
রাজশাহীর বাঘার একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে উভয়পক্ষ স্কুলের বেশ কিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সভাপতি পদের জন্য প্রধান শিক্ষক আজিবুর রহমান বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিতভাবে একটি আবেদন দিয়েছেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রয়াত ইউপি সদস্য আবুল হোসেন ফোনার সন্তান এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক পলাশ আহাম্মেদ (৫০) একটি আবেদন জমা দেন।
এদিকে, বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম এবং সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের প্যানেল থেকে আবেদন জমা দেন প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল (৫০)। এ নিয়ে রবিবার বেলা ১১টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন- তেথুলিয়া গ্রামের জাফর হোসেন (৪০), আড়পাড়া গ্রামের বাবুল হোসেন (৩৮), একই এলাকার রোহান হোসেন (২৩), মানিক হোসেন (৪৫), লিখন হোসেন (২২), হেদাতিপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৩৮), এনামুল হক (৩৬), মাঝপাড়া গ্রামের রানা হোসেন (১৮)।
বাকি দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এদের মধ্যে বিএনপি নেতা মানিক (৪৫) ও রফিকুল ইসলামকে (৩৮) উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সিয়াম হোসেন খবরের কাগজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী প্রভাষক আনোয়ার ও প্রভাষক ওয়ালিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা একে অপরকে দোষারোপ করে কথা বলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিবর বলেন, ‘উভয় প্রার্থীর বাড়ি আড়পাড়া গ্রামে। তারা দুজনই বিএনপির রাজনীতি করেন। সভাপতি পদের জন্য তারা আমার কাছে আবেদন করেছেন। যাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালিত হবে যাচাই-বাছাই করে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হবে- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আমার এমনটি কথা হয়েছিল। কিন্তু আজ সংঘর্ষে দুপক্ষ বিদ্যালয়ের বেশকিছু চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছেন।
এ বিষয়ে বাঘা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আসাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনায়েত করিম/জোবাইদা/পপি/