
সিলেটের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও তার ব্যক্তিগত সহকারী কয়েস চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত রাশেদ আহমদ। তিনি সিলেট মহানগরের তোপখানা সুরমা ভ্যালির বাসিন্দা। আদালতের নির্দেশে বুধবার রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ।
মামলার অন্যান্য আসামিদের মধ্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, রনজিত সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আরও প্রায় ৩শ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর আগে আরও একটি বিস্ফোরক মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্ত্রী সেলিনা মোমেন, স্ত্রীর বান্ধবী হেলেন আহমদসহ সাবেক মন্ত্রীর সিলেট দপ্তরের লোকজনকে আসামি করা হয়।
বুধবারের মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার পতনের দিন (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মহানগরের সুরমা মার্কেট ও কিন ব্রিজ এলাকায় আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা অবস্থান করছিল। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন ভিকটিমসহ অন্যরা। উল্লিখিত স্থানে শোভাযাত্রাটি আসামাত্র গুলিবর্ষণ করতে থাকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা। এতে মামলার বাদী রাশেদ আহমদ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অপর আসামিরা তাকে কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন রাশেদ আহমেদকে।
মামলার এজহারে আরও বলা হয়, আহত রাশেদ বর্তমানে পঙ্গত্ববরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাহফুজ/এমএ/