ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ ফেলে পালাল চোরাকারবারি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ ফেলে পালাল চোরাকারবারি
বিজিবির হাতে আটক স্বর্ণ। ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার নাস্তিপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচারের সময় ১০টি স্বর্ণেরবার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় কাউকেই আটক করতে সক্ষম হয়নি বিজিবি সদস্যরা।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত বারাদী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে স্বর্ণ চোরাচালান করা হবে এমন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার সকালে বারাদী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার খন্দকার ওবায়দুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৮০ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর আমবাগানের মধ্যে ওঁৎ পেতে থাকে। এ সময় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি সীমান্তের দিকে অতিক্রম করতে দেখে বিজিবির টহলদল তাকে ধরার চেষ্টা করলে তার কাছে থাকা একটি প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে বিজিবি টহলদল ব্যাগটি উদ্ধার করে এবং খাকী রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় ১০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। যার ওজন আনুমানিক ১ কেজি ১৬৪ গ্রাম (৯৯.৭৯ ভরি)।

বিজিবি আরও জানায়, জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এব জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আফজালুল হক/মাহফুজ/এমএ

ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
ছবি: খবরের কাগজ

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লাইনে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। এতে মোটরসাইকেল আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৮ টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লাইনে ষোলঘর বাসস্ট্যান্ডের ঢাকা মুখি সার্ভিস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা মোটর সাইকেল চালক জনি (৩০) ও আরোহী রিয়াদকে (২৬) উদ্ধার করে চিকিৎসা জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুসা ইব্রাহিম জানান, হাসপাতালে আনার পর জনির মৃত্যু হয়। তাদের বাড়ি ঢাকার লালবাগ এলাকায়।

মইনউদ্দিন আহমেদ সুমন/মাহফুজ

 

মুন্সীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
মুন্সীগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে ১৫ লাখ টাকা ছিনতাই
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে হাতকড়া পরিয়ে ও মারধর করে অ্যাজেন্ট ব্যাংক কর্মচারীর কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার সিরাজদীখান উপজেলার কাঠালতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী অ্যাজেন্ট ব্যাংক কর্মচারীর নাম আফজাল শেখ। তিনি উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর ইসলামী ব্যাংকের অ্যাজেন্ট শাখার কর্মচারী। এ ঘটনায় সিরাজদীখান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইসলামী ব্যাংক ভবানীপুর আউটলেট শাখার অ্যাজেন্ট কামাল শেখ।

ব্যাংক কর্মচারী আফজাল শেখ জানান, দুপুরে তিনি ইসলামী ব্যাংকের নিমতলা শাখা থেকে ১৫ লাখ ৭০ টাকা নিয়ে বাসযোগে ইছাপুরা আসেন। এরপর সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত মিশুকে চড়ে ভবানীপুর অ্যাজেন্ট শাখার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে কাঁঠালতলী গ্রামের ফারুকের পোল্ট্রি ফার্মের সামনে আসলে মাইক্রোযোগে কয়েকজন তার মিশুকের গতিরোধ করে। এসময় তাকে হাতকড়া পরিয়ে অস্ত্রের মুখে মাইক্রোতে তুলে চোখ বেঁধে ফেলে। 

তিনি বলেন, ‘হাতকড়া পড়ানো ও চোখ বাঁধার বিষয়ে জানতে চাইলে ওই লোকজন আমাকে মারধর করে। একইসঙ্গে তারা বলে আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে, কোর্টে চালান করে দিব। এরপর ওই লোকজন সঙ্গে থাকা সব টাকা নিয়ে আমাকে অন্যত্র ফেলে রেখে চলে যায়।’

এ ব্যাপারে সিরাজদীখান সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আ.ন.ম ইমরান খান বলেন, আফজাল শেখকে কাঠালতলী এলাকা থেকে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে নিমলতলা ও আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মাঝমাঝি স্থানে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। তার কাছ থেকে ১৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঈনউদ্দিন সুমন/মাহফুজ 

 

রাঙামাটির কাউখালীতে ১৪ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, ১৩ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১০ পিএম
রাঙামাটির কাউখালীতে ১৪ ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা, ১৩ লাখ টাকা জরিমানা
অবৈধ ইটভাটা বন্ধে প্রশাসনের অভিযান

মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের পর রাঙামাটির কাউখালীতে গড়ে ওঠা অবৈধ ইটভাটা বন্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছে উপজেলা প্রশাসন। এরই মধ্যে ১৪টিতে অভিযান চালিয়ে ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিআরবি ব্রিকস ও এমবিবি ব্রিকস নামের দুই ইটভাটা মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা ও ভাটা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কাজী আতিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগসহ পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

অভিযানে উপজেলার বেতবুনিয়ায় বিআরবি ব্রিকস ও এমবিবি ব্রিকস নামের ওই দুই ইটভাটার মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে ভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। 

এর আগে গেল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জেবিএম ব্রিকস, এটিএম ব্রিকস এবং এমএন্ডসি ব্রিকস নামের আরও তিন ইটভাটা মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরদিন ১১ জানুয়ারি এস.বি.ডবলিউ, এ.এম.বি ইটভাটার মালিককে এক লাখ করে এবং মাঝের পাড়ায় এন.আর.সি ইটভাটার মালিককে দুই লাখসহ মোট চার লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এনিয়ে গত ৫ দিনে ৮টি ইটভাটায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় ও ভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অবৈধভাবে গড়ে তোলা এসব ইটভাটায় পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ আর বনের কাঠ পু্ড়িয়ে ইট তৈরি হয়ে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। সরকারি হিসেবে ১৫টি ইটভাটার মধ্যে ইতোমধ্যেই ১৪টি বন্ধ করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট কাজী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন-মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালনে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান চালানো হয়েছে। 

জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ 

 

‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
‘নদী-আকাশ-শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন
ছবি: খবরের কাগজ

‘পরিষ্কার নদী, স্বচ্ছ আকাশ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি’ শীর্ষক হাওর ক্যাম্পেইন করেছে তিনটি পরিবেশাবাদী সংগঠন। ‘হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি’ (হাউস), ‘ক্লিন’ ও ‘বিডাব্লিউজিইডি’ এই ক্যাম্পেইন করে। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতীরের নবীনগরে এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরিবেশবাদী সংগঠন, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় জনগণ অংশ নেয়। ক্যাম্পেইনের মূল থিম নদী-আকাশ-শক্তির প্রকাশের মধ্য দিয়ে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যকে তুলে ধরে হয়। ক্যাম্পেইনটি অনুষ্ঠিত হয় সুনামগঞ্জের পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার প্রচারের উদ্দেশে।

হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহিন চৌধুরীর শুভ ক্যাম্পেইনে নেতৃত্ব দেন। পরিবেশবাদী সংগঠনের মাহিন চৌধুরী, ফারুক আহমদ, কামাল উদ্দিন, সুরঞ্জন বর্মন, শাওন আহমদ, জুবায়ের আহমদ, নোবেল আহমদ, রাব্বী হোসেন অংশ নেন। ক্যাম্পেইন চলাকালে আলোচনা সভাও হয়। এতে বক্তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব তুলে ধরে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার থেকে সরে আসার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে, যার ফলে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ দূষণের সমস্যা বাড়ছে। নদী, আকাশ, বনভূমির মতো প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। যা মানুষের জীবনযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই সমস্যা সমাধানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন সোলার, বায়ু এবং জলবিদ্যুৎ শক্তি একটি নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হতে পারে। নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমে যাবে। ফলে বায়ু ও জলদূষণ যেমন কমবে, তেমনি পৃথিবীর তাপমাত্রাও স্থিতিশীল হবে। এছাড়া, নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার জনগণের জন্য আরও সাশ্রয়ী হবে এবং গ্রামীণ জনগণের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।

ক্যাম্পেইনে বক্তারা সুনামগঞ্জের স্থানীয় জনগণকে আশ্বস্ত করেন যে, নবায়নযোগ্য শক্তির মাধ্যমে তারা নিজেদের জীবনযাত্রা উন্নত করতে পারবে। পরিবেশকে রক্ষা করতে সহায়তা করতে পারবে। তারা বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি, একদিন সুনামগঞ্জের প্রতিটি ঘরে নবায়নযোগ্য শক্তি পৌঁছাবে এবং এ অঞ্চলের নদী, আকাশ পরিষ্কার থাকবে।’

ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনগণ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার এবং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ পান বলে জানিয়েছেন। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানান।

মাহফুজ

 

অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধ, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
অনলাইন জুয়া নিয়ে বিরোধ, বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন
নিহত যুবক মো. জাহেদ

অনলাইন ভিত্তিক জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধের জেরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। 

নিহত যুবকের নাম মো. জাহেদ (২০)। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার উত্তর কলাউজান রসুলাবাদ পাড়ার বাসিন্দা কোরবান আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।

এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের রাবারড্যাম স্টেশনের লালামার ঘাটা থেকে মো. জাহেদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মো. জাহেদের বাবা কোরবান আলী বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে অনলাইন জুয়া খেলার জন্য তার বন্ধু ইমনসহ আরও ৪ বন্ধু জাহেদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতে সে আর বাড়িতে আসেনি। সকালে একজন রিকশা চালকের মাধ্যমে শুনেছি জাহেদকে কারা যেন মেরে ফেলেছে। 

তিনি আরও বলেন, জানতে পেরেছি জুয়া খেলার সময় বন্ধুদের সঙ্গে জাহেদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোনে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

নিহত জাহেদের মা রিজিয়া বেগম বলেন, সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে দেখি আমার ছেলে আর বেঁচে নেই। আমার ছেলের সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। তার মোবাইলে থাকা টাকা ও মোবাইলের জন্য বন্ধুরাই তাকে হত্যা করেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বশিরুল আলম শরীফ বলেন, সকালে স্থানীয়রা জাহেদের মরদেহ দেখার পর জাহেদের পরিবারকে খবর দেয়। পরে জাহেদের চাচা আমাকে জানালে আমি পুলিশকে খবর দিই। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নিহত জাহেদের বন্ধু ইমনসহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মো. আরিফুল ইসলাম/মাহফুজ