সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আশরাফ উদ্দিন (৬৫) নামে এক বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার বালুচর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে। তাকে গুলি করে পাহাড় থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বজনদের দাবি।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সীমানা পিলার ১২৫১-এর ওপারে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের ছেলে জিয়াউর রহমান জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে সীমান্ত এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে বের হন আশরাফ উদ্দিন। এদিন তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। বুধবার সকালে তাকে খুঁজতে বের হন পরিবারের সদস্যরা। খুঁজতে খুঁজতে কালাইরাগ সীমান্তের ১২৫১ নম্বর পিলারের প্রায় ২০০ ফুট ভেতরে ভারত অংশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে দেখতে পান। পরে তারা বিজিবিকে খবর দেন। তবে কে বা কারা গুলি করেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশরাফের এক আত্মীয় বলেন, নিহত আশরাফের বুকের ডান পাশ রক্তাক্ত দেখা যাচ্ছে। সেই স্থানটিতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার ক্ষত। তারা জেনেছেন, খাসিয়ারা তাকে গুলি করে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়। পুলিশ ও বিজিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আশরাফ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তার লাশ দেশে আনার জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলছে।
যোগাযোগ করা হলে ৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘একজন বয়স্ক মানুষ লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে হয়তো ভুলে ভারতে প্রবেশ করে ফেলেন। আমাদের কাছে এখনো তার লাশ এসে পৌঁছায়নি। তবে বিএসএফ আমাদের বলেছে তিনি হয়তো লাকড়ি আনতে পাহাড়ে উঠেছিলেন। সেখান থেকে পড়ে মারা গেছেন। বিএসএফের পক্ষ থেকে কোনো গুলি করা হয়নি বলে তারা আমাদের নিশ্চিত করেছেন।’ তার লাশ দেশে এলে ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে তারা বলতে পারবেন কীভাবে তিনি মারা গেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান বলেন, ‘ভারতের সীমান্তে একজন বাংলাদেশির লাশ পাওয়া গেছে এটা আমরা জানতে পেরেছি। তবে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন কি না আমরা জানি না। লাশ দেশে এলে ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে তিনি কীভাবে মারা গেছেন। আমাদের পুলিশ ফোর্স সীমান্তে গেছে।’