
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ ওয়াসিম আকরামের নামে নগরীর আমবাগানে ‘শহীদ ওয়াসিম পার্ক’ এর নামকরণের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) পার্কটি পরিদর্শনকালে মেয়র এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেন, ‘গত ১৬ বছর যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন করতে গিয়ে এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের অনেকে শহিদ হয়েছে। আমরা এখনো পর্যন্ত তাদের কারো নামে কোন পার্ক দিতে পারেনি। তাই আমরা চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রথম শাহাদাত বরণকারী শহিদ ওয়াসিম আকরামের নামে এ পার্কের নামকরণের ঘোষণা দিচ্ছি। এই পার্কের নাম আজ থেকে শহিদ ওয়াসিম পার্ক হবে।’
পার্কটি নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনের খোরাক যোগাবে জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘চট্টগ্রাম পাহাড়-সমুদ্রনন্দিত একটা শহর। পর্যটন সম্ভাবনাময় ট্যুরিজম সিটি। তবে ঠিকমতো ফোকাস করা যাচ্ছে না বিধায় পর্যটন খাতে আমরা এগুতে পারছি না।
আমাদের ছেলেরা ঘুরতে পারে না। আমাদের এখানে আসলে ওয়াকওয়ে নাই। এ কারণে পার্ক থাকার পরও কেউ ভালোভাবে ঘুরতে পারছে না। এখানে পাহাড়ি একটা ভাব আছে, বসার জায়গা আছে। এ পার্কটিকে ভালো পর্যায়ে এনে আমরা চাই সবুজের সমারোহ গড়তে। আমি অন্যান্য পার্কেও যাব। নগরবাসীর সুস্থ বিনোদনের সুযোগ বাড়াব। ’
এরপর মেয়র আগ্রাবাদের কর্ণফুলী শিশুপার্ক পরিদর্শন করেন। এ সময় পার্কটি বন্ধ দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র। পার্কটি দ্রুত খুলে দেওয়ার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ এবং পার্কের পাশেই আবদ্ধ মাঠকে শিশুদের খেলার স্থানে রূপান্তরের ঘোষণা দেন।
এ সময় অতি বাণিজ্যিকীকরণের ফলে চট্টগ্রামের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘গত এক দশকে মানুষের সুস্থ বিনোদনের স্থানগুলোতে অতি বাণিজ্যিকীকরণ হয়েছে। যেমন বিপ্লব উদ্যানে দৃষ্টিনন্দন একটা পার্ক ছিল। নয়নাভিরাম সৌন্দর্য সেখানে ছিল। কিন্তু সেটা কমপ্লিটলি ধ্বংস করে দিয়েছে একটা মাফিয়া চক্র।
সেখানে দোকান তো আগেই করেছে কিছু, এখন নতুনভাবে ওই পার্কটির মধ্যেই এমনভাবে ডিজাইন করেছে ওখানে আরও ২০-২৫টা দোকান দেওয়ার পায়তারা করেছে। সেদিন আমরা সেটা ভিজিট করে যে স্ট্রাকচার ছিল সেটাকে ভেঙে দিয়েছি এবং ডিক্লেয়ার করেছি এটা একটা নয়নাভিরাম সুন্দর গ্রিন পার্ক হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল কাশেমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
নাবিল/এমএ/