
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে (চসিক) স্বাবলম্বী করতে অতীতে হওয়া বিভিন্ন অনিয়ম দূর করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চসিকের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের গঠিত কমিটির সাথে আয়োজিত বিশেষ সাধারণ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দুর্নীতি কমাতে হবে। এই দুর্নীতির কারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সঠিক রেভিনিউ পাচ্ছে না। আর্থিক সংকটে সেবামূলক কার্যক্রমগুলো চালাতে আমরা খুব বাধাগ্রস্ত হচ্ছি।
মেয়র বলেন, যেসব শপিং কমপ্লেক্সে, মার্কেটে যাদেরকে আমরা ভাড়া দিয়েছি যাদের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তির যেখানে বরখেলাপ হয়েছে। যদি চুক্তিতে থাকে যার নামে দোকান বরাদ্দ তাকে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে কিন্তু সে যদি আরেকজনকে ভাড়া দিয়ে থাকে তাহলে এই ধরনের চুক্তিগুলো নতুন করে অথবা চুক্তিগুলো আমরা বাতিল করতে পারি।
চসিকের বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দিয়ে মেয়র বলেন, যত বিলবোর্ড আছে সমস্ত বিলবোর্ডের চুক্তি বাতিল করে দিন। আমরা অনিয়মের কারণে অসম্ভব বেশি ট্যাক্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যেমন- সেন্ট্রাল প্লাজাতে সাতটা বিলবোর্ড দেয়া হয়েছে। সাতটা বিলবোর্ডে তারা বছরে চার-পাঁচ কোটি টাকা আয় করছে। কিন্তু আমরা পাচ্ছি বছরে মাত্র ২১ লাখ টাকা। আমার মনে হয় এইসব ব্যাপার নিয়ে আমাদেরকে খুব স্ট্রিক্টলি (কঠোরভাবে) আগাতে হবে।
চসিককে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, আমরা প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি ফেরত পেয়ে যাচ্ছি। বন্দর থেকে যে এক শতাংশ হারে মাসুল চেয়েছি সেটা ইতিবাচকভাবে আগাচ্ছে। বন্দর থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন যে হোল্ডিং ট্যাক্স পায় তা বাণিজ্যিক হারে পাওয়ার আশ্বাস পেয়েছি। সম্ভবত সেটা ১৬২ কোটি টাকা বাৎসরিক হবে। এটা নিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানের সাথেও কথা বলেছি। উনিও পজিটিভ আছেন।
সবার সহযোগিতা চেয়ে মেয়র বলেন, আমরা চাচ্ছি যে সিটি করপোরেশনকে একটা আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে। এটা হলে নাগরিকদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আরও বেশি সেবা করতে পারবো আমরা। আমাদের সবাইকে সেজন্য ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, অ্যাকটিভ ও ডায়নামিক হতে হবে।
সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ চসিকের সব বিভাগীয় ও শাখা প্রধান এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নাবিল/এমএ/