গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে জায়গা দখল নিয়ে মহারাজপুর ও মোচনা ইউনিয়নবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষে বনগ্রাম, আইকদিয়া এবং এর আশপাশের এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, উপজেলার মোচনা ইউনিয়নের আইকদিয়া গ্রামের আসাদ সিকদার জোর করে দোকানঘর তুলতে গেলে মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রামের মজিবর রহমান ও তার লোকজন বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এর জেরে মহারাজপুর ও মোচনা ইউনিয়নবাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাকিরা বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের মোস্তফা গাজীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘সকালে জানতে পারি, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করে দোকানঘর তুলছেন মোচনা ইউনিয়নের পাইকদিয়া গ্রামের শওকত সিকাদার, মিজান মেম্বার এবং আসাদ সিকদারসহ কিছু লোক। ওই সময় আমরা গিয়ে তাদের বলি, আপনারা কেন ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল করছেন। এতে আমরা বাধা দিলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আমাদের লোকজন খবর দিলে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।’
এ বিষয়ে শওকত সিকদার বলেন, ‘আগে এখানে আমাদের ঘর ছিল। কিছুদিন আগে ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়ে। আজ আমরা ঘর তুলতে যাই। এ সময় আমাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে আমাদের ওপর হামলা করলে এলাকার লোকজন লাঠি নিয়ে আমরাও বেরিয়ে পড়ি। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’