ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

গোপালগঞ্জে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪২ পিএম
গোপালগঞ্জে পৃথক ঘটনায় শিশুসহ নিহত ৩
ছবি : গোপালগঞ্জ

গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু হুসাইন মোল্লা (৫), বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. আবুল হোসেন (৬৫) ও ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোহেল সিকদার (১৯) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এসব ঘটনা ঘটে। 

শিশু হুসাইন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের শরীফপাড়ার জুয়েল মোল্লার ছেলে, আবুল হোসেনের বাড়ি মাঝিগাতী ইউনিয়নের বাবরগাতী গ্রামে ও সোহেল টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার গিমাডাঙ্গা ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির সাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের শরীফপাড়ায় এলাকায় বাড়ির পাশের রাস্তা পার হচ্ছিল শিশু হুসাইন। এ সময় ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় মারাত্মক আহত হয়। পরে তাকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে, রাতে মাঝিগাতী ইউনিয়নের বাবরগাতী গ্রামের মো. আবুল হোসেন নিজ বাড়িতে বাল্ব লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারাত্মক আহত হন। পরে তাকেও হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, তাদের পরিবারের আবদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জানান, উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা পূর্বপাড়া বিএডিসি সেচ প্রকল্পের বৈদ্যুতিক পিলারের ট্রান্সমিটার চুরি করিতে গিয়ে সোহেল ঘটনাস্থলেই মারা যান। রাতে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

বাদল সাহা/জোবাইদা/অমিয়/

টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৩ আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৯ পিএম
টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ৩ আসামি গ্রেপ্তার
নিহত গোলাম রব্বানী টিপু
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সী গালের সামনের রাস্তায় রাতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
 
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. রহমত উল্লাহ।
 
তিনি জানান, গ্রেপ্তার তিনজন সিলেট ও মৌলভীবাজারে আত্মগোপনে ছিল। সেখান থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। এব্যাপারে আগামীকাল বুধবার বিস্তারিত জানানো হবে।
 
এর আগে গত শুক্রবার হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
গত বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন হোটেল সী গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু। পরদিন শুক্রবার নিহতের ভগ্নিপতি ইউনুছ আলী শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
 
গত বৃহস্পতিবার সকালে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন গোলাম রব্বানী টিপুসহ তিনজন। হোটেলের অভ্যর্থনা কক্ষের একটি সিসি ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে এক নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বেরিয়ে যান। এরপর রাত ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের পাশের হোটেল সী গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু।
 
মুহিববুল্লাহ মুহিব/মাহফুজ
 

রেললাইনে নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
রেললাইনে নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ
ছবি: খবরের কাগজ

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় রেললাইন থেকে অজ্ঞাত (২৭) এক নারীর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের কিসমত রেলস্টেশনের রেলঘন্টি নামক এলাকায় রেললাইনে ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৫০ গজ দূরে একটি পতিত জমিতে রক্ত ও পায়জামাসহ একটি দেশীয় অস্ত্র (ছুরি) উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নাটক সাজাতে রেললাইনের ওপর ফেলে রাখা হয় মরদেহটি।

স্থানীয়রা বলছে, সকালে রেললাইনের পাশে মরদেহটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ ও আলামত উদ্ধারের চেষ্টা করে।

আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি রেললাইন থেকে তুলে পাশে রাখা হয়। একই সময় শরীরের বিভিন্ন অংশ আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাতে ওই এলাকায় কিছু লোকজন এই নারীকে দেখতে পায়। তবে এখন পর্যন্ত তার পরিচয় শনাক্ত হয় নি।

এদিকে এ ঘটনাকে চাঞ্চল্যকর বলছেন ঠাকুরগাঁও সিআইডির ইনচার্জ দেবাশীষ শাহ্। অধিকতর তদন্তে রংপুর থেকে টিম আসছে বলে জানান তিনি।

পঞ্চগড়ের সহকারী পুলিশ সুপার রুনা লায়লা বলেন, রেললাইনের মাঝখানর মরদেহটি পাওয়া যায়। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে মরদেহটি লাইন থেকে পাশে নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০ গজ দূরে পতিত একটি জমিতে রক্ত ও পায়জামাসহ একটি ছুরি পাওয়া গেছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে রেললাইনের উপর ফেলে দেওয়া হয় মরদেহটি। মরদেহের পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনার কারণ বের করতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

মো. রনি মিয়াজী/মাহফুজ 

 

ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট গ্রেপ্তার
ঘুষ লেনদেনের সময় দুদকের হাতে আটক অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট মো. ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ লেনদেনের সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট মো. ফারুক আহমেদকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুদকের একটি বিশেষ টিম তাকে আটক করে।

মেহজাবিন সরকার নামে এক ভুক্তভোগী গ্রাহক পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেন। অফিসে তার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ফারুক আহমেদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। প্রথম কিস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় দুদক তাকে গ্রেপ্তার করে।

মেহজাবিন সরকার বলেন, ‘টাকা না দিলে কাজ হবে না, এমন হুমকি দেন ফারুক আহমেদ। বাধ্য হয়ে আমি বিষয়টি দুদককে জানাই।’

ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান চালাই। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দুদকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলাম। এবার তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই এই অভিযান চলমান থাকুক।’

আরেক ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি সেবা নিতে এসে ঘুষ দিতে হবে, এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। দুদকের অভিযান আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’

এর আগে ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এবারই প্রথম সরাসরি অভিযানের মাধ্যমে প্রমাণ মিলেছে।

দুদক জানিয়েছে, পাসপোর্ট অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কার্যকলাপও তদন্ত করা হচ্ছে।

নবীন হাসান/মাহফুজ

 

ময়মনসিংহে মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
ময়মনসিংহে মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
কোতোয়ালি মডেল থানা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ নগরীর থানাঘাট এলাকার হজরত শাহ সুফী সৈয়দ কালু শাহের (রহ) মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে দশটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ আদেশ জারি করা হয়।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থানাঘাট থেকে ট্রাফিক অফিস পর্যন্ত মঙ্গলবার একাধিক পক্ষ একই স্থানে এবং একই সময়ে সভা-সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশ ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মাজারের পক্ষে ও বিপক্ষে একই সময়ে দুই পক্ষের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

এর আগে ৮ জানুয়ারি রাতে দিকে নগরীর থানাঘাট এলাকায় অবস্থিত ওই মাজারের ১৭৯তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শ্যামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান করছিল ভক্তরা। এ সময় তিন থেকে চারটি ইসলামি গান শেষ হতেই পাশে অবস্থিত বড় মসজিদের মাদ্রাসা থেকে কয়েকশ' ছাত্র এসে হামলা চালায়। এ সময় ডেকোরেটরের চেয়ার, সামিয়ানা ও সাউন্ডসিস্টেমসহ সবকিছু ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এরপর রাত তিনটার দিকে একই এলাকায় অবস্থিত ওই মাজারে ছাত্ররা আবারও হামলা চালিয়ে মাজার ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় মাজারের আলমারিতে থাকা মালামাল, সিন্দুক ও দান বাক্স ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাজারটির অর্থ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এক হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সুফিবাদ ঐক্য পরিষদ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মানববন্ধনের আয়োজন করে। 

ভাঙচুর করা মাজারের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করলে উত্তেজনা শুরু হয়।

কামরুজ্জামান/নাবিল/এমএ/

জামাইদের আপ্যায়নে বক-বুনোহাঁস, ২ ব্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
জামাইদের আপ্যায়নে বক-বুনোহাঁস, ২ ব্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ
বক পাখি হাতে আল-আমিন ও বুনোহাঁস হাতে তুলি। ছবি: সংগৃহীত

বক ও বুনোহাঁস ধরে তা জবাই করে রোস্ট করে জামাইদের আপ্যায়ন করার পরিকল্পনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আল-আমিন ও তুলি নামে দুই ব্লগারকে খুঁজছে রাজশাহী বন বিভাগ। এর আগে, সম্প্রতি আল-আমিন ও তুলি নামে দুইজন ব্লগার এসব পাখির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। আল-আমিনের ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বাসার স্পেশাল গেস্টকে (জামাই) তার হাতে থাকা পাঁচটি পরিযায়ী বক পাখি রোস্ট করে খাওয়ানোর কথা বলছেন। আবার, তুলির ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, তার বাবা রাতে বিল থেকে বুনোহাঁস পাখিটি ধরে নিয়ে এসেছেন।

এই ভিডিওতে প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়া উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে স্মারকলিপি দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)। ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়। এরপর থেকেই তাদের খোঁজে নেমেছে বন বিভাগ।

ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্রচারনা দিচ্ছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে দুই ব্লগার আল-আমিন ও তুলির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করা, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা ও নগরজুড়ে পাখির বিচরণ কেন্দ্র ও আবাসস্থলকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে সেখানে আলোদূষণ ও শব্দদূষণ রোধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপির অনুলিপি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককেও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আল-আমিন ও তুলি নামে ওই দুই ব্লগারের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রি করলে বা পরিবহন করলে, তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে আমরা দুটি ভিডিও পেয়েছি। শুধু ভিডিও আছে তাদের নাম বা ঠিকানা নেই। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। ওই ব্লগারদের সন্ধানে নেমেছি। তাদের সন্ধান পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ