ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

আরাকান আর্মির দখলে মংডু শহর, সতর্ক বিজিবি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৮ পিএম
আরাকান আর্মির দখলে মংডু শহর, সতর্ক বিজিবি
ছবি: সংগৃহীত

মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধের কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে মায়ানমার ওপারে বিমান হামলা ও বোমার বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে টেকনাফ সীমান্ত এলাকা। মায়ানমার মংডু শহরের হান্দা পাড়া এলাকায় জান্তা সরকারের শেষ ঘাঁটি সেটি দখলে নেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। সর্বশেষ জান্তা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল (নাখাখা) কেরাম নামে ক্যাম্পটি এবং সেটি আরাকান আর্মি দখল করে নিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে।   

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে সীমান্তে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মায়ানমারে সংঘাতের কারণে টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। মায়ানমার ওপারে কোনো ধরনের বোমা বা মর্টার শেলের শব্দ শোনা যাচ্ছে না। 

মায়ানমারের মংডু শহরের বসবাসকারীরা বলেন, চলমান সংঘর্ষের কারণে মংডু শহরের পরিস্থিতি দিন দিন ব্যাপক আকারে ধারণ করেছে। মংডু শহরের ৮-১০টি জান্তা সরকারের ক্যাম্প রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি ক্যাম্প দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। ৮ ডিসেম্বর জান্তা সরকারের সর্বশেষ মংডু শহরের হান্দা পাড়া ক্যাম্পটি দখল করে দিয়েছে আরাকান আর্মি। দখল করার পর থেকে মংডু শহরে কারফিউ জারি করেছে আরাকান আর্মি। গত কয়েকদিন ধরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বন্ধ রয়েছে। 

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সাবরাং, শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিনের ইউনিয়নের লোকজন আতঙ্ক ও ভয়ে রাত দিন পার করছে। চলমান যুদ্ধের কারণে মংডু শহরের জোলা পাড়, হাদিবিল, সিকদার পাড়া, তিন মাইল এস এলাকায় জনশূন্য এবং এসব এলাকায় আরাকান আর্মি বসবাস করছে বলে জানা যায়।

টেকনাফ পৌরসভা চৌধুরি পাড়া এলাকার বাসিন্দার ইমাম শরীফ বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি এবং আরাকান আর্মি ও জান্তা সরকারের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। চলমান যুদ্ধের কারণে রাতে ঘুমাতে খুবই কষ্ট হত এবং আতঙ্কে দিন পারছি পরিবার নিয়ে। বিমান হামলা ও বোমার শব্দে কেঁপে উঠে বাড়িঘর।

টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর সৈয়দ ইশতিয়াক মুর্শেদ বলেন, চোরাচালান, মাদকদ্রব্য, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং সীমান্ত অপরাধ দমনে পেশাদারত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবি। মায়ানমার রাখাইন রাজ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় নাফ নদীতে টহল তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। নাফ নদীর ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং বাংলাদেশের জলসীমায় বিদ্যমান দ্বীপের আধিপত্য বিস্তারের জন্য নৌ টহল পরিচালনা করা হয়। সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় বিজিবি ২৪ ঘণ্টা জলে ও স্থলে টহল পরিচালনা করা যাচ্ছে। এছাড়া সীমান্তের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায়ও রয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে সকল নৌকা চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি মাছ ধরার ট্রলারকে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে এবং সেন্টমার্টিনগামী কোনো ধরনের নৌযান অনুমোদন রেওয়া হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুনরায় সকল নৌযান চালু করা হবে।  

মো. শাহীন/মাহফুজ/এমএ/

ভৈরবে কুকুরের কামড়ে প্রকৌশলীসহ আহত ২৫

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম
ভৈরবে কুকুরের কামড়ে প্রকৌশলীসহ আহত ২৫
ছবি : খবরের কাগজ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশু বৃদ্ধাসহ ২৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।  

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদেরকে কামড় দেয়। 

আহতদের মধ্যে ১৬ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন, বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন । 

এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক আব্দুল করিম।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন- পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকার ২ বছরের শিশু  রফিয়া, ৪ বছরের শিশু সাহাবী ও পপি বেগম (৩৮), স্বপন মিয়া (২৫), গাছতলা ঘাট এলাকার বৃদ্ধা রাফিয়া (৬০), ভৈরবপুর এলাকার খোকন মিয়া (৩৮), পঞ্চবটি এলাকার নাজিদ মিয়া (৪৩), উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর এলাকার সেলিম মিয়া (২০), একই এলাকার নুপুর বেগম (১৪), জাহানারা বেগম (৭০) ও রাজ্জাক মিয়া (৬০) ও স্মৃতি বেগম (৩০), আগানগর এলাকা দীপ্তি আক্তার (১৩), সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের রইছ মিয়া (৬৫), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফের মা আক্তার বানু, উপজেলা শিক্ষা প্রকৌশলী রেজাউল করিম (৩৩) ও হাসপাতাল চত্বরের মসজিদে নামাজ পড়তে আসা একজন মুসল্লী রয়েছেন।
   
এ বিষয়ে স্থানীয়রা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রাম থেকে পাগলা কুকুরটি কামড়ানো শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে শিবপুর ইউনিয়নের শম্ভুপুর, শহরের স্টেডিয়াম পাড়া মেরাতলী এলাকায়, চন্ডিবের এলাকায়, গাছতলাঘাট এলাকায়, ভৈরবপুর এলাকায় ও পঞ্চবটী এলাকায় শিশু, বৃদ্ধাসহ বেশ কয়েকজন নারী পুরুষকে কামড় দিয়ে আহত করে। 

এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আজহার মিয়া বলেন, চন্ডিবের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেইটে স্বপন মিয়া ও হাসপাতালের ভিতরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন স্টাফ ও হাসপাতাল চত্বরে মসজিদের নামাজ পড়তে আসা একজন মুসল্লিকে পাগলা কুকুরটি কামড় দেয়। আমি কোনোরকম বেঁচে যাই। 

এ বিষয়ে আহত খোকন মিয়া বলেন, আমি স্টেডিয়াম পাড়া একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ একটি পাগলা কুকুর আমিসহ বেশ কয়েকজনকে কামড় দেয়। পরে আমিসহ কয়েকজন দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেই।

চিকিৎসক আব্দুল করিম বলেন, হাইড্রোফোবিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে কুকুরটি। পানি দেখলে কুকুরটি বেশ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এটাকে জলাতঙ্ক রোগ বলে। বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ১৬ জন রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। এই কুকুরটি অন্য কুকুরকে কামড়ালে তারাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। দ্রুত কুকুরটি শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দরকার।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, এ প্রতিনিধির মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি বিষয়টি খোঁজ খবর নিচ্ছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি কুকুরটি পাগল হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে তারপর কুকুরটি দ্রুত শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরিফুল মামুন/জোবাইদা/

মেঘনায় ট্রলারসহ ৫০ মণ জাটকা জব্দ

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৯ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৪১ এএম
মেঘনায় ট্রলারসহ ৫০ মণ জাটকা জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার কেজি (৫০ মণ) জাটকাসহ ট্রলার জব্দ করেছে কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ঢাকা জোনের অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন চাঁদপুর ও বিসিজি আউটপোস্ট হাইমচর কর্তৃক চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী এলাকাসংলগ্ন মেঘনা নদীতে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালে ওই এলাকা থেকে একটি কাঠের ট্রলার তল্লাশি করে দুই হাজার কেজি জাটকা, ট্রলারসহ ৯ জনকে আটক করা হয়।

পরে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে স্থানীয় মাদ্রাসা, এতিমখানা, গরিব ও দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করে আটকদের হাইমচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

ফয়েজ আহম্মেদ/জোবাইদা/

জামালপুরে ২ সমন্বয়কের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৩ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম
জামালপুরে ২ সমন্বয়কের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের মামলা
জামালপুরের মাদারগঞ্জে ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জান্নাতুল ফেরদৌস। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের মাদারগঞ্জে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে এক মাছ ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করে ছয় লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে দুই ছাত্র সমন্বয়কের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই ঘটনা ঘটে।

পরে ওই ব্যবসায়ী শুক্রবার মাদারগঞ্জ মডেল থানায় দুই সমন্বয়কসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, মাদারগঞ্জ থানা মোড় এলাকায় মাছের ব্যবসা করেন জান্নাতুল ফেরদৌস (২৯)। বৃহস্পতিবার মাছের আড়ৎ থেকে বাড়ি আসার সময় পথে ওঁৎ পেতে থাকা উপজেলার বাকুরচর গ্রামের মো. হাইদর আলীর ছেলে আনন্দ (২৭), নজরুল ইসলামের ছেলে বিজয় (২৬), মনির (২২) ও রুমন মিয়াসহ (২৫) আরও সাত থেকে আটজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করে। মারধরের পরে তার টাকা ছিনতাই করা হয়। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

ব্যবসায়ী জান্নাতুল ফেরদৌস অভিযোগ করে জানান, বিজয় ও রুমন সমন্বয়কারী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে চাঁদাবাজি করে। তাদের নেতৃত্বেই আমার ওপর হামলা করে টাকা ছিনতাই করা হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জামালপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব আবিদ সৌরভ জানান, বিজয় ও রুমন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের অনেক অবদান রয়েছে। প্রতিপক্ষরা তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলা করেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।

মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন এ বিষয়ে জানান, শুনেছি দুইজন আসামি সমন্বয়ক, তবে তারা সমন্বয়ক কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

আসমাউল আসিফ/সুমন/

গোপালগঞ্জে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪০ এএম
গোপালগঞ্জে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন
গোপালগঞ্জে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর চতুর্দশ দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে শোভাযাত্রা। ছবি: খবরের কাগজ

নাজমুল ইসলামকে সভাপতি ও আনিচুর রহমান রাজুকে সাধারণ সম্পাদক করে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের ৪১ সদস্যের জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনে সম্মেলনের মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি আগামী দুই বছর নেতৃত্ব দেবে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট হরেন্দ্রনাথ মণ্ডল সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।

পরে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তনের হল রুমে জেলা উদীচীর সভাপতি নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় উদীচীর সহসভাপতি অধ্যাপক আবদুল মোতালিব, সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, সদস্য মৌমিতা জান্নাত, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান রাজু বক্তব্য রাখেন।

এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা উদীচীর সহসভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, প্রসূন মণ্ডল, উদীচীর কোটালীপড়া, কাশিয়ানী ও রঘুনাথপুর শাখার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে শেখ ফজলুল হক মনি স্মৃতি মিলনায়তন থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি জেলা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় গিয়ে শেষ হয়।

রাজশাহীতে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, চাঁদা দাবি

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২১ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২২ এএম
রাজশাহীতে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, চাঁদা দাবি
রাজশাহী

রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত এক সৈনিক জাল দলিল তৈরি করে অন্যের জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তিনি দাপট দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদাও দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালতে এবং থানায় মামলাও হয়েছে।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি নগরীর শিরোইল কলোনি এলাকার বাসিন্দা। সাইফুল ‘অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ঐক্যজোট’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। 

জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম ১৯২৭ সালের একটি ‘জাল দলিল’ দেখিয়ে নগরীর দড়িখরবোনা এলাকায় কিছু জমি নিজের পৈতৃক সম্পত্তি বলে দাবি করেন। সেই জাল দলিলে লেখা আছে, ‘মাত্র ১০০ টাকায় ৩৮ শতাংশ জমি জসিম উদ্দিন শেখ (সাইফুলের দাদা) কিনেছেন।’ অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯২৭ সালে এই দলিল নম্বরে সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এ আর এন তানজিমুল হক জিতু বলেন, ‘সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম নগরীর দড়িখরবোনা এলাকায় আমার শ্বশুরের বসতভিটা জোর করে দখলে নিতে আসেন। তার দাবি করা বসতভিটার পাশের একটি জমিতে আমি ডেভেলপার হিসেবে কাজ করছি। সেই জমির মালিকও আমার শ্বশুর আব্দুল মমিন ও তার ভাই মবিন বাবুর।

কয়েক দিন আগে অতর্কিতভাবে কিছু লোকজনকে নিয়ে এসে আমার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। সেই টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় সাইফুল ইসলাম আমার নির্মাণাধীন ভবনের কাজও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে ওই প্রজেক্টের প্রকৌশলী প্রতিবাদ করলে তাকে ধাক্কা দেন এবং নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে যন্ত্রপাতি কেড়ে নেন। এ সময় চাঁদা দাবি করায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই ব্যক্তিকে গণধোলাই দেয়।’

দড়িখরবোনা এলাকার আরেক ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘গত ৯ জানুয়ারি সাইফুল ইসলাম কোনো কারণ ছাড়াই আমার বাড়িতে এসে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে আমাদের অকথ্য গালিগালাজ করে ও আমার ছেলেকে মারধর করে। পরে এ ব্যাপারে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ করেছি।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পৈতৃক সম্পত্তির জন্য আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কোনো চাঁদাও দাবি করিনি। আমি অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী ঐক্যজোটের প্রতিষ্ঠাতা এবং বর্তমানে সংগঠনটির রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক। অথচ হত্যার উদ্দেশে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।’

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানার ওসি মেহেদি মাসুদ বলেন, ‘সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’