ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রাসিকে থমকে আছে এডিস দমন কার্যক্রম

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৩ এএম
আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ এএম
রাসিকে থমকে আছে এডিস দমন কার্যক্রম
রাজশাহী নগর ভবন। ছবি: সংগৃহীত

আলো ঝলমলে ‘শান্তির শহর’ রাজশাহীতে মশার যন্ত্রণায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মশার তীব্র উৎপাতের কারণে মানুষ দিনে-রাতে নিদারুণ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি বিপদে রয়েছেন বৃদ্ধ-শিশু আর শিক্ষার্থীরা। মশার কয়েল, স্প্রে ও ইলেকট্রিক ব্যাট দিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়া যাচ্ছে না।

ফলে শুধু রাতের বেলায় নয়, অনেকে দিনেও ঘরে মশারি টানিয়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন। তবু তারা মশার কামড় থেকে রক্ষা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মশাবাহিত নানা রোগের পাশাপাশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এত কিছুর পরও শুধু ওষুধসংকটের দোহাই দিয়ে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এতে রাজশাহীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নগরবাসীর অভিযোগ, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শোবার ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাটবাজার, অফিস, হাসপাতাল- কোথাও মশা থেকে নিস্তার নেই। চারদিকে কেবল মশা আর মশা। শহরের ড্রেনগুলোতে পানির কোনো প্রবাহ নেই। স্রোত থাকলে মশার লার্ভা ভেসে নদীতে বা খালে চলে যেত। ড্রেনের বদ্ধ পানিতে সহজেই মশা বংশ বিস্তার করছে। ক্লাস করার সময় মশার কামড়ে শিক্ষার্থীরা কাহিল হয়ে পড়ছেন। কিন্তু সংকট নিরসনে সিটি করপোরেশন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

রাসিকের তথ্যমতে, নগরীতে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এসব ড্রেন ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যবহার করা হয় লার্ভিসাইড ও অ্যাডাল্টিসাইড নামে মশা নিধনের দুই ধরনের ওষুধ। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাসিকের কাছে সরবরাহ করা হয় এক হাজার লিটার লার্ভিসাইড ও ৬০০ লিটার অ্যাডাল্টিসাইড। বর্তমানে মজুত আছে ১০০ লিটার লার্ভিসাইড ও ২০০ লিটার অ্যাডাল্টিসাইড, যা দিয়ে পুরো নগরীর এডিস দমন কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তবে ওষুধের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

রাসিকের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ জানায়, মশা দমনে রাসিককে প্রতিবছর ৫৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার লার্ভিসাইড ও ১৮ লাখ ৪৮ হাজার টাকার অ্যাডাল্টিসাইড কিনতে হয়। এসব প্রয়োগ ও কেরোসিন ডিজেল মিলে গড়ে প্রতিবছর মশা মারতেই রাসিকের খরচ হয় এক কোটি টাকা।
নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘শুধু রাতে নয়, দিনেও মশা কামড়াচ্ছে। কয়েল জ্বালিয়েও নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। বাচ্চাদের মশারির ভেতর রাখতে হচ্ছে। এত উপদ্রবের মধ্যেও গত ১০ থেকে ১৫ দিনে মশা দমনে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ওষুধ দিতে দেখা যায়নি। এখন ডেঙ্গুর ভরা মৌসুম চলছে। তাই কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি।’

নগরীর দাশপুকুর এলাকার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘মশা খুব বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সিটি করপোরেশনের কোনো খবর নেই। ডেঙ্গু মৌসুম চলে গেলে পরে মশা মেরে লাভ কী?’

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রাজশাহীতে ২ হাজার ৮৯৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন রামেক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শুধু রামেক হাসপাতালেই ভর্তি আছেন ৭০ জন।
 
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য উপ-পরিচালক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার মশা বেশি। স্থানীয়ভাবে পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গুর লার্ভাও পাওয়া গেছে। এ বছর রোগীর সংখ্যাও বেশি।

সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মো. মামুন বলেন, চাহিদার তুলনায় মজুত কম থাকায় এবার মশা নিধনে পর্যাপ্ত ওষুধ প্রয়োগ করা যায়নি। বর্তমানে মজুত থাকা অ্যাডাল্টিসাইড ওষুধ মাত্র সাত দিন প্রয়োগ করতে পারব। সামনে ব্রিডিং (মশার প্রজনন) মৌসুমে এগুলো প্রয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে লার্ভিসাইট প্রয়োগ করছি। এগুলো দিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত চালাতে পারব। এ ছাড়া আমাদের কাছে আর কোনো ওষুধ নেই।

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মো. হুমায়ন কবির বলেন, এডিস মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের কাছে ডিসেম্বর পর্যন্ত ওষুধ মজুত আছে। পরবর্তী সময়ে এই কার্যক্রম চলমান রাখতে সরকারের কাছ থেকে ওষুধ কেনা বাবদ ১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পেয়েছি। এখন দরপত্র আহ্বান করে দ্রুতই ওষুধ কেনা হবে।

গাজীপুরে পুনরায় নিয়োগের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পিএম
গাজীপুরে পুনরায় নিয়োগের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা পুনরায় চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। ছবি : খবরের কাগজ

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীতে একটি পোশাক কারখানার ছাঁটাইকৃত শ্রমিকরা পুনরায় চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর রেজাউল অ্যাপারেলস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানার ছাঁটাই করা ৮৭ জন শ্রমিক পুনরায় চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে সকাল থেকে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে কারখানার কার্যক্রম ব্যাহত হয় এবং পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে ওঠে। নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

জানা যায়, কারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার ৮৭ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। আজ সকালে কাজে যোগ দিয়ে শ্রমিকরা বিষয়টি জানতে পারেন। এরপরই তারা পুনরায় চাকরিতে নিয়োগের দাবিতে কারখানার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। 

শ্রমিকরা জানান, কিছুদিন আগে কোনো পূর্বঘোষণা ছাড়াই কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের ছাঁটাই করায় পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পড়েছিল। ছাঁটাই প্রক্রিয়া অন্যায় এবং শ্রম আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাই শ্রমিকরা তাদের পুনর্নিয়োগের দাবিতে কারখানার সামনে স্লোগান দিতে থাকেন।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সব পাওনাদি পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু পুনরায় তাদের নিয়োগের দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন। যে কারণে নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

গাজীপুর শিল্প-পুলিশ-২-এর কোনাবাড়ী জোনের পুলিশ পরিদর্শক মোর্শেদ জামান জানান, সকাল থেকেই ছাঁটাই হওয়া শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শ্রমিকদের সঙ্গে এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও আলোচনা করেছে শিল্প-পুলিশ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কারখানা আগামীকালের (বুধবার) জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

ওসমানী বিমানবন্দরে ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
ওসমানী বিমানবন্দরে ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ
জব্দকৃত সোনার বার। ছবি: খবরের কাগজ

সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে আসা একটি বিমান থেকে শুল্ক গোয়েন্দারা এক কেজি ২৮৩ গ্রাম ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে ।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে দুবাই থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইট (বিজি-২৪৮) বিমানের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় স্বর্ণের বারগুলো পাওয়া যায়। 

কাস্টমস বিভাগের ওসমানী বিমানবন্দর এয়ারফ্রেডের সহকারী কমিশনার (চ.দা.) বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিমানের ভেতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১১ পিস স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে। এগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক এক কোটি ৩৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

মেহেদী

৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলাচিঠি

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৬ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ পিএম
৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে ইউএনওর খোলাচিঠি
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

অভিভাবকদের কাছে সন্তানকে কেবল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে বিবেচনা না করার অনুরোধ জানিয়ে খোলা চিঠি দিচ্ছেন ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার।

মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং মাদরাসার ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর অভিভাবককে খোলাচিঠি দেওয়া শুরু করেন তিনি।

খোলাচিঠিতে ইউএনও উল্লেখ করেন, 'ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে আপনার সন্তানের বার্ষিক পরীক্ষা। সব বাবা-মায়েরই স্বপ্ন থাকে সন্তান খুব ভালো রেজাল্ট করবে, ক্লাসের টপার হবে। আপনার সন্তান যদি পরীক্ষায় খুব ভালো নম্বর পায়, তবে সেটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আনন্দের। কিন্তু যদি না পায় তাহলে অনুরোধ থাকবে তাদের ওপর নিজের বিশ্বাসটুকু হারাবেন না। সন্তানকে আশ্বস্ত করুন তার নিজের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার ওপর আস্থা রাখতে বলুন। সে চাইলেই সামনে আরও ভালো করতে পারবে একটুকু আত্মবিশ্বাস তাকে দিন। তাকে বুঝিয়ে বলুন, পরীক্ষার নম্বর নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। এটি কেবলই একটি ক্লাস পরীক্ষা। জীবনের আরও বহু পথ পাড়ি দিয়ে আরও বহু পরীক্ষার মুখোমুখি তাকে হতে হবে। ক্লাসের এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে তাকে ধাপে ধাপে প্রস্তুত করা হচ্ছে কেবলই।'

চিঠিতে তিনি আরও উল্লেখ করা হয়, কেবলই পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে সন্তানকে বিচার করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সন্তান নিঃসন্দেহে বহু সুপ্ত প্রতিভার অধিকারী। তার সুপ্ত গুণাবলি বিকাশের সুযোগ করে দিন। তার হাত ধরে তাকে সুন্দর আগামীর পথে আপনি এগিয়ে নিয়ে চলুন।

ইউএনওর দপ্তর থেকে জানানো হয়, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তর থেকে সবগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসংখ্যা যুক্ত করে চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীসংখ্যা অনুযায়ী অভিভাবকদের উদ্দেশে লেখা চিঠিগুলো পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের অভিভাবকদের কাছে এ চিঠি পৌঁছে দেবে।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমিনা সাত্তার খবরের কাগজকে বলেন, আমাদের অধিকাংশ অভিভাবকের সন্তানদের পরীক্ষার রেজাল্টের ওপর প্রত্যাশা থাকে অনেক বেশি। ক্লাসে সবাই ফার্স্ট হবে না এটাই স্বাভাবিক। কেবল পরীক্ষার রেজাল্টই জীবনে সফলতার একমাত্র সংজ্ঞা না। আমাদের প্রতিটা বাচ্চাই প্রতিভাবান। প্রতিটা বাচ্চাই কোনো না কোনো গুণের অধিকারী। তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি সেই প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া প্রতিটা অভিভাবকের কর্তব্য।

এ উদ্যোগ নেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অভিভাবকেরা যেন তাদের সন্তানকে কেবল পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে বিবেচনা না করেন। এ পৃথিবীর আলো বাতাসে তাদেরকে যেন দুই হাত ভরে নিশ্বাস নিয়ে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করেন। প্রতিটা সন্তানের ওপর অভিভাবকের এই অকুণ্ঠ সমর্থন নিশ্চয়ই তাদের কোনা না কোনোভাবে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে বলে আমার একান্ত বিশ্বাস।

কামরুজ্জামান মিন্টু/মেহেদী/এমএ/

বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলেন ৭৫ ইসকন ভক্ত

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম
বেনাপোল দিয়ে ভারতে গেলেন ৭৫ ইসকন ভক্ত
ছবি: খবরের কাগজ

যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ইসকনের ৭৫ জন ভক্ত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে ভারতে গেছেন।

ঢাকা, খুলনা, মুন্সিগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ভারত যাওয়ার উদ্দেশে তারা বেনাপোলে এসে জড়ো হন। ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দিলে তাদের ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। 

ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকার সাভারে ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ নিতাই দয়াল দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে ৭৫ জন ইসকন ভক্ত ভারতের যাওয়ার উদ্দেশে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসেন। তারা তিনটি বাস রিজার্ভ করে বেনাপোল যান। 

ইমিগ্রেশন বিভাগকে জানান, ধর্মীয় আচার পালন করতেই তারা সেখানে যাচ্ছেন। পরে ইমিগ্রেশন ওসি ঢাকায় এসবি সদর দপ্তরে যোগাযোগ করলে তাদের ভারতে যাওয়ার অনুমতি দেন কর্তৃপক্ষ। 

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ৭৫ জন ইসকন ভক্তের পাসপোর্ট ও ভিসা অনলাইনে তদন্ত করে এক্সিট দেওয়া হয়।’ তবে গত রবিবার সন্দেহজনক ভ্রমণের অভিযোগে ইসকনের ৬৩ জন ভক্তকে ভারতে যাওয়ার সময় আটকে দেওয়া হয়েছিল।

নজরুল ইসলাম/এমএ/

জলমহালে বিষ দিয়ে ২ কোটি টাকার মাছ মারার অভিযোগ

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
জলমহালে বিষ দিয়ে ২ কোটি টাকার মাছ মারার অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বানিয়াজান সরকারি জলমহালে বিষ ঢেলে প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে জলমহালের মাছ মরে ভেসে ওঠে ।

এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে ।

জলমহালের ইজারা অংশীদার নজরুল ইসলাম খোকন খবরের কাগজকে বলেন, বুধবার ফজরের সময় জলমহালের দুই পাহারাদার ফোন করে সব মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর জানায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

ইজারা অংশীদার বিজয় বর্মন বলেন, ছনকান্দা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি লিটন বর্মনের নামে আমরা ৩৭ একর ৪৭ শতাংশ আয়তনের জলমহালটি ভূমি মন্ত্রণালয় হতে উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ থেকে ১৪৩৬ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য লিজ আনি। ভ্যাট-আয়করসহ প্রথম বছরের ইজারা মূল্য ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৩৯৫ টাকা পরিশোধ করে আমরা মাছ চাষে নামি। এতে রুই, মৃগেল, আইর ও কার্প জাতীয় বিভিন্ন মাছ চাষ করেছিলাম। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিভিন্ন মাছ ছিল। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৮৫ লাখ টাকা খরচ হয়। বিষ প্রয়োগের কারণে সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমাদের দুই কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়ে গেল।

আরেক অংশীদার জাফর মিয়া বলেন,  শত্রুরা বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলায় আমাদের এখন পথে বসার অবস্থা হয়েছে।

জলমহালের অংশীদার করিমগঞ্জের গুণধর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মিলন মিয়া বলেন, 'জলমহাল নিয়ে একটা পক্ষের সঙ্গে আমাদের মামলা চলছে। তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।' এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে।

করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাব উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ঘটনা নিকলী থানা এলাকায় ঘটেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। 

নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তাসলিমা আক্তার মিতু/মেহেদী/এমএ/