ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

খুলনায় স্বাস্থ্যসেবায় কমিশন বাণিজ্যের সিন্ডিকেট

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৫ এএম
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ এএম
খুলনায় স্বাস্থ্যসেবায় কমিশন বাণিজ্যের সিন্ডিকেট
খুলনা নগরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় অনুমোদনহীন সুন্দরবন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। ছবি: খবরের কাগজ

অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে এসেছেন কৃষক সেকেন্দার মিয়া। রোগীর মুখে অসুখের বিবরণ শুনে কোনো ওষুধ না দিয়েই শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে পাঠানো হয় বেসরকারি প্যাথলজিতে। বলা হয়, এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা পপুলার অথবা সন্ধানী ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে হবে।

যশোরের অভয়নগর থেকে আসা দরিদ্র ওই কৃষক হাসপাতালের সামনের একটি ক্লিনিক থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে পরীক্ষা করালেও চিকিৎসক সেই রিপোর্ট দেখতে আপত্তি জানান। নির্দিষ্ট করে নাম বলে দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর যেকোনো একটি থেকে তাকে আবারও নতুন করে পরীক্ষা করে আনতে বলা হয়। এতে অসহায় পরিবারটি বিপাকে পড়েন। একইভাবে খুলনার তেরখাদা থেকে আসা রোগী রনজিতা সাহাকে উপশম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও রূপসা থেকে আসা ইদ্রিস সানাকে সিটি ইমেজিং সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বলা হয়।

জানা গেছে, কিছু চিকিৎসক নির্দিষ্ট ওই সব প্যাথলজি-ক্লিনিকের সঙ্গে কমিশন বাণিজ্যে জড়িয়েছেন। ফলে সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজি সুবিধা থাকলেও রোগীদের নির্দিষ্ট ক্লিনিকগুলোতে পাঠানো হয়। এভাবে খোলামেলা কমিশন বাণিজ্যের কারণে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে ভোগান্তিতে পড়েন ভুক্তভোগীরা।

অন্যদিকে মনিটরিংয়ের অভাবে সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে বহির্বিভাগে রোগীর ভিড় বাড়লেও দায়িত্বরত চিকিৎসকরা আসেন দুপুর ১২টার পর। তাদের অধিকাংশই প্রেসক্রিপশনে কোনো ধরনের ওষুধ লেখা ছাড়াই নির্দিষ্ট ক্লিনিকের নাম উল্লেখ করে রোগীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি প্যাথলজিতে পাঠিয়ে দেন। দুপুরের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই রিপোর্ট পেতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। আর দুপুরের পর ওই চিকিৎসক চেম্বারেও থাকেন না। ফলে ওই রিপোর্ট দেখাতে খুলনায় থাকতে হয় রোগী ও তার স্বজনদের। এতে তাদের বাড়তি অর্থ ব্যয় হয়।

জানা গেছে, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কেন্দ্র করে এর আশপাশে গড়ে উঠেছে শতাধিক বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই দালালদের মাধ্যমে রোগীদের প্রলোভন দেখিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানে চলছে টেস্ট বাণিজ্য।

সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে কমিশন পাচ্ছে দালাল চক্র। এর মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন প্যাথলজি বিভাগ, ডিপ্লোমাধারী প্যাথলজিস্ট নেই। ফলে তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিয়েও প্রশ্ন আছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, খুলনা নগরীতে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ২৫০টি। মাঝে মধ্যে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে হাসপাতাল-ক্লিনিকে অভিযান চালানো হলেও তা বন্ধ হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের পাশাপাশি আউটসোর্সিং হিসেবে হাসপাতালে ওয়ার্ড বয়, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, নিরাপত্তা প্রহরী ও মালি পদে কর্মরত কর্মচারীরাও রোগের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কমিশন সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনা জেলা শাখার সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, সরকারি ভবন, স্থাপনা, যন্ত্রপাতি ও লোকবল ব্যবহার করে বেসরকারি ক্লিনিকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্য চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার জেলা সভাপতি ডা. বাহারুল আলম জানান, যারা কমিশন বাণিজ্যে জড়িত তারা অবশ্যই অন্যায় করছেন। তবে সরকারি হাসপাতালে প্যাথলজির সুযোগ বাড়াতে হবে। সেখানে জনবল, টেকনোলজিস্টের ঘাটতি আছে। সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজির সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হলে অনিয়ম বন্ধ হবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাসিমের বিরুদ্ধে সস্ত্রীক দুদকের মামলা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৭ পিএম
আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি নাসিমের বিরুদ্ধে সস্ত্রীক দুদকের মামলা
ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু। ছবি: সংগৃহীত

ফেনী-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম (৬৪) এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর (৪৯) বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বুধবার (১৯ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলা দুটি দায়ের করেন।

এতে সাবেক এমপি আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্জনের তথ্য পায় সংস্থাটি।

অভিযুক্ত আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার গুথুমা গ্রামের সালেহ উদ্দিন আহমদের ছেলে। তিনি সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার এক সময়ের প্রোটোকল কর্মকর্তা ছিলেন এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজু একই গ্রামের মো. আবু তাহের চৌধুরীরর মেয়ে। তিনি ঢাকা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।

দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস মামলার বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি দায়ের করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরীতে যোগদান করেন। তিনি ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম-সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পরে ২০২৪ সালে ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়  মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট, দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি আট লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেন।

এ ছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে আট কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ার, তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসেবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ সাত হাজার ৪৯১ টাকা।

অপরদিকে তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

ইকবাল হোসেন মজনু/মাহফুজ

 

হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৩ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। ছবি: খবরের কাগজ

ভোকেশনাল ও পলিটেকনিক থেকে পাশ করা প্রকৌশলীদের একই গ্রেডে অন্তর্ভুক্তির হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
 
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কাজির বাজার এলাকায় অবস্থান নেন তারা। এ সময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ৪ বছর ডিপ্লোমা করার পর চাকরিতে দশম গ্রেড পান। অথচ ভোকেশনাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে এসে তারা দশম গ্রেডে চাকরি পাবে, এটা যৌক্তিক না। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরি প্রাপ্তি সংকুচিত হবে। তারা অবিলম্বে হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় ক্লাস, পরীক্ষা বর্জনসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

শাকিলা ববি/মাহফুজ

রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৩ পিএম
রাজবাড়ী‌তে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার
পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক

রাজবাড়ীর কালুখালী‌ উপ‌জেলার এক মাদ্রাসা শিক্ষককে ছাত্রদের বলাৎকা‌রের চেষ্টার অ‌ভি‌যোগে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে পা‌ঠি‌য়ে‌ছে পু‌লিশ। 

গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষ‌কের নাম আব্দুল্লাহ আল মামু‌ন। তিন‌ি কালুখালী উপ‌জেলার হরিণবাড়িয়া কামিয়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি খুলনা পাইকগাছার সোনাতন কাঠি এলাকার বাসিন্দা।
 
একা‌ধিক ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অ‌ভি‌যো‌গে র‌য়ে‌ছে শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩)‌ বিরু‌দ্ধে।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকা‌লে কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান এ তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রে জানান, তাকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়েছে।

এর আগে বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নের বিরু‌দ্ধে থানায় এক ছা‌ত্রের মা মামলা ক‌রেন।

মামলা সুত্রে জানা‌ গে‌ছে, দীর্ঘ ক‌য়েক বছর ধ‌রে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার ছাত্রদের কৌশলে বলৎকার করার চেষ্টা ক‌রে আস‌ছি‌ল। কিন্তু ছাত্ররা যা‌তে বিষয়‌টি কাউ‌কে না ব‌লে সেজন‌্য নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তেন অভিযুক্ত শিক্ষক। প‌রে বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে স্থানীয়রা তাকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রা‌তে আটক ক‌রে কালুখালী থানা পু‌লিশ‌কে খবর দি‌য়ে তা‌দের হা‌তে সোপর্দ ক‌রে।

কালুখালী থানার ও‌সি মুহাম্মদ জা‌হেদুর রহমান জানান, বিষয়‌টি জানাজা‌নি হ‌লে মঙ্গলবার রা‌তে স্থানীয়রা মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আটক ক‌রে পু‌লি‌শকে খবর দেয়। বুধবার দুপু‌রে মাদ্রাসার এক ছা‌ত্রের মা থানায় মামলা ক‌রে‌ছে। প‌রে গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল মামু‌নকে আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ও‌সি জানান, গ্রেপ্তার মাদ্রাসার শিক্ষক দীর্ঘদিন ধ‌রেই বেশ ক‌য়েকজন ছাত্রকে বলাৎকা‌রের চেষ্টা ক‌রে আস‌ছিল। আর বিষয়‌টি যেন কাউ‌কে না ব‌লে এজন‌্য ছাত্রদের নানাভা‌বে ভয় দেখা‌তো। এরকম অ‌ভি‌যোগ তিন অ‌ভিবাবক ক‌রে‌ছে।

সুমন বিশ্বাস/মাহফুজ

 

লংগদুতে ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:২৭ পিএম
লংগদুতে ৪ সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টা, গ্রেপ্তার ১
প্রতীকী ছবি

রাঙ্গামাটির লংগদুতে রাতের আঁধারে চার সন্তানের জননীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মো. সোহাগ (৩৮) নামের এক মোটরসাইকেল চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোহাগ লংগদু উপজেলার গুলশাখালী ইউনিয়নের মুর্শিদাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ঘটনা ঘটলেও বুধবার (১৯ মার্চ) তা জানাজানি হয়। লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- এ ব্যাপারে লংগদু থানায় মামলা হয়েছে। আসামি সোহাগকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাইয়ের বাসা থেকে ফেরার পথে বখাটে সোহাগ পিছন থেকে ওই নারীকে মুখ চেপে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে ধানের জমিতে শুইয়ে ফেলেন। এসময় ওই নারী হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে কল দেওয়ার চেষ্টা করলে সোহাগ মোবাইল কেড়ে নিয়ে মাটির গর্তে ঢুকিয়ে দেন। পরে ওড়না কেড়ে নিয়ে তার মুখ বাঁধার চেষ্টা করলে ওই নারী চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে।

নির্যাতিতার স্বামী জানান, ঘটনার সময় তিনি বাজারে ছিলেন। খবর পেয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন তার স্ত্রীর অবস্থা খারাপ। সারাদিন রোজা রেখেছে। এ ঘটনায় সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। পরে তাকে স্থানীয় ফার্মেসিতে নিলে তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য লংগদু সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভিকটিম ও তার পরিবারের দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে লংগদু থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিকে বুধবার গ্রেপ্তার করে রাঙ্গামাটির আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জিয়াউর রহমান জুয়েল/মাহফুজ 

 

রাজশাহীতে ট্রলির নিচে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
রাজশাহীতে ট্রলির নিচে পড়ে বৃদ্ধার মৃত্যু
ছবি: খবরের কাগজ

রাজশাহীর পবায় ইটবাহী ট্রলির নিচে পড়ে মেম জান (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে পবার বায়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মেম জানের স্বামীর নাম মফিজ উদ্দিন। তিনি বায়া বটতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়ক পারাপার হওয়ার সময় ইটের ট্রলির নিচে পড়ে আহত হন মেম জান। পরে আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজশাহীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন জানান, মেম জানকে ধাক্কা দেওয়া ট্রলিটি তারা শনাক্ত করতে পারেননি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মেম জানের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এনায়েত করিম/মাহফুজ