চট্টগ্রামের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শাখাওয়াত হোসেন।
রবিবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে অংশীজনদের নিয়ে পর্যালোচনামূলক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
জানা গেছে, বৈঠকে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে থাকা তিনটি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে সব ধরনের আলোচনা হয়েছে। সবকিছু জানার পর নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রকল্পটির বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানান এবং কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো করতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সবার কাছ থেকে বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে বিস্তারিত শুনেছেন। তিনি এ প্রকল্পের বিষয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কথা জানিয়ে মন্ত্রিসভায় আলোচনা করা হবে বলে জানান।
বে-টার্মিনাল প্রকল্পের অধীনে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে দুটি কনটেইনার টার্মিনাল (কনটেইনার টার্মিনাল-১, কনটেইনার টার্মিনাল-২) এবং একটি মাল্টিপারপাস টার্মিনাল থাকবে। মাল্টিপারপাস টার্মিনালটি নির্মাণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আবুধাবি পোর্ট। তাছাড়া বে-টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য যথাক্রমে পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ড দেড় বিলিয়ন করে মোট ৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা রয়েছে।
এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন বোর্ড, বিশ্বব্যাংক, সিঙ্গাপুর বন্দর কর্তৃপক্ষ, দুবাই পোর্ট ওয়ার্ল্ডসহ স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৬ সালে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর বছরে ৩২ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে। কিন্তু বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ৫০ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং করতে পারবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তারেক মাহমুদ/জোবাইদা/অমিয়/