ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

শীতে কাঁপছে ‘রেশম নগরী’

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ এএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
শীতে কাঁপছে ‘রেশম নগরী’
রাজশাহী শহর। ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীতে চার দিন ধরে অধিকাংশ সময় দেখা মিলছে না সূর্যের। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে জেঁকে বসেছে শীত।

এ ছাড়া শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় হাত-পা জমে যাওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, শুক্রবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই এবারের শীত মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ২২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গতকাল তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেছে। এর ফলে উত্তরের এই জেলায় শীত আরও বেড়ে গেছে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, ‘তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়। সেই অনুযায়ী গতকাল থেকে রাজশাহীতে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এটি কত দিন থাকবে, তা বলা যাচ্ছে না।’

মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরুর পর ভোর থেকে কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ জেলা। এর সঙ্গে বয়ে চলেছে উত্তরের কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পথে-প্রান্তরে থাকা ছিন্নমূল মানুষগুলো। সূর্যের মুখ খুব একটা দেখা না যাওয়ায় রোদের উত্তাপ না পেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন শীতার্ত মানুষগুলো।

দিনভর কুয়াশা ঢাকা প্রকৃতি পেরিয়ে সন্ধ্যা নামতেই আবারও অসহনীয় হয়ে উঠছে শীতের দাপট। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে এখন শীতের কাঁপুনি বেশি অনুভূত হচ্ছে। গ্রামের মানুষের জন্য এই শীতের তীব্রতা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। হিমেল বাতাস আর তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তর জনপদের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

এদিকে শীত এলেও জেলায় সরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হয়নি। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সালাহ উদ্দীন আল ওয়াদুদ বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো শীতবস্ত্র বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে জেলার সবখানেই তা বিতরণ করা হবে।’

অন্যদিকে হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। শীত যতই বাড়ছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (রামেক) জরুরি বিভাগে রোগীর সংখ্যা ততই বাড়ছে। এতে শিশু ও বয়স্ক মানুষই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. শংকর কে বিশ্বাস জানান, হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। বর্তমানে নবজাতক শিশুরা বেশি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বয়সের শিশু ও বয়স্করাও শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সেবা নিতে আসছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশির ভাগই কোল্ড ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দি, কাশি ও হৃদরোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন।

এদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। এতে শহরের রাস্তাঘাটেও মানুষের চলাচল কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। ভোরে সূর্য উঠতে দেরি হওয়ায় কুয়াশার ভেতর খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচতে দেখা গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এমনকি শীতবস্ত্র নিয়ে এখনো সেভাবে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে না কাউকে।

 অন্যদিকে রাজশাহীর মাঠজুড়ে এখন চলছে রবিশস্যের আবাদ। সরিষা, টমেটো, শিম, লাউ, শালগম, বাঁধাকপি, আলু থেকে শুরু করে একাধিক রবি ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অনেক ফসল ঘরে তোলার সময়ও হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ ধরে টানা কুয়াশায় অনেক ফসলেই বেড়েছে রোগ-বালাইয়ের আক্রমণ। কুয়াশা দীর্ঘস্থায়ী হলে রবিশস্যের ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

কৃষি তথ্য সূত্র জানায়, কুয়াশার কারণে ধানের চারা হলদে হয়ে যেতে পারে। সরিষায় বিভিন্ন পোকামাকড়ের আক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আলুর পাতায় মড়ক লাগার আশঙ্কা আছে। সাধারণত এ সময় আমগাছে মুকুল আসে। তাই ভালো ফলন পেতে বাড়তি যত্ন নিতে হবে। এসব বিষয়ে সমাধান পেতে কৃষি অফিসে যোগাযোগ করে সমাধান নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ের আক্রমণসহ নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। এভাবে বেশি দিন ঘন কুয়াশা থাকলে রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
আওয়ামী লীগ নেতা হত্যার প্রতিবাদে অবরোধ করছেন স্থানীয়রা। ইনসেটে নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল। ছবি: খবরের কাগজ

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ধাপেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল (৩২) ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের মান্নান মণ্ডলের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মামুন মণ্ডলের লাশ নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুন ধাপেরহাট বন্দরের জামদানি এলাকায় যান। বিকেল ৫টার দিকে হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কোপাতে থাকে। তখন তার চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তখন চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। বিক্ষুব্ধ জনতা সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

ধাপেরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম নিহতের দলীয় পরিচয় নিশ্চিত করেন।

তবে নিহতের বাবা মান্নান মণ্ডল জানান, গত কয়েক বছর ধরে মামুন দলীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন না। তার ছেলে ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রফিক খন্দকার/নাইমুর/

চট্টগ্রামে সিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩০

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
চট্টগ্রামে সিএমপির অভিযানে গ্রেপ্তার ৩০
গ্রেপ্তারদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীতে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে সিএমপি।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কোতোয়ালী থানা থেকে মো. জোবায়ের খান প্রকাশ জুরাত (২৭), হাজী সেলিমুল ইসলাম (৭০), মো. জসিম উদ্দিন (২৯), মো. জুয়েল প্রকাশ মামা জুয়েল (২৫), মো. রুবেল প্রকাশ চাকমা রুবেল (৩৪), বাকলিয়া থানার আসামি হাসনাত জামান বাবু (৪২), মো. ইফতার হোসেন আলভি (২০), মো. হৃদয় (৯৯), চান্দাগাঁও থানার আসামি মো. সাইফুল ইসলাম (৫৬), মো. রমজান আলী (৫৫), মো. নুর (৪৮), মো. ইমরান হোসেন (৩২), বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি এসএম ইউসূফ লিটন (৪৮), মো. এনাম (৩৫), মো. আব্দুল জলিল রিফাত (২৫), সদরঘাট থানার আসামি রিয়াদ হোসেন (২১), পাঁচলাইশ থানার আসামি শহিদুল ইসলাম সাজ্জাদ (২৭), মো. মঞ্জুর আলম (৪০), হালিশহর থানার আসামি মো. নাজিম উদ্দিন (৪২), পাহাড়তলী থানার আসামি মো. ফয়সাল আক্তার চৌধুরী, আকবরশাহ থানার আসামি মো. শওকত মামুন (৫২), পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি মো. সোলাইমান (৩০), ডবলমুরিং মডেল থানার আসামি সেকান্দর মিয়া (৫০), মো. আজিম উদ্দিন (২৩), মো. সৌরভ চৌধুরী (২৮), খুলশী থানার আসামি মো. ফারুক (২৯), মো. আবুল কালাম (৫৮), ইপিজেড থানার আসামি মো. আল আমিন (১৯), কর্ণফুলী থানার আসামি নাছির উদ্দিন নাহিদ (৪০) ও চকবাজার থানার আসামি মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন (৩৪)। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপরোক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন, সন্ত্রাসী বিরোধী আইন ও পেনাল কোড আইনে এক বা একাধিক মামলা রয়েছে।

মাহফুজ/

চট্টগ্রামে শুরু রিহ্যাব মেলা, ভবনে খোলা জায়গা রাখার পরামর্শ মেয়রের

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৭ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
চট্টগ্রামে শুরু রিহ্যাব মেলা, ভবনে খোলা জায়গা রাখার পরামর্শ মেয়রের
চট্টগ্রামে আবাসন মেলার উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রাম মহানগরে নির্মাণাধীন প্রত্যেক ভবনে একটি খোলা স্পেস রাখার অনুরোধ জানিয়েছিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। চট্টগ্রামে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ১৬তম আবাসন মেলার উদ্বোধনকালে এ অনুরোধ জানান তিনি।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নগরীর পাঁচ তারকা হোটেল রেডিসন ব্লু-তে মেলা শুরু হয় যা চলবে রবিবার পর্যন্ত। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে গ্রীন, ক্লিন ও হেলথি সিটি হিসেবে রুপান্তর করতে চাই। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা সড়কে ময়লা ফেলব না, পরিবেশ সুন্দর রাখব। নিয়ম মেনে ভবন তৈরী করব। ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের অনেক মার্কেট পুরাতন হওয়ায় ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে। নতুন মার্কেট তৈরি করব। 

শিশুদের বিনোদনের কথা উল্লেখ্য করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চসিকের ৪১টি ওয়ার্ডে খেলার মাঠ তৈরী করব শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য। ইতোমধ্যে ৭টি ওয়ার্ডে প্রকল্প চালু করা হয়েছে। 

রিহ্যাব সদস্যদের উদ্যেশ করে তিনি বলেন, আপনারা দেশে-বিদেশে বিভিন্ন স্থানে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। প্রত্যেক ভবনের একটি ফ্লোরে বিনোদনের ব্যবস্থা রাখুন। একটি ফ্লেট খালি রাখুন খেলাধূলার জন্য। 

জানা গেছে, এবারের মেলায় ৪২টি স্টল থাকছে। এর মধ্যে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ও অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে।

চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান হাজি দেলোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্যে জানান, ২০০১ সালে ঢাকায় রিহ্যাব হাউজিং ফেয়ার শুরু হয়। এর পর ২০০৪ সাল থেকে বিদেশেও এ ফেয়ার আয়োজন করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, ইতালি, কানাডা, সিডনি ও কাতারসহ বিভিন্ন দেশে সফলভাবে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এবং বিদেশে গৃহায়ণ শিল্পের বাজার সৃষ্টি ও প্রসারে রিহ্যাব কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসী ক্রেতারা তাদের পছন্দের আবাসন খুঁজে পাচ্ছেন, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সহায়তা করছে। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি এবং লিংকেজ শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে।

ফেয়ার আয়োজন ও স্টল রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০২৫-এ গোল্ড স্পন্সর হিসেবে রয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড এবং উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড। এ ছাড়া ১৪টি কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানসহ ১৬টি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি অংশ নিচ্ছে।

কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- এরিয়েল প্রপার্টিজ লিমিটেড, সিএ প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, এপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড, স্যানমার প্রপার্টিজ লিমিটেড, কনকর্ড রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, র‍্যানকন এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড, আশিয়ান ল্যান্ডস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, ফিনলে প্রপার্টিজ লিমিটেড, মুনতাসির লিভিং লিমিটেড, জুমাইরাহ হোল্ডিং লিমিটেড, ইক্যুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, শাইন ম্যাট্রিক্স বিল্ডার্স লিমিটেড (এসএমবিএল), সিটি হোম প্রপার্টিজ লিমিটেড এবং সিকিউর প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট ওয়াহিদুজ্জামানে সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আমিরুল ইসলাম, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোরশেদুল হাসান এবং সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দিন আহমদ ও মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান।

প্রথম দিন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা উদ্বোধনীর পর বেলা ২টা থেকে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন। বাকি দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একটি সিঙ্গেল এন্ট্রি, অপরটি মাল্টিপল এন্ট্রি। সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটের প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা। মাল্টিপল টিকিট দিয়ে মেলার সময় দর্শনার্থীরা চারবার প্রবেশ করতে পারবেন। আগত দর্শকদের জন্য লটারির মাধ্যমে প্রতিদিন থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।

মাহফুজ

শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফুটানোর ওপর সিএমপির নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
শবে বরাতে আতশবাজি-পটকা ফুটানোর ওপর সিএমপির নিষেধাজ্ঞা

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আতশবাজি ও পটকা ফুটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, শবে বরাতের দিনে শিশু-কিশোরসহ অনেকেই আতশবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের পটকা ফুটিয়ে উল্লাস করে। পটকা ফোটানোর ফলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে ইবাদত বন্দেগিতে বিঘ্ন ঘটে ও শবে বরাতের ভাবগাম্ভীর্য ক্ষুন্ন করে এবং জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আতশবাজি ও পটকা ফোটানো বন্ধ হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ অবস্থায় আগামীকাল ১৪ ফেব্রুয়ারি রাতে পবিত্র শবে বরাত অনুষ্ঠান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১৫ ফেব্রয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত নগরীতে সকল প্রকার আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, তৈরি, বিক্রয়, মজুদ ও বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যথায়, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজ

সা’দ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৫ পিএম
সা’দ অনুসারীদের বিশ্ব ইজতেমা শুরু শুক্রবার
ইজতেমা ময়দানে জড়ো হচ্ছেন মুসল্লিরা। ছবি: খবরের কাগজ

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমা। এ ধাপে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা সা’দ কান্ধলভীর অনুসারীরা। বুধবার রাত থেকে দেশ-বিদেশি মুসল্লীরা ইজতেমায় আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ইজতেমা মাঠে বেড়েছে মুসল্লিদের সমাগম। আগামী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

সিলেট থেকে আগম খোকন মুন্সি (৫৫) বলেন, গত পাঁচ বছর যাবৎ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে আসছি। এবারই আমাদের (সা'দ অনুসারীদের) কয়েকটি তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারিখ ভিন্ন ভিন্ন নির্ধারণ করাতে আমাদের সাথীদের টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে আসার জন্য অনেক বিভ্রান্তি হয়েছে। অনেক সমস্যার পরও ময়দানে ঠিকঠাক মতো আসতে পারায় অনেক খুশি তিনি। 

ইজতেমার সার্বিক বিষয়ে মাওলানা সা'দ অনুসারীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম জানান, বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম ইজতেমা চলাকালীন আমরা শবেবরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবেবরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন, বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, কাল থেকে শুরু হচ্ছে সা’দপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমা। আগের মতোই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা রয়েছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান। কোনো দুষ্কৃতিকারী যদি ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়, তাদেরকে ধরিয়ে দেবেন। 

কমিশনার আরও বলেন, সা’দপন্থীদের এবারের ইজতেমায় ৭ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীও মোতায়েন রয়েছে। ১৬টি ওয়াচ টাওয়ার, ৩৩৬টি সিসি ক্যামেরা, সার্ভিল্যান্স টিম, রুপটফ, ৩৫টি বাইনোকুলার, ২০টি চেকপোস্ট ও ৩৫টি মোবাইল টিম কাজ করছে। হকার উচ্ছেদের জন্য পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করছে।

মাওলানা সা'দ অনুসারীদের শীর্ষ মুরব্বি ড. রেজাউল করিম জানান, সুন্দরভাবে ইজতেমা করতে দেওয়ায় সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি বলেন, আপাতত কোনো শর্ত নিয়ে ভাবছি না। সুষ্ঠুভাবে ইজতেমা সম্পন্ন করতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে ৩১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে ইজতেমা পালন করেন শুরায়ে নেজাম বা মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীরা। তৃতীয় ধাপে ১৪–১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা পালন করবেন মাওলানা সা’দের অনুসারীরা।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ