সিলেটের বিশ্বনাথে লিলু মিয়া হত্যার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার নওধারা গ্রামের বাসিন্দা আফজল আলী (২৬) ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধোপাখালী গ্রামের বাসিন্দা মাহাবুবুর রহমান (২২)।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিবিআই জানায়, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ৮ ডিসেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আমবাড়ি বাজার থেকে মাহাবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগী আফজলকে বিশ্বনাথের বৈরাগীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) মাহাবুবুর রহমানকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রামদা ও মাহাবুবুরের ফেলে আসা জুতা জব্দ করে পিবিআই।পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
দুজনকে আদালতে প্রেরণ করা হলে মাহাবুবুর রহমান সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবনন্দি দেন। তবে এ সময় হত্যার কারণ তিনি জানাতে পারেন নি। তিনি জানান- খুন করার জন্য তাকে ভাড়া করা হয়েছিলো। ফলে তিনি হত্যার কারণ বলতে পারছেন না।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মাহাবুবুর ভাড়াটে খুনি হওয়ায় হত্যার কারণ বলতে পারেন নি। তবে তার কাছ থেকে জড়িত অন্যদের নাম ও আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। বাকিদের ধরতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছ পিবিআই। তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার নওধারপাড়ার লিলু মিয়া (৪৮) গত ১৪ আগস্ট গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওত পেতে থাকা কয়েকজন হামলা করে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।
এ ঘটনায় লিলু মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআইকে।
শাকিলা ববি/নাবিল/এমএ/