ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে: চসিক মেয়র

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে জোর দিতে হবে: চসিক মেয়র
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

ডেঙ্গু এবং কিউলেক্সের প্রকোপ থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে মশা নিয়ন্ত্রণে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কার্যক্রমের গতি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড পরিদর্শনে গিয়ে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব কমানোর লক্ষে মশার ওষুধ স্প্রে ও বিভিন্ন স্থানে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা অপসারণের নির্দেশ দেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

মেয়র ওয়ার্ডে কর্মরত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের হাজিরা প্রত্যক্ষ করেন এবং পরিচ্ছন্ন কর্মীদের নানাবিধ সমস্যার কথা শোনেন। এ সময় ডোর টু ডোর শ্রমিক মো. রহিম বাদশার চোখের সমস্যার কথা শুনে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন মেয়র। পাশাপাশি অনিয়মিত পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সতর্ক করেন এবং একজনের পরিবর্তে অন্যজনের চাকরি করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান।

পরিছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগের মেয়র-কাউন্সিলররা ইচ্ছামাফিক লোক নিয়োগ দিয়েছেন। এক ওয়ার্ডে ৭০ থেকে ৯০জন এমনকি অনেক ওয়ার্ডে ১০০ জনও আছে। আমি মনে করি প্রত্যেকে তার নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। এর বিনিময়ে সে বেতন নিচ্ছে। আমার যেটা দায়িত্ব অবশ্যই আমি তা করবো। পরিচ্ছন্ন কাজের নিরাপত্তা সরঞ্জাম, ভ্যানগাড়ির শিগগিরিই ব্যবস্থা করা হবে।’

মেয়র পরিছন্নতা কর্মীদের হুঁশিয়ার করে বলেন, কোন ধরনের ফাঁকিবাজি করার চেষ্টা করবেন না। যে কাজকে আপনারা রুজি-রোজগার হিসেবে নিয়েছেন, সেটাকে হালালভাবে করার চেষ্টা করবেন। আমি মনিটরিং করছি এবং এটা চলমান থাকবে। কাজ করবেন না, অথচ বেতন নেবেন এটা হবে না। এ ধরনের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে চাকরি থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি যে আপনারা পরিচিত লোক দেখে দেখে স্প্রে মারেন। যারা পরিচিত তাদের বাসায় মারবেন, যারা অপরিচিত তাদের বাসায় মারবেন না এটা হতে পারে না। প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমান। সমানভাবে সব জায়গায় মশার ওষুধ স্প্রে করবেন। বর্তমানে আমরা একটা ভালো মশার ওষুধ দিয়েছি । সেটা প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদও আছে। কিন্তু ঠিকমত ওষুধের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।’

মেয়র বলেন, ‘তিন-চার মাস পর বর্ষাকাল। বৃষ্টির পানি যাতে জমতে না পারে সেলক্ষে এখন থেকেই নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখতে হবে। নালার মধ্যে চিপসের প্যাকেট, পলিথিন, প্লাস্টিক, ইত্যাদি অপচনশীল ময়লা-আবর্জনার কারণে নালাগুলো ভরে যায়। ফলে পানি যেতে পারবে না, জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।’

ওয়ার্ড সচিবদের সতর্ক করে মেয়র বলেন, ‘বর্তমানে কাউন্সিলর না থাকার কারণে জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ এই দুই ব্যাপারে সচিবদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।  জনসাধারণ যাতে কোনভাবেই নাগরিক সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয়। কিছু ওয়ার্ড সচিবের উদাসীনতা লক্ষ্য করেছি। আমি অবিলম্বে তাদের সঙ্গে একটা মিটিং করবো। যে সকল ওয়ার্ড সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বদলিসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজেই আপনারা সাবধান থাকুন। কেউ যাতে আপনাদের ব্যাপারে কোন অভিযোগ করতে না পারে।’

পরিদর্শনকালে চসিক সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, আইন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দীন মুরাদ, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ) সহ-পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন ।

নাবিল/

শার্শায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ৪

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
শার্শায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই, আটক ৪
জনতার হাতে আটক ছিনতাইকারী হৃদয় হোসেন ও  ফয়সাল হোসেন।   ছবি: সংগৃহীত

যশোরের শার্শায় নারিশ ফিশ ফিড কোম্পানির ম্যানেজারকে প্রকাশ্যে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ৮ লাখ টাকা ছিনতাই হওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৩টার নাভারণ-সাতক্ষীরা মহাসড়কে উলাশী দক্ষিণপাড়া যাত্রী ছাউনীর সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তির নাম রোকনুজ্জামান। তিনি উপজেলার বাগআঁচড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আটককৃতরা হলেন- ঝিকরগাছা উপজেলার কলাগাছি গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২৪) একই গ্রামের শফিক হোসেনের ছেলে ফয়সাল হোসেন (১৮), একই গ্রামের তরিকুল ইসলাম (২৫) ও নাভারণের ইসলামপুর গ্রামের রাব্বেল (২৩)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারিশ ফিশ ফিড কোম্পানির ম্যানেজার রোকনুজ্জামান আজ বিকালে নাভারণ ও উলাশী বাজার থেকে কোম্পানির টাকা কালেকশন শেষে মোটরসাইকেলযোগে বাগআঁচড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এসময় উলাশী দক্ষিণপাড়া যাত্রী ছাউনীর সামনে পৌঁছালে বিএনপির লোগো সম্বলিত টি-শার্ট পরিহিত হঠাৎ চারজন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেলে এসে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে জখম করা হয়। পরে একপর্যায়ে তার কাছ থেকে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয় তারা। দুইজন ছিনতাইকারী ব্যাগে থাকা ৮ লাখ টাকা নিয়ে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এসময় রোকনুজ্জামানের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে  হৃদয় হোসেন ও  ফয়সাল হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় রোকনুজ্জামানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ লাখ টাকাসহ  তরিকুল ইসলাম ও রাব্বেলকে আটক করে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং চারজনকে আটক করা করা হয়। ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম/এমএ/

বিয়ের একদিন আগে দুর্ঘটনায় বরসহ নিহত ২

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
বিয়ের একদিন আগে দুর্ঘটনায় বরসহ নিহত ২
নিহত শাহ্ আলম ও সুয়েম মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার নূরপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা এলাকার ছাবেদ আলীর ছেলে শাহ্ আলম ও একই গ্রামের বেনু মিয়ার ছেলে সুয়েম মিয়া।

এর মধ্যে আগামী শুক্রবার শাহ আলমের বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে দুই বন্ধু বিয়ের বাজার করতে হবিগঞ্জ শহরে যান। কেনাকাটা শেষে সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল করে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় মহাসড়কের নূরপুর পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়।

এতে ঘটনাস্থলেই সুয়েম মিয়া মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় শাহ আলমকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তৈমুর ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একজনের মরদেহ ও দূর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে।

কাজল সরকার/মাহফুজ

 

গাইবান্ধার ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকসে রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
গাইবান্ধার ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকসে রিপ্রেজেন্টেটিভদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে মানববন্ধন
জেলা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে ফার্মাসিউটিক্যালস ও সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছে মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে ফার্মাসিউটিক্যালস ও সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালিত হয়।

এতে জেলায় কর্মরত প্রায় আড়াই শতাধিক মেডিক্যালরিপ্রেজেন্টেটিভ ও  ম্যানেজারগণসহ সচেতন লোকজন অংশ নেয়।

এসময় তাদের হাতে,‘চাঁদা না দেওয়ায় ক্লিনিকে ঢুকতে বাধা, মানি না, মানবো না’সহ নানা স্লোগান সম্বলিত ফেসটুন ব্যানার দেখা যায়।

এতে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর আলম, আশরাফ হোসেন, রবিউল ইসলাম,মানিক মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শীত, গরম  উপেক্ষা করে আমরা মানুষদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পর্যাপ্ত  কর্মসংস্থান না থাকায় অল্প বেতনে কঠিন পরিশ্রমে আমরা কাজ করছি। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের ও ম্যানেজাররা জেলার চিকিৎসকদের কাছে ঔষুধ সম্পর্কে নিত্য নতুন তথ্যাদি দিয়ে চিকিৎসা সেবাকে আরও উন্নত করার কাজে নিয়োজিত আছি। যেখানে মানুষের জীবন বাঁচানের বিষয়, সেখানেও ঘুষ দিতে হয়। সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. শহিদুজ্জামান হারুন ও সাধারণ সম্পাদক সাকোয়াত হোসেন বিপ্লব অনৈতিকভাবে পিকনিকের নামে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে জেলার কোনো চিকিৎসক ও ক্লিনিক বা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের হীন সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে ঔষুধ সরবরাহ বন্ধসহ বড় ধরনের কর্মসূচির করবে বলে হুশিয়ারি দেন।

মাবনবন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে স্বারক লিপি প্রদান করেন তারা।

রফিক খন্দকার/এমএ/

পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিল চালক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০২ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে এক কিলোমিটার নিল চালক
ভিডিও থেকে নেওয়া ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে পুলিশ সদস্যকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক কিলোমিটার এলাকা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাওনা হাইওয়ে থানার কনস্টেবল কমল দাস এ ঘটনার শিকার। এ ঘটনায় পুলিশ চালকসহ অটোরিকশা আটক করেছে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের জৈনাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে।

আটক অটোরিকশা চালক জনি আহমেদ (২৪) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মো. আহমেদ আলীর ছেলে। 

পুলিশ কন্সস্টেবল কমল দাস বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নিয়মিত অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযোগ পরিচালনার অংশ হিসেবে বিকেলে উপজেলার জৈনাবাজার এলাকায় অভিযান চলাকালে একটি অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে আসে। থামানোর জন্য অটোরিকশাকে সিগন্যাল দেওয়া হয়। রিকশা থামানোর পর চাবি নেওয়ার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে অটোরিকশা চালাতে শুরু করে। আমি অটোরিকশায় উঠার চেষ্টা করি, কিন্তু চালক রিকশার গতি আরোও বাড়িয়ে দেয়। এরপর আমি অটোরিকশায় ডান পাশে ঝুলে যাই। অটোরিকশা চালককে অনুরোধ করলেও গতি আরোও বাড়িয়ে আমাকে মহাসড়কে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমাকে ঝুলিয়ে কমপক্ষে এক কিলোমিটার ঝুলিয়ে নিয়ে যায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ সদস্য ইউনিফর্ম পরা অবস্থায় চলন্ত অটোরিকশার রড ধরে ঝুলে আছে। পেছনে কয়েকজন যাত্রী চালককে অনুরোধ করছেন অটোরিকশা থামানোর জন্য কিন্তু অটোরিকশা চালক থামাচ্ছে না। অটোরিকশার পাশ দিয়ে বিভিন্ন পরিবহন যাচ্ছে। পরবর্তীতে একটি স্থানে পৌঁছালে জ্যামে উপস্থিত স্থানীয় ও পুলিশ সদস্য মিলে চালককে আটক করে।

মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী বলেন, ঘটনার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পাশ্ববর্তী ভালুকা উপজেলা জামিরদিয়া এলাকার ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে অভিযুক্ত চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে অটোরিকশা। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

পলাশ প্রধান/এমএ/

অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
অসুস্থ যাত্রীদের জন্য শাহ আমানতে প্রথমবারের মতো অ্যাম্বুলেন্স সেবা
সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি প্রয়োজনে এখন থেকে অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা পাবেন আগত অসুস্থ প্রবাসী যাত্রীরা। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের যৌথ উদ্যোগে এই সেবার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর। 

এ সময় ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক (মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) শরিফুল ইসলাম হাসান ও বিমানবন্দরের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্বোধন শেষে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেক সময় জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবার প্রয়োজন হয়। এই বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য ব্র্যাক কাজ করছে, আমরা তাদেরকে অ্যাম্বুলেন্স সেবার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাই। এখন থেকে জরুরি প্রয়োজনে আমরা অসুস্থ প্রবাসীদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পারব। 

এর আগে দুপুরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ব্র্যাকের যৌথ অর্থায়নে ইমপ্রুভড সাসটেইনেবল রিইন্ট্রিগ্রেশন অব বাংলাদেশি রিটার্নি মাইগ্রেন্টস (প্রত্যাশা-২) প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের সম্মেলন কক্ষে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, যেহেতু মধ্যপ্রাচ্য থেকে চট্টগ্রামে অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আসে তাই অনেককেই আমরা দেখি অসহায় হয়ে ফেরত আসে। এই মানুষদের সহায়তা করতেই ব্র্যাক ঢাকার মতো শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ করছে। এখানে মানুষকে কাউন্সিলিং, খাবার, যাতায়াত, চিকিৎসাসহ নানা ধরনের জরুরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। গত চার বছরে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে এই ধরনের সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মানবিক এই কাজের জন্য ব্র্যাককে ধন্যবাদ। আমরা সবার সঙ্গে মিলে যৌথভাবে এই কাজগুলো আরও বেশি এগিয়ে নিতে চাই যাতে বিমাবন্দরে প্রবাসীরা জরুরি সব সহায়তা পান। আমরা মনে করি সমন্বিতভাবে কাজ করলে আরও বেশি মানুষকে সহায়তা করা যাবে।

এ সময় চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, এয়ারলাইন্স সমূহ ও অন্যান্য অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন। 
সমন্বয় সভায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর শরিফুল ইসলাম হাসান বলেন, বাংলাদেশের যে জেলাগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি লোক বিদেশে যায় চট্টগ্রাম তার শীর্ষে। তবে অনেক মানুষ যেমন বিদেশে যায় তেমনি শূন্য হাতে অনেক দেশে ফিরে। তাদের কল্যাণে আমরা প্রথমে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাজ শুরু করি। গত পাঁচ বছর ধরে পরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরেও সেই কাজ চলছে। আমরা মনে করি বিমানবন্দরে প্রবাসীদের সেবা দেওয়ার জন্য একটি কাঠামো থাকা জরুরি। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার কামরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে কাজ করতে যান তারা অনেক বিষয় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন। তাদের আরও বেশি সচেতন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাস্কফোর্সের কমান্ডার উইং কমান্ডার রেজাউল হক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের জিএসও-টু স্কোয়াড্রন লিডার তারিক আজিজ মৃধা, সিভিল অ্যাভিয়েশনের সহকারী পরিচালক (ফায়ার) আবু মোহাম্মদ ওমর শরীফ, বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল, চট্টগ্রামের মহিলা কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ আশরিফা তানজীম প্রমূখ। 

তারেক মাহমুদ/মাহফুজ