কিশোরগঞ্জের নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বানিয়াজান সরকারি জলমহালে বিষ ঢেলে প্রায় দুই কোটি টাকার মাছ মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ভোরে জলমহালের মাছ মরে ভেসে ওঠে ।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিষ প্রয়োগের ঘটনা ঘটে ।
জলমহালের ইজারা অংশীদার নজরুল ইসলাম খোকন খবরের কাগজকে বলেন, বুধবার ফজরের সময় জলমহালের দুই পাহারাদার ফোন করে সব মাছ মরে ভেসে ওঠার খবর জানায়। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ক্ষতি করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
ইজারা অংশীদার বিজয় বর্মন বলেন, ছনকান্দা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি লিটন বর্মনের নামে আমরা ৩৭ একর ৪৭ শতাংশ আয়তনের জলমহালটি ভূমি মন্ত্রণালয় হতে উন্নয়ন প্রকল্পে ১৪৩১ বঙ্গাব্দের ১ বৈশাখ থেকে ১৪৩৬ বঙ্গাব্দের ৩০ চৈত্র পর্যন্ত ছয় বছরের জন্য লিজ আনি। ভ্যাট-আয়করসহ প্রথম বছরের ইজারা মূল্য ৩৪ লাখ ২১ হাজার ৩৯৫ টাকা পরিশোধ করে আমরা মাছ চাষে নামি। এতে রুই, মৃগেল, আইর ও কার্প জাতীয় বিভিন্ন মাছ চাষ করেছিলাম। এছাড়াও প্রাকৃতিক বিভিন্ন মাছ ছিল। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় ৮৫ লাখ টাকা খরচ হয়। বিষ প্রয়োগের কারণে সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমাদের দুই কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়ে গেল।
আরেক অংশীদার জাফর মিয়া বলেন, শত্রুরা বিষ দিয়ে মাছ মেরে ফেলায় আমাদের এখন পথে বসার অবস্থা হয়েছে।
জলমহালের অংশীদার করিমগঞ্জের গুণধর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. মিলন মিয়া বলেন, 'জলমহাল নিয়ে একটা পক্ষের সঙ্গে আমাদের মামলা চলছে। তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।' এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হবে।
করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাব উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ঘটনা নিকলী থানা এলাকায় ঘটেছে। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আরিফ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাসলিমা আক্তার মিতু/মেহেদী/এমএ/