পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে বান্দরবানে বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। সেখানকার নীলাচল, মেঘলা, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আসছেন পর্যটকরা। ব্যস্তময় জীবনে একটু প্রশান্তি পেতে তারা ছুটছেন পাহাড়ে। কেউ এসেছেন বিশেষ দিন উদযাপন করতে, কেউ প্রকৃতি দেখতে, কেউ বা পরিবার-পরিজন নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতে।
প্রতিদিনই আসছেন শত শত পর্যটক। পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, শীতের মৌসুম শুরু হতেই পর্যটন ব্যবসা আগের চেয়ে অনেকটা চাঙা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার ছোট-বড় রিসোর্টগুলো পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে বান্দরবানে ঘুরতে আসা অমিত রায় দম্পতি বলেন, ‘বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক সুন্দর। এটা বাংলাদেশের ভূস্বর্গ। জেলা শহর থেকে দূরের উপজেলাগুলোতে যেতে পারলে আরও ভালো লাগত। ভ্রমণ বিধিনিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পর্যটকদের ওপর প্রভাব ফেলেছে।’
ঘুরতে আসা আরেক পর্যটক রিফাত বলেন, ‘২০১৫ সালে একবার বান্দরবান এসেছিলাম। আবারও প্রকৃতির প্রেমে ছুটে এলাম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধতা আবার উপভোগ করতে এলাম। সরকারের প্রতি অনুরোধ, যত দ্রুত সম্ভব অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সমাধান করা হোক।’
ফেনী থেকে আসা আশরাফুল হক বলেন, ‘পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে আমরা মুগ্ধ। ছোট ছোট ঘরগুলো আমাদের মুগ্ধ করেছে। পাহাড়ি ঢালের মধ্য দিয়ে রাস্তাগুলো এঁকেবেঁকে যাচ্ছে। বাংলাদেশটা যে কত সুন্দর, এখানে না এলে কাউকে বোঝানো যাবে না।’ রংপুর থেকে সপরিবারে নীলাচলে আসা মোমেন ইসলাম বলেন, ‘নীলাচল দেখতে অনেক সুন্দর। এখান থেকে পাহাড় আর ছোট ছোট ঘর দেখা যাচ্ছে। এখানে এসে মানসিক তৃপ্তি পেয়েছি।’
বান্দরবান হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন বলেন, ‘বছরের শীতের এই সময়টাতে মূলত বিভিন্ন জেলা থেকে পর্যটকদের আনাগোনা বেশি থাকে। তাই পর্যটন ব্যবসায় এখন চাঙা হতে চলছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, ‘পর্যটকরা যেন সুন্দরভাবে ঘুরতে পারেন, নিরাপদে সময় কাটাতে পারেন, সেজন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’