ুব আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীদের চেক প্রাপ্তির এক সপ্তাহের মধ্যে বর্তমান স্থান ত্যাগ করতে হবে।

ফয়েজ/নাবিল/এমএ/

ঝিনাইদহে আলমসাধুর চাপায় শিশুর মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পিএম
ঝিনাইদহে আলমসাধুর চাপায় শিশুর মৃত্যু
ফাইল ছবি

ঝিনাইদহ সদরের গান্না ইউনিয়ন বাজারে আলমসাধুর (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত যান) চাপায় হাবিবুল্লাহ (৪) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে গান্না সরকারি পুকুরপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত  হাবিবুল্লাহ গান্না গ্রামের রাজীব হোসেনের ছেলে।

স্থানীয়রা খবরের কাগজকে জানান, মায়ের সঙ্গে রাস্তা পার হওয়ার সময় আলমসাধু শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন খবরের কাগজকে জানান, এ ঘটনায় পরিবার থেকে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি।

মাহফুজ/নাবিল/এমএ/