
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মত কর্মবিরতি পালন করেছেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আইনজীবীরা আলিফ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান। এর প্রতিবাদে চিন্ময়ের অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে পরদিন বুধবার আদালত বর্জন করে আইনজীবীরা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবারও আদালত কর্মবিরতি করেছেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। এতে দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামের ৭৪টি আদালতের কার্যক্রম।
আদালত কর্মবিরতি করলেও আইনজীবীরা সকাল থেকে আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নগরের লালদিঘীর পাড়, কোতোয়ালী মোড় ঘুরে আদালত এলাকায় এসে সমাবেশ করেন তারা।
হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট চট্টগ্রামের কো-কনভেনার অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামসুল আলম প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম আদালতের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় দিনের মতো মামলার শুনানি হচ্ছে না। বিভিন্ন আদালতের একাধিক বেঞ্চ সহকারীও তাদের আদালতে শুনানি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মাহফুজ/এমএ/