ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

পাবনায় বিএনপির কম্বল বিতরণ

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ এএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
পাবনায় বিএনপির কম্বল বিতরণ
পাবনার পানির ট্যাংক এলাকার পুকুর পাড়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

পাবনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ছয় শতাধিক দরিদ্র-অসহায় শীতার্তের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে পাবনার পানির ট্যাংক এলাকার পুকুরপাড়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পাবনা জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. আহমেদ মোস্তফা নোমান এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। 

শীতবস্ত্রগুলো পৌর এলাকার ৪, ৫, ও ৬ নং ওয়ার্ডের ছয় শতাধিক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়।

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ডা. মোস্তফা নোমান বলেন, অসহায় ও হতদরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে শুধু বিএনপি নয়, সমাজের বিত্তশালীদেরও শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তা হলেই মানবিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক সেলিম আহমেদ, পৌর কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির ইসলাম ছোট, জেলা কৃষক দলের সদস্য আমিনুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর শরিফুজ্জামান মুন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি কাজী বনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, সহ-সাংগঠনিক নাদিম হায়দার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মীর রকিবুল ইসলাম কমল প্রমুখ।

পার্থ/পপি/

ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান, অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট গ্রেপ্তার
ঘুষ লেনদেনের সময় দুদকের হাতে আটক অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট মো. ফারুক আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ লেনদেনের সময় অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাকাউন্টেন্ট মো. ফারুক আহমেদকে হাতেনাতে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের বাজারপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুদকের একটি বিশেষ টিম তাকে আটক করে।

মেহজাবিন সরকার নামে এক ভুক্তভোগী গ্রাহক পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেন। অফিসে তার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ফারুক আহমেদ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। প্রথম কিস্তি হিসেবে ২০ হাজার টাকা নেওয়ার সময় দুদক তাকে গ্রেপ্তার করে।

মেহজাবিন সরকার বলেন, ‘টাকা না দিলে কাজ হবে না, এমন হুমকি দেন ফারুক আহমেদ। বাধ্য হয়ে আমি বিষয়টি দুদককে জানাই।’

ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক বলেন, ‘ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান চালাই। ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা তদন্ত করা হচ্ছে।’

ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকে দীর্ঘদিন ধরে চলা দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় দুদকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলাম। এবার তা প্রমাণিত হয়েছে। আমরা চাই এই অভিযান চলমান থাকুক।’

আরেক ভুক্তভোগী জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সরকারি সেবা নিতে এসে ঘুষ দিতে হবে, এটাই যেন নিয়ম হয়ে গেছে। দুদকের অভিযান আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে।’

এর আগে ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসের কিছু কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেও এবারই প্রথম সরাসরি অভিযানের মাধ্যমে প্রমাণ মিলেছে।

দুদক জানিয়েছে, পাসপোর্ট অফিসের অন্যান্য কর্মচারীদের কার্যকলাপও তদন্ত করা হচ্ছে।

নবীন হাসান/মাহফুজ

 

ময়মনসিংহে মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
ময়মনসিংহে মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি
কোতোয়ালি মডেল থানা। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহ নগরীর থানাঘাট এলাকার হজরত শাহ সুফী সৈয়দ কালু শাহের (রহ) মাজার ও আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল পৌনে দশটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত এ আদেশ জারি করা হয়।

জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থানাঘাট থেকে ট্রাফিক অফিস পর্যন্ত মঙ্গলবার একাধিক পক্ষ একই স্থানে এবং একই সময়ে সভা-সমাবেশ ডেকেছে। সমাবেশ ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এর ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা আছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মাজারের পক্ষে ও বিপক্ষে একই সময়ে দুই পক্ষের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

এর আগে ৮ জানুয়ারি রাতে দিকে নগরীর থানাঘাট এলাকায় অবস্থিত ওই মাজারের ১৭৯তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষ্যে মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শ্যামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান করছিল ভক্তরা। এ সময় তিন থেকে চারটি ইসলামি গান শেষ হতেই পাশে অবস্থিত বড় মসজিদের মাদ্রাসা থেকে কয়েকশ' ছাত্র এসে হামলা চালায়। এ সময় ডেকোরেটরের চেয়ার, সামিয়ানা ও সাউন্ডসিস্টেমসহ সবকিছু ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এরপর রাত তিনটার দিকে একই এলাকায় অবস্থিত ওই মাজারে ছাত্ররা আবারও হামলা চালিয়ে মাজার ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এ সময় মাজারের আলমারিতে থাকা মালামাল, সিন্দুক ও দান বাক্স ভাঙচুর করা হয়।

এ ঘটনায় ৯ জানুয়ারি রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় মাজারটির অর্থ সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এক হাজার ৫০০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন।

এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সুফিবাদ ঐক্য পরিষদ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় মানববন্ধনের আয়োজন করে। 

ভাঙচুর করা মাজারের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করলে উত্তেজনা শুরু হয়।

কামরুজ্জামান/নাবিল/এমএ/

জামাইদের আপ্যায়নে বক-বুনোহাঁস, ২ ব্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
জামাইদের আপ্যায়নে বক-বুনোহাঁস, ২ ব্লগারকে খুঁজছে বন বিভাগ
বক পাখি হাতে আল-আমিন ও বুনোহাঁস হাতে তুলি। ছবি: সংগৃহীত

বক ও বুনোহাঁস ধরে তা জবাই করে রোস্ট করে জামাইদের আপ্যায়ন করার পরিকল্পনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আল-আমিন ও তুলি নামে দুই ব্লগারকে খুঁজছে রাজশাহী বন বিভাগ। এর আগে, সম্প্রতি আল-আমিন ও তুলি নামে দুইজন ব্লগার এসব পাখির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে। আল-আমিনের ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি বাসার স্পেশাল গেস্টকে (জামাই) তার হাতে থাকা পাঁচটি পরিযায়ী বক পাখি রোস্ট করে খাওয়ানোর কথা বলছেন। আবার, তুলির ৫৪ সেকেন্ডের ভিডিওতে বলতে শোনা যায়, তার বাবা রাতে বিল থেকে বুনোহাঁস পাখিটি ধরে নিয়ে এসেছেন।

এই ভিডিওতে প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরা ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়া উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারকে স্মারকলিপি দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল চেঞ্জ (ইয়্যাস)। ইয়্যাসের সভাপতি শামীউল আলীম ও সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিতে আল-আমিন ও তুলির শাস্তি দাবি করা হয়। এরপর থেকেই তাদের খোঁজে নেমেছে বন বিভাগ।

ইয়্যাসের ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়, আল-আমিন ও তুলি প্রকাশ্যে পরিযায়ী পাখি ধরার ও জবাই করে রোস্ট করে খাওয়ার প্রচারনা দিচ্ছেন, যা বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে দুই ব্লগার আল-আমিন ও তুলির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করা, পাখি বা পরিযায়ী পাখি শিকারিদের আইনের আওতায় আনা ও নগরজুড়ে পাখির বিচরণ কেন্দ্র ও আবাসস্থলকে সংরক্ষিত ঘোষণা করে সেখানে আলোদূষণ ও শব্দদূষণ রোধ করারও দাবি জানানো হয়েছে।

স্মারকলিপির অনুলিপি বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককেও দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আল-আমিন ও তুলি নামে ওই দুই ব্লগারের সঙ্গে মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, আইন অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি উল্লিখিত কোনো পাখি বা পরিযায়ী পাখির ট্রফি বা অসম্পূর্ণ ট্রফি, মাংস দেহের অংশ সংগ্রহ করলে, দখলে রাখলে বা ক্রয় বা বিক্রি করলে বা পরিবহন করলে, তিনি অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবে এবং এ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে সর্বোচ্চ এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। তবে আমরা দুটি ভিডিও পেয়েছি। শুধু ভিডিও আছে তাদের নাম বা ঠিকানা নেই। আমরা অনুসন্ধান চালাচ্ছি। ওই ব্লগারদের সন্ধানে নেমেছি। তাদের সন্ধান পেলেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

ধামরাইয়ে পৌষ মেলা শুরু

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
ধামরাইয়ে পৌষ মেলা শুরু
ধামরাইয়ে পৌষ মেলার আয়োজন। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকার ধামরাইয়ে ১৬ ইউনিয়নে ১৫-১৬টি গ্রামে পৌষ মেলা শুরু হয়েছে। একে সাকরাইন মেলা বা পৌষ সংক্রান্তি মেলাও বলা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একে বুড়া-বুড়ির মেলাও বলে থাকেন।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর থেকেই এই মেলা বসে। একে সাকরাইন উৎসব বলা হয়।

এ সব মেলায় সাধারণত ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি, মিষ্টি বিক্রি করার সাথে সাথে মুড়ি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বেলুন, বাশি, নারীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সহ আকর্ষণীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার আইঙ্গন, কাকরান, দেপাশাই, কালামপুর, শ্রীরামপুর, বাসনা, বালিয়া, পৌরসভার যাত্রাবাড়ি মাঠ, হাজীপুর, সীতিপাল্লি, সানোড়া, বাড়িগাঁও, গোপালপুর, বারবারিয়া, রোয়াইল সহ বিভিন্ন জায়গায় এই মেলা বসে।

তবে কোথাও সকালে আবার কোথাও বিকেলে এই  অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোথাও কোথাও তিন দিনব্যাপী হয়ে থাকে এই মেলা।

কিন্তু শ্রীরামপুর মাঠে এই মেলা প্রায় মাসব্যাপী চলে। তবে এই দিনে হিন্দুদের পূজাও পালন করা হয়।

বাঙালি সংস্কৃতিতে পৌষ মাসের এই শেষ দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মেলায় আসেন। মেলায় কুটিরশিল্পের সরঞ্জামসিহ নানা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে থাকেন দোকানিরা।

মুসলমানরাও বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র বা খাদ্যসামগ্রীর দোকান দিয়ে থাকেন।

এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো।

রুহুল/নাবিল/

নীলফামারীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজতির মৃত্যু

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
নীলফামারীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাজতির মৃত্যু
ছবি : খবরের কাগজ

নীলফামারী জেলা কারাগারে মমিনুর ইসলাম (৫০) নামে এক হাজতির রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নীলফামারী কারাগারের সুপার রফিকুল ইসলাম। 

মমিনুর নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ ইউনিয়নের পূর্ব শিমুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। 

গত ডিসেম্বর মাসে একটি রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। 

কারাগার সূত্রে জানা যায়, মমিনুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ জানুয়ারি চিকিৎসার জন্য নীলফামারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে ছিলেন। ৮ জানুয়ারি অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জেল সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর ৪টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 

ওয়ালি সুমন/জোবাইদা/