সেনাবাহিনীর কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় সাজেক থেকে ফিরেছেন আটকে পড়া পাঁচ শতাধিক পর্যটক। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সাজেকে পাহাড়ের আঞ্চলিক দুই পক্ষের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় সাজেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আবারো অবনতি হয়।
পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ৪ ডিসেম্বর থেকে সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। তবে সার্বিক পরিস্থিতি উন্নতি না হলে এই নির্দেশনা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে স্থানীয় যানবাহনের একটি বহরে করে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ফিরতে শুরু করে পর্যটকরা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে সাজেকের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ও প্রসীত খীসার ইউপিডিএফের অস্ত্রধারীদের মধ্যে থেমে থেমে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালাতে পারছে না। ফলে সাজেক ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পর্যটকদের নিরাপত্তা বিবেচনায় ৪ ডিসেম্বর থেকে সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন। ৩ ডিসেম্বর রাতে এ নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। এতে সাজেকের বাঘাইহাট থেকে নতুন করে কোনো পর্যটক সাজেকে প্রবেশ করতে পারবে না। একইসঙ্গে সাজেক থেকে ফিরতে না পারায় সেখানে সাড়ে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়ে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, সাজেক থেকে ফিরতে না পারায় আটকে পড়া সাড়ে পাঁচ’শ পর্যটক বুধবার দুপুরে সেনা সহায়তায় ফিরেছেনন।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার পথে একটি অংশে দুটি সশস্ত্রগ্রুপ মুখোমুখি গোলাগুলিতে লিপ্ত হয়। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। যে কারণে জেলা প্রশাসন থেকে পর্যটকদের বুধবার ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে এই নিরুৎসাহিতকরণ নির্দেশনা বৃদ্ধিও পতে পারে।
জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ/এমএ/