ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিতে সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৫ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫১ পিএম
আইনজীবী আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিতে সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
আইনজীবী আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। ছবি: খবরের কাগজ

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার বিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্র সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় আলিফের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা গ্রামে তার কবর জিয়ারত শেষে গণমাধ্যমে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল, অর্থ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজাসহ কয়েকজন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেলসহ আরও অনেকে। 

এসময় অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ‌‘আমরা আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের পরিবার, গ্রামবাসী, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দ্ব্যর্থ কণ্ঠে বলতে চাই, আলিফ বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ৭০ হাজার আইনজীবী পরিবারের সদস্য। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আলিফকে হারিয়ে শোকাহত, মর্মাহত। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আপনাদের কাছে, আলিফের গ্রামবাসীর কাছে, পিতার কাছে, বন্ধু-বান্ধবের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আলিফের হত্যাকারী প্রকৃত খুনীদের বিচার আমরা করবই।’ 

আমরা বলতে চাই, আলিফের হত্যাকারীরা যে-ই হোক, যতই ক্ষমতাশালী হোক, তারা আইনের আওতার বাইরে যেতে পারবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, সর্ব্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করণীয় আমরা সেটা করছি। আমরা আপনাদের কাছে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলছি আলিফ আমাদের পরিবারের। আলিফ বাংলাদেশকে দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধোত্তর নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার জন্য রাজপথের সহকর্মী ছিলেন। আলিফ নিয়মিগ মাটির টানে, শেকড়ের টানে এখানে আসতেন। আমরা আলিফের পরিবারের পাশে থাকব। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের যে কারো কাছে যেকোনো সময় আলিফের পরিবারের কেউ যোগাযোগ করলে আরেকটি পরিবার হিসেবে আমরা আপনাদের পাশে থাকব। 

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, খুনীরও অধিকার আছে আইনের আশ্রয় নেওয়ার। কাউকে যদি আইনি সহযোগিতা পেতে বাধা দেওয়া হয় সেই বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখব এবং আমরা সে পথেই আগাব। এ সময় ইসকন নিষিদ্ধের বিষয়টি সরকারের পিলিসির বিষয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। 

এদিকে আজ বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আলিফ হত্যা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এর আগে তিনি সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। পরে তিনি সড়ক পথে লোহাগাড়ার চুনতির ফারাঙ্গা গ্রামে যান। 

মনির/মাহফুজ/এমএ/

বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০, ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০, ১৪৪ ধারা জারি
ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য ও পথচারীসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। 

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনিদিষ্ট সময়ের জন্য সমাবেশ ও আলোচনাস্থলসহ পুরো পৌর এলাকাকে এ নির্দেশনার আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি বিকেলে শ্যামনগর সদরের এম এম প্লাজার পাশে কৃষক দলের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আনন্দ মিছিলের সঙ্গে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির একাংশ। অন্যদিকে দলটির আরেক অংশ একই সময়ে ওই স্থানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। উভয় পক্ষ একই স্থানে ও একই সময়ে সম্মেলন কিংবা আলোচনা সভা আয়োজন করলে ওই স্থান ও আশপাশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রনী খাতুন ১৪৪ ধারা জারি করেন।

সংঘর্ষে আহতরা

বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর উপজেলা বিএনপির ৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। এ ছাড়া শ্যামনগর পৌরসভা বিএনপির ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। এই কমিটি গঠনের পর থেকে শ্যামনগরে কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ করে আসছে দলটির নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে উপজেলায় বিএনপির উভয়দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যেই মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার পূর্ববর্তী ও নতুন ঘোষিত উভয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলীম।

পরে বুধবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সোলাইমান কবিরের গ্রুপ। অন্যদিকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের ঘোষণা দেয় সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের গ্রুপ। এই কর্মসূচি ঘিরে পৌর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। 

একপর্যায়ে বংশপুর এবং ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে সোলায়মান কবীর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলাকায় ফেরার পথে ইসমাইলপুর এলাকায় পৌঁছালে আশেক এলাহী মুন্নার বাড়ি থেকে ওই মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম, পথচারীসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি নিয়ে শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে সোলাইমান কবির জানান, তার গ্রুপের ১০-২০ জন আহত হয়েছে। বর্তমানে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত। চিকিৎসা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সবকিছু প্রশাসনের উপস্থিতিতে ঘটেছে। তবে প্রশাসন সে অর্থে সহায়তা করেনি। 

উপজেলা বিএনপির অপর গ্রুপের নেতা আশেক এলাহী মুন্নার স্ত্রী নুরজাহান পারভীন মুন্না বলেন, তাদের গ্রুপের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। রাজনৈতিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

জাকির/মাহফুজ/সালমান/ 

 

স্ত্রীর কাছে যৌতুক না পেয়ে শ্যালকের বউ নিয়ে উধাও প্রবাসী!

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০২ পিএম
স্ত্রীর কাছে যৌতুক না পেয়ে শ্যালকের বউ নিয়ে উধাও প্রবাসী!
নাজমুল সরদার ও তার স্ত্রী সাদিয়া আরলী জোয়াদ্দার (বামে) ,বাবুল হোসেন মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্ত্রীর কাছে যৌতুক না পেয়ে শ্যালকের বউ ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবুল হোসেন মোল্লা নামের এক জার্মান প্রবাসীর বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে জার্মান প্রবাসী বাবুল হোসেন তার প্রথম স্ত্রী তাহেরা ওয়াজেদ তুহিনের কাছে ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায়, স্ত্রীর চাচাতো ভাই নগরকান্দা উপজেলার বিলগোবিন্দপুর গ্রামের নাজমুল সরদারের স্ত্রী সাদিয়া আরলী জোয়াদ্দারকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন বাবুল হোসেন। 

এ ঘটনায় বাবুলের প্রথম স্ত্রী ভুক্তভোগী তাহেরা ওয়াজেদ তুহিনের বড়ভাই সরদার সাইফুজ্জামান বুলবুল বাদী হয়ে ফরিদপুর আদালতে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের বিলগোবিন্দপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদ সরদারের মেয়ে তাহেরা ওয়াজেদ তুহিনের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খালিশপট্টি গ্রামের মৃত আবু হানিফ মোল্লার ছেলে জার্মান প্রবাসী মো. বাবুল হোসেন মোল্লার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবুল হোসেন মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে যৌতুকের যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে আমার প্রথম স্ত্রী তাহেরা ওয়াজেদ তুহিনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের অবনতি হচ্ছিল। আমি আমার প্রথম স্ত্রীকে আইন সম্মতভাবে তালাক দিয়ে সাদিয়াকে বিবাহ করেছি।

সঞ্জিব দাস/মাহফুজ 

 

‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে বারোমাস হাসি থাকবে’

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে বারোমাস হাসি থাকবে’
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপি এবার ক্ষমতায় আসলে কৃষকদের কোন সমস্যা থাকবে না উল্লেখ করে কৃষক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাবির তুহিন বলেন, কৃষকদের উন্নয়ন না হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে কৃষকদের উন্নয়ন দিয়েই দেশের উন্নয়ন শুরু করবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে বারোমাস হাসি থাকবে ইনশাআল্লাহ।

বুধবার (২২ জানুয়ারি)বিকাল পাঁচটার দিকে দিনাজপুর বীরগঞ্জের গোলাপগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মরিচা ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সভাপতি আরও বলেন, বিগত আওয়ামী সরকার কৃষকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। মানুষের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। বাংলাদেশের কৃষকেরা ভোট দিতে পারেনি।

তিনি আবারো হুশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, কোন সরকার যদি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে চায়। আমরা জাতীয়তাবাদী নেতাকর্মীরা শহিদ জিয়ার সৈনিকেরা অতীতের মতো রাজপথে থেকে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করব ইনশাল্লাহ।

বীরগঞ্জের মরিচা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমান চৌধুরী বাদশার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সদস্য ও বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলাল দিনাজপুর কৃষক দলের সভাপতি নুরুজ্জামান প্রমুখ।

সুলতান মাহমুদ/এমএ/

শতবর্ষী মন্দিরে স্বর্ণালঙ্কার ও মূর্তি চুরি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
শতবর্ষী মন্দিরে স্বর্ণালঙ্কার ও মূর্তি চুরি
ছবি: খবরের কাগজ

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় শত বছরের পুরনো মন্দির থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ কষ্টি পাথরের মূল্যবান মূর্তি চুরির ঘটনা ঘটেছে।
 
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের বলড়া গ্রামের শ্রী শ্রী রাধারমণ জিউর মন্দিরে এ চুরির ঘটনা ঘটে।

মন্দিরের পুরোহিত ও সেবায়ত জানান, বুধবার সকালে পুরোহিত মহাদেব চক্রবর্তী মন্দিরের মূল দরজা খুলেই ভেতরে মূর্তিগুলো এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মন্দিরের সেবায়েত গোপাল সাহাসহ অন্যান্যদের বিষয়টি জানান।

মন্দিরের পুরোহিত মহাদেব চক্রবর্তী বলেন, মঙ্গলবার রাতে আমরা প্রায় ১টা পর্যন্ত মন্দিরে সজাগ ছিলাম। পরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে মূল দরজা খুলে দেখি মূর্তিগুলো এলোমেলো। মন্দিরের বামদিকের দরজার লক ভেঙে চোরেরা চার ভরি রুপার নূপুর, তিনটি স্বর্ণের টিপ, মূর্তির চোখ, নাক, মুখের স্বর্ণলঙ্কার এবং স্বর্ণের ১ জোড়া খড়ম (মূল্য প্রায় ৪ লাক টাকা) চুরি করেছে। এছাড়াও শত বছরের পুরনো কষ্টি পাথরের মূর্তিটিও চুরি হয়েছে।

মন্দিরের সেবায়েত গোপাল সাহা জানান, মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা ছিল। তবে গত দেড় থেকে দুই মাস ধরে সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট হয়ে ছিল এবং মেরামতের জন্য পাঠানো হয়েছিল। তিনি আরও জানান, এখানে চুরির ঘটনা এই প্রথম।

হরিরামপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, মন্দিরে চুরির ঘটনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
আসাদ জামান/মাহফুজ 

 

রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে সমন্বয়ককে মারধর
মারধরের শিকার নুরুল ইসলাম শহীদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীতে ছাত্রাবাসে ঢুকে নুরুল ইসলাম শহীদ নামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়ককে লাঠিশোঁটা ও রড দিয়ে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জন ব্যক্তি নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকায় ছাত্রাবাসে ঢুকে তাকে মারধর করেছে। ঘটনার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অন্যতম সমন্বয়ক। রাবির ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের লেভেল-২ এর দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে। চার বছর ধরে তিনি নগরের ষষ্ঠীতলা এলাকার ‘কিউট ছাত্রাবাস’-এ থাকেন।

তাকে মারধরের প্রতিবাদে বুধবার দুপুর দেড়টায় রাবির প্যারিস রোডে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে স্টুডেন্টস রাইটস অ্যাসোসিয়েশন। মানববন্ধন থেকে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

আহত সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ জানান, রাতে তিনি তার কক্ষে বসে ভাত খাচ্ছিলেন। তখন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ছাত্রাবাসে এসে প্রতিটি কক্ষের দরজা ধাক্কা দিয়ে কাউকে খুঁজতে থাকেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ছাত্রাবাসে বাইরে থেকে এক ব্যক্তি এসে ঢুকে লুকিয়েছেন। ওই ব্যক্তিকেই খোঁজা হচ্ছে। তিনি বের হয়ে নিজেও খুঁজতে শুরু করেন। এরপর চারতলার রান্নাঘরে শামিম নামের ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। যারা শামিমকে খুঁজতে এসেছিলেন তাদের কাছে তাকে হস্তান্তর করার জন্য তাদেরকে ডাকছিলেন তিনি। এরইমধ্যে ছাত্রাবাসে ঢুকে পড়েন শামিমের পক্ষের ২০-২৫ জন ব্যক্তি। তারা কোনোকিছু না শুনেই সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম ও ছাত্রাবাসের মালিক রোকন উদ্দীনকে মারধর শুরু করে।

নুরুল ইসলাম শহীদ জানান, তাকে রড ও লাঠিশোঁটা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। বহিরাগত ব্যক্তিরা মারধর করে চলে যাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়েছিলেন। রডের আঘাতে হাত ভেঙে গিয়েছে বলে তিনি আশঙ্কা করেছিলেন। তবে এক্স-রে করে দেখেছেন, হাত ভাঙেনি। তাই হাসপাতাল থেকে চলে এসেছেন। এখনও শরীরে প্রচণ্ড ব্যাথা রয়েছে। পরিবার ও বড় ভাইদের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি মামলা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

নগরের বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ জানান, হৃদয় ও মোস্তাক মিল্টন নামের দুই তরুণের দ্বন্দ্ব আছে প্রেমঘটিত বিষয়ে। রাতে হৃদয় ওই এলাকায় মিল্টনকে ধরে আনে। সেখানে হৃদয়ের দুলাভাই শামিমও আসেন। খবর পেয়ে মিল্টনের লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় শামিম গিয়ে ওই ছাত্রাবাসে লুকিয়ে পড়েন। পরে শামিমের লোকজন তাকে উদ্ধারে ছাত্রাবাসে ঢুকে দেখেন, সমন্বয়ক নুরুলের কাছে শামিম। নুরুলই তাকে আটকে রেখেছেন, এই ধারণা করে তাকে মারধর করা হয়েছে। আসলে এটা ভুল বোঝাবুঝি।

ওসি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা সমন্বয়ক নুরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল। নুরুল চাইলে মামলা করতে পারেন। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এনায়েত করিম/মাহফুজ