ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

মুন্সীগঞ্জে নৌ-যান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পিএম
মুন্সীগঞ্জে নৌ-যান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
জাহাজের ৭ শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার এবং নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে মুন্সীগঞ্জের নৌ-যান শ্রমিকরা। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁদপুরের মাঝেরচরে জাহাজের ৭ শ্রমিক হত্যার রহস্য উদঘাটন, হত্যার বিচার এবং নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াসহ নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করেছে মুন্সীগঞ্জের নৌ-যান শ্রমিকরা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি শুরু হয়। 

মুন্সীগঞ্জে লঞ্চঘাটের কাছে ধলেশ্বরী নদীতে অবস্থান নিয়ে সব পণ্যবাহী জাহাজ শ্রমিকরা এই কর্মবিরতি পালন করছে।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নৌ-যান ও শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ শিকদার। 

বাংলাদেশ নৌ-যান ও শ্রমিক ইউনিয়ন মুন্সীগঞ্জ জেলা সভাপতি মো. তাইজুল ইসলাম বাদশার সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাহাজী ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুরে আলম হাওলাদার, যুগ্ম-সম্পাদক অলিউর রহমান এবং চট্রগ্রাম জাহাজী শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. সেলিমসহ আরও অনেকে।

এ সময় বক্তারা ৭ শ্রমিক খুনের বিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে নৌ-দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের সু-চিকিৎসা, নৌ-পথে শ্রমিক হত্যা, ডাকাতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী বন্ধের দাবী জানান। 

আগামী দুই দিনের মধ্যে ৭ খুনের রহস্য উদঘাটন, নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং সব শ্রমিকদের গেজেট অনুযায়ী বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধের কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে একযোগে লঞ্চ, বাল্কহেড ও লাইটার জাহাজসহ সব ধরনের যাত্রী ও পণ্যবাহী নৌ-যান বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারী দেন।

সাদিয়া নাহার/

বরগুনায় বাস চাপায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২ এএম
বরগুনায় বাস চাপায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত
নিহত দ্বীপ কর্মকার। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা থেকে বরগুনাগামী একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে দ্বীপ কর্মকার নামে (১৫) বরগুনার এক মোটরসাইকেল আরোহী স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলের দিকে সুবধখালীর ঝাটিবুনিয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দ্বীপ বরগুনা পৌর শহরের বাজার সড়কের স্বর্ন ব্যবসায়ী সুনীল কর্মকারের ছেলে। দ্বীপ স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলো।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার পর গ্রীণ ভিউ নামের ওই বাসটিকে নিয়ে চালক দ্রুত বরগুনা চলে আসে এবং পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় স্থানীয়দের মাধ্যমে দ্বীপকে উদ্ধার করে বরগুনা হাসপাতালে আনা হয়।  

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলু হাসান বলেন, ঘটনাস্থল বাকেরগঞ্জের মধ্যে পাড়ায় তাই আইনি ব্যবস্থা বাকেরগঞ্জ থানা নিবে।

অপু/মেহেদী/ 

খবরের কাগজের প্রতিবেদনের পর ১৩ মাস পর যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৬ এএম
১৩ মাস পর যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ
জামালপুরের যমুনা সার কারখানা। ছবি: খবরের কাগজ

গ্যাস সংকটের কারণে দীর্ঘ ১৩ মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় গ্যাস সরবরাহ পাওয়ায় আবার উৎপাদন শুরু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ ইউরিয়া সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জামালপুরের যমুনা সার কারখানায়।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফায়ারিংয়ের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদনে ফেরে কারখানাটি। ওই দিন দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন। এদিকে, এক বছরেরও বেশি সময় পর কারখানা চালু হওয়ায় কারখানা সংশ্লিষ্টসহ স্থানীয়দের মাঝে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। 

গত ২ ফেব্রুয়ারি খবরের কাগজে ‘গ্যাস সংকটে বন্ধ যমুনা সার কারখানা’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সার কারখানা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, সার ডিলার ও স্থানীয়দের মধ্যে কারখানা চালুর দাবি তীব্র হয়ে ওঠে। তখন বিষয়টি সরকারের নজরে আসে। 

কারখানা সূত্রে জানা গেছে, যমুনা সার কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন সার উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের চাপের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সংকটের কারণে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ দিতে না পারায় ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেয়। 

সেদিন থেকেই সার উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে করে বেকার হয়ে পড়েন কারখানা সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের মালিক, চালক, কর্মচারী, কারখানার আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল, রেস্টুরেন্টের মালিকরা। 

কারখানা বন্ধ থাকাকালে দেশের বাইরে থেকে আমদানি করে ও দেশের অভ্যন্তরের অন্য সার কারখানায় উৎপাদিত ইউরিয়া সার ডিলারদের মাধ্যমে সরবরাহ করা হতো। তবে কৃষকদের মাঝে এসব সারের চাহিদা কম থাকায় ডিলাররা পড়েন বিপাকে। গত এক বছরে কারখানাটি চালুর দাবিতে বেশ কয়েক দফা বিক্ষোভ ও আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন কারখানা সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়রা। 

দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন সার উৎপাদনের সক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে কারখানাটি যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৯০০ ডিলারের মাধ্যমে জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, উত্তরাঞ্চলের কমান্ড এরিয়াসহ ২১টি জেলার ১৬২ উপজেলায় কৃষকদের কাছে কারখানাটি সার সরবরাহ করে আসছিল। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে গ্যাসের চাপের স্বল্পতা এবং কারখানার বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটির কারণে সার উৎপাদন নেমে আসে দৈনিক ১ হাজার ২০০ টনে। 

যমুনা সার কারখানার শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় এ এলাকার সর্বস্তরের মানুষ খুশি হয়েছে। আমরাও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়ায় সার আমদানি নির্ভরতা থেকে সরে দেশীয় শিল্পকে সচল রাখলে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে। 

যমুনা সার কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন জানান, গ্যাস সংকটের কারণে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে কারখানায় ইউরিয়া সার উৎপাদন বন্ধ ছিল। গত বৃহস্পতিবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। গত শুক্রবার বেলা ১১টায় কারখানার সার উৎপাদন প্লান্টের চুল্লিতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়, যাকে ‘ফায়ারিং’ বলে। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সার উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ৪২ থেকে ৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। সার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় কোনো যান্ত্রিক বা কারিগরি ত্রুটি দেখা না দিলে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ থাকলে পুরোদমে সার উৎপাদন শুরু হতে আগামী ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগবে।

যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম এত দীর্ঘসময় ধরে বৃহৎ এই কারখানাটি বন্ধ ছিল। সর্বশেষ কারখানাটি ২০২৩ সালে একটানা ৭২ দিন বন্ধ থাকার পর ওই বছরের ১৭ নভেম্বর চালু হয়েছিল। কিন্তু উৎপাদনে থাকা অবস্থায় ৬০ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি গ্যাস সংকটে কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। 

নদীবক্ষে ভিন্নরকম পাঠচক্র

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৭ এএম
নদীবক্ষে ভিন্নরকম পাঠচক্র
যশোরের ঝিকরগাছার কাটাখালের কপোতাক্ষ নদের মাঝে গত শুক্রবার নৌকায় ভিন্নধর্মী এক পাঠচক্রের আয়োজন করা হয়। ছবি: খবরের কাগজ

বিভিন্ন পাখির কিচিরমিচির ডাক শোনা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে পানকৌড়ির ডানা ঝাপটানো ছুটে চলা। কানে বাজছে কপোতাক্ষ নদের কলকল জলরাশির মৃদু শব্দ। সঙ্গে রয়েছে নদের দুই পাশের সবুজ প্রকৃতির স্নিগ্ধময় আবেশ।

এমনই এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় কথাসাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ উপন্যাস নিয়ে পাঠচক্র।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পড়ন্ত দুপুরে যশোরের ঝিকরগাছার কাটাখালের কপোতাক্ষ নদের মাঝে নৌকায় ভিন্নধর্মী এ পাঠচক্রের আয়োজন করে ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ নামে সাহিত্য চর্চা সংগঠন।

পাঠচক্রে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ‘কবি’ বইটির পাঠ চলাকালে সদস্যদের মধ্যে উপন্যাসের তিনটি চরিত্র নিতাই, ঠাকুরঝি ও বসন্তের ভালোবাসা নিয়ে নানা মত প্রকাশ পায়। বইয়ের চরিত্রকেন্দ্রিক যুক্তি-আশ্রয়ী রোমান্টিক আলোচনায় উপভোগ্যময় হয়ে ওঠে পাঠচক্র। এ ধরনের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট বইয়ের বিষয়বস্তু জানা ও পাঠে আনন্দের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় পাঠচক্র। পাঠ-প্রতিক্রিয়া পর্বে অংশগ্রহণ করেন অভিজিৎ কুমার তরফদার, খাদিজা একরাম এষা, সোনিয়া আফরিন, অপু দেবনাথ, জান্নাতুল ফেরদৌস ইলা, হামিদা হিমু, আনিকা প্রমুখ। প্রতিবেশ অধ্যয়ন সঞ্চালনা করেন মুরাদ হোসেন। 

সালেহা সুলতানা ঊষার কণ্ঠে সংগীত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। আর শেষ হয় ৫ মিনিটের মেডিটেশন দিয়ে। আলোচনার মাঝে মাঝে রুবাই পাঠ করেন কবি মামুন আজাদ। কবিতা শোনান মনিরা খাতুন এবং লোকোজ গান পরিবেশন করেন স্থানীয় বাউলশিল্পী সোহরাব হোসেন।

‘কবি’ উপন্যাস নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন যশোর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোফাজ্জেল হোসেন ও পাঠচক্রের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শাহ্জাহান কবীর।

আলোচনার একপর্যায়ে ‘কবি’ উপন্যাসকেন্দ্রিক রম্য বিতর্কে অংশগ্রহণ করেন পাঠচক্র সদস্যরা। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘বসন্ত নয়, ঠাকুরঝিই ছিল নিতাইয়ের প্রকৃত ভালোবাসা’। পক্ষ দলে অংশগ্রহণ করেন মুরাদ হোসেন, সায়মা আক্তার তৌফা, অভিজিৎ তরফদার ও সোনিয়া আফরিন এবং বিপক্ষ দলে অপু দেবনাথ, সালেহা সুলতানা ঊষা, খাদিজা একরাম এশা ও জান্নাতুল ফেরদৌস ইলা। 

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কবি মামুন আজাদ, সাংবাদিক সালমান হাসান রাজীব ও সংগঠনের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও কবি সুমন রেজা। বিতর্কে পক্ষ দল বিজয়ী হন এবং শ্রেষ্ঠ বক্তা হন অভিজিৎ তরফদার।

ভিন্নতর আয়োজন নিয়ে সংগঠনের সভাপতি শাহ্জাহান কবীর বলেন, ‘পাঠচক্রের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে নতুনত্ব আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর মধ্যে অনন্য আয়োজন হচ্ছে ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’। বইয়ের বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে আবহ সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠচক্র করার নামই ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’। সাধারণত ১০টি সাপ্তাহিক পাঠচক্র সম্পন্ন করার পর ‘প্রতিবেশ অধ্যয়ন’র আয়োজন করে সংগঠনটি।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঠচক্রে বই আলোচনার পাশাপাশি থাকে গান, কবিতা আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠসহ নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উপস্থিত সবাই পাঠচক্রে পূর্বনির্ধারিত বইয়ের ওপর পাঠ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার সুযোগ পান। কোনো কোনো বইয়ের জন্য প্রধান আলোচকও রাখা হয়। বইটির ওপর বিশদ আলোচনার পাশাপাশি প্রধান আলোচক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।’

শাহজাহান কবীর বলেন, ‘সপ্তাহে একটি বই পড়ি’ বই পড়ার একটি নিত্য আন্দোলনের নাম। উন্নত, কল্যাণকর, নান্দনিক ও উদার চিন্তা-চেতনাসমৃদ্ধ মানুষের সমাজ বিনির্মাণে বই পাঠের বিকল্প নেই। মানবিক ও নান্দনিক মানুষের সমাজ গঠনে কাজ করছি আমরা।’

ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৮ পিএম
ফরিদপুরে কুকুরের মাংস বিক্রির অভিযোগ
অভিযুুক্ত সুুজন। ছবি: খবরের কাগজ

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রি অভিযোগ উঠেছে। 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বুড়াইচ ইউনিয়নের হেলেঞ্চা গ্রামে সুজন (২৩) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে কুকুর জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

গত শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা দুইটার দিকে তাকে হেলেঞ্চা বাজারের পাশে ঘাসখেতে বসে কুকুরের মাংস কাটতে দেখতে পায় স্থানীয়রা। 

অভিযুক্ত সুজন হেলেঞ্চা গ্রামের পূর্বপাড়া আবু বক্কর শেখের ছেলে।

ওই এলাকায় গিয়ে জানা গেছে, সুজন এর আগেও কুকুর জবাই করে অন্য এলাকায় মাংস বিক্রি করেছে। তিনি একজন মাদকাসক্ত ও মাদক বিক্রিতা। বিগত সরকারের আমলে পুলিশের সোর্স হয়ে বহু নিরীহ যুবকদের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নগদ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে।

এলাকায় মোবাইল, টিউবওয়েলের মাথা, ছাগল, বাড়িঘরের আসবাবপত্র চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল এমন অভিযোগও তুলছে স্থানীয়রা।

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী লাভলু মিয়া বলেন, মুরগির নাড়ি-ভূড়ি নিয়মিত কয়েকটি কুকুরকে খেতে দেই কিন্তু কয়েকদিন হলো এদের মধ্যে একটি কুকুরকে দেখতে পাইনা। ধারণা করা হচ্ছে সুজন হয়তো ওই কুকুরটি জবাই করেছে।
 
এ বিষয়ে সুজন শেখের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি এবং প্রতিবেশীরা মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার বলেন, 'ঘটনাটি সত্যি' আমি মাঠে গেলে শব্দ শুনতে পাই। খোঁজ করে দূর থেকে দেখতে পাই সুজন ধারালো ছুরি দিয়ে মাংস কাটছে। সে মাদকাসক্ত হওয়ায় হাফিজুর গাজিকে ফোন করে আসতে বলি। সে টের পেয়ে পালিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে কুকুরের মাংস, মাথা, পা দেখতে পাই। পরে তার স্ত্রীকে খবর দিয়ে নাড়ি-ভুড়ি সরাতে বলি।

এ বিষয়ে বুড়াইচ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু বলেন, বিষয়টি শুনেছি। বাজারেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুজন গাঁজা খায়, বাড়ির কাউকে মানে না, কথাও শুনে না। পুলিশ ওকে একবার ধরেছিল। আমাদের সামনে আসে না আর দেখতেই তো মাদকাসক্ত লাগে।

সঞ্জিব/মেহেদী/ 

ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৯ পিএম
ভারতের জনগণ নয়, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান: মাহমুদুর রহমান
সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন ড. মাহমুদুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, একুশে পদক অর্জন আমার একার নয়, দৈনিক আমার দেশের সকল সাংবাদিকের এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা লড়াই করেছিলেন তাদের সকলের। সিলেটের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, সিলেটের মানুষ সবসময়ই আমার দেশ পত্রিকাকে ভালবেসেছেন। সিলেটবাসীর এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিলেট প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, দৈনিক আমার দেশের লড়াই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে। আমাদের ঘাড়ের ওপর যে ফ্যাসিবাদ চেপে বসেছিল এবং ভারতের পুতুল সরকারের ভূমিকা পালন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং এদেশে থাকা তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে। 

তিনি আরও বলেন, ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু ভারত সরকারের আধিপত্যবাদী পলিসির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। ১৯৪৭ সালে এই সিলেটবাসীই গণভোট দিয়ে পাকিস্তানের অংশ হয়েছিল। কাজেই স্বাধীনতার জন্য সিলেটবাসীর ঐতিহাসিক যে ভূমিকা এটি রক্ষা করে যেতে হবে। 

জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে স্মরণ করে তিনি বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হওয়ার পেছনে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। 

সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি খালেদ আহমদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাবেক সহসভাপতি এনামুল হক জুবের, মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, আবদুল কাদের তাপাদার, হুমায়ূন রশিদ চৌধুরী ও এম এ হান্নান, সহসাধারণ সম্পাদক শুয়াইবুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিস রহমান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল রাজ্জাক, সদস্য কামকামুর রাজ্জাক রুনু, জিয়াউস-শামস-শাহীন, চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, মো. ফয়ছল আলম, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, আনাস হাবিব কলিন্স, এম এ মতিন, ফয়সাল আমীন, নাজমুল কবীর পাভেল, সজল ছত্রী, দিগেন সিংহ, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, গোলজার আহমেদ, খালেদ আহমদ, মো. দুলাল হোসেন, মো. মারুফ হাসান, শফিক আহমদ শফি প্রমূখ। 
   
শাকিলা ববি/মাহফুজ