ঢাকা ৩ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫
English

মায়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা, টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ধস

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
মায়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা, টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ধস
একেবারে শূন্য টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিঘাট। ছবি: খবরের কাগজ

মায়ানমার রাখাইন রাজ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে গত বছর থেকে চলছে তুমুল সংঘর্ষ। চলমান যুদ্ধের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানিতে ধস নেমেছে। গত ৩ ডিসেম্বর সর্বশেষ বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছে।

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে টেকনাফ স্থলবন্দরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টেকনাফ স্থলবন্দর জেটিঘাট একেবারে শূন্য এবং মালামাল নিয়ে বন্দর থেকে দুইটি কাঠের ট্রলার রওনা দিয়েছে মায়ানমারে।

টেকনাফ স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, মায়ানমারের অভ্যন্তরীণ কারণে আমদানি-রপ্তানি কম হলেও সোমবারে বন্দর দিয়ে মায়ানমার মংডু শহরে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার বস্তা সিমেন্ট, ১৪ টন আলু, ১ হাজার ৫৩০ কেজি বিস্কুট, ৫ টন কোমল পানীয়। পাশাপাশি প্লাস্টিক দ্রব্য, তৈরি পোশাক, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি পণ্য মায়ানমারে রপ্তানি হচ্ছে। 

বন্দরের সিএন্ডএফ এর কর্মচারী মো. রুবেল বলেন, ‘বন্দরে মালামাল কম আসছে। পূর্বে আমরা যেভাবে কাজের চাপে থাকতাম কিন্তু এখন কাজ না থাকার কারণে আমরা মানবেতর দিন পার করছি। সরকার এই বিষয়ে পদেক্ষপ নিলে আমরা আগের মতো কাজে ফিরতে পারব। আমাদের কষ্ট কিছুটা কম হবে।’

বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, মায়ানমারের যুদ্ধের কারণে আগের মত ব্যবসা চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় মায়ানমারের ওপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রলার ও জাহাজ আসতে সমস্যা সৃষ্টি না হলে এবং দেশের পরিস্থিতি শান্ত হলে আগের মতো সীমান্ত বাণিজ্য স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে বলে আশা করছি। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট, আলু, বিস্কুট, কোমলপানীয়সহ ভিন্ন মালামাল পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বন্দরের শ্রমিক জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার গ্রুপে শ্রমিক ছিল ৭৫ জন। মায়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে মালামাল কম আসায় আমাদের জীবনযাপন করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। মায়ানমার মংডু শহরে স্বাভাবিক হলেও আকিয়ার জেলায় যুদ্ধের কারণে মালামাল আসছে না। এমন পরিস্থিতি হয়েছে যে বন্দর থেকে বাড়ি যেতে গাড়ি ভাড়া পাচ্ছি না।’ 

টেকনাফ স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা বি.এম. আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ‘মায়ানমারে চলমান যুদ্ধের কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরে আমদানি কমে গেছে। গত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসে আমদানি হয়েছে ৪৭ হাজার টন মালামাল। তার পরিবর্তে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা। পাশাপাশি রপ্তানি হয়েছে ৬৩৬ টন মালামাল। গত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত বন্দরে পণ্য আমদানি হয়েছে ১১ হাজার টন মালামাল। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৮৭ কোটি টাকা। রপ্তানি হয়েছে ৬৯১ টন মালামাল।’

তিনি বলেন, ‘বন্দরে পূর্বে মায়ানমার থেকে জান্তা সরকারে অধীনে যে মালামালগুলো বন্দরে আসত সেগুলো গত ৮ ডিসেম্বর আরাকান আর্মি মায়ানমার মংডু শহর দখলে নেওয়ার পর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ আসতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। পণ্যবাহী জাহাজ গুলো নির্বিঘ্নে আসতে পারছে না আরাকান আর্মির কারণে। সরকার দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যাটি নিরসন হলে চলিত অর্থবছরে পণ্য আমদানি হলে আশা করি রাজস্ব আদায় করা সম্ভব।’

উল্লেখ্য, গত ৮ ডিসেম্বর মায়ানমার মংডু শহরসহ ২৭০ কিলোমিটার এলাকা আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে বলে জানা যায়।

মো. শাহীন/মাহফুজ

 

শেরপুরে সুদের টাকার জন্য গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৯:৫৭ পিএম
শেরপুরে সুদের টাকার জন্য গাছে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল
ছবি: ভিডিও থেকে

শেরপুরের শ্রীবরদীতে টাকা আদায়ের জন্য নূর আমিন (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে ফেসবুকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রবিবার (১৫ জুন) ভুক্তভোগীকে স্থানীয় একটি বাজার থেকে তুলে নিয়ে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার নূর আমিনতিনি উপজেলার খড়িয়াকাজিরচর ইউনিয়নের ভাটিলংগরপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, নূর আমিনকে গাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে আশপাশে কয়েকজন ব্যক্তি ঘিরে আছেন। এ সময় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শোনা যায়। তবে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কোন মারধর বা নির্যাতনের ঘটনা নেই।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় লোকজন জানান, তিন বছর আগে ভাটিলংগরপাড়া গ্রামের আব্দুল জলিল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাসিক ১০ শতাংশ হারে সুদে এক লাখ টাকা ঋণ নেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নূর আমিন। কিছুদিন সুদের টাকা পরিশোধ করলেও পরে অনিয়ম শুরু হয়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়। জলিল পরে আদালতে একটি মামলাও করেন। একপর্যায়ে সুদের টাকা না পেয়ে জলিল ওই ব্যবসায়ীর মোটরসাইকেল জব্দ করে প্রায় এক বছর নিজ বাড়িতে রেখে দেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলেও কোনো প্রতিকার পাননি বলে দাবি নূর আমিনের। পরে রবিবার স্থানীয় একটি বাজার থেকে নূর আমিনকে তুলে এনে তাকে জলিলের বাড়ির আঙিনায় একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।

নূর আমিন বলেন, 'আমাকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে গাছে বেঁধে গরুচোর বলেছে। আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি তার কাছে কিছু টাকা নিয়েছিলাম। কিছু টাকা দিয়েও দিয়েছি। সে জোর করে আমার মোটরসাইকেল আটকে তার বাড়িতে রেখে দিয়েছে। আমি এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেব। আমি এর সঠিক বিচার চাই।'

খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবির বলেন, নূর আমিন ও আব্দুল জলিল একই গ্রামের বাসিন্দা। টাকার জন্য নূর আমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল এটা সত্যি। পরে দুই পক্ষকে বসিয়ে অক্টোবরের মধ্যে টাকা পরিশোধের শর্তে আপস-মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।

অভিযুক্ত আব্দুল জলিল বলেন, 'আমি অনেক দিন ধরেই তার কাছে টাকা পাই। কিন্তু টাকা দেই-দিচ্ছে বলে এখনো দেয়নি। এর পর তার কোন খোঁজও পাইনি। পরে তার খোঁজ পেয়ে ধরে এনেছি। কিন্তু তাকে কোন মারধর করা হয়নি। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে টাকা দেওয়ার শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।'

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার জাহিদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাকিল/মেহেদী/

বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৫৭ শতাংশই শিশু থেকে তরুণ

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু আক্রান্তের ৫৭ শতাংশই শিশু থেকে তরুণ
বরের কাগজ গ্রাফিকস

চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে বরিশাল বিভাগে। এই বিভাগে ছয় জেলায় এ পর্যন্ত যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই শিশু-কিশোর ও তরুণ। যা মোট আক্রান্তের ৫৭ শতাংশ। এর মধ্যে তরুণরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। যা মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশ। 

সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

সরকারি হিসাবে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে রবিবার (১৫ জুন) পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২ হাজার ৬৮৪ জন ভর্তি হয়েছেন। আর এ সময়ে মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২ হাজার ২৮৮ জন। এই বিভাগের মোট আক্রান্ত রোগীর ৬২ দশমিক ৬০ শতাংশই বরগুনা জেলার। বাকী ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ রোগী বিভাগের অন্য ৫ জেলার। সরকারি হিসাবে বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ১ হাজার ৬৮০ জন। মারা যান ৫ জন। 

বরিশাল বিভাগে বয়সভিত্তিক আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী রয়েছেন ২১ থেকে ৩০ বছরের তরুণ-তরুণীরা। এই বয়সের ৬১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা মোট আক্রান্তের ২৩ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ৩১ থেকে ৪০ বছরের যুবকরা। এই বয়সের ৫৫৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। এছাড়া ১১ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত কিশোর-কিশোরীরা আক্রান্ত হয়েছে ৫৫২ জন, যা মোট আক্রান্তের ২১ শতাংশ। ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৪৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা ১৮ শতাংশ। এক বছরের কম বয়স থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ৩৪২ জন আক্রান্ত হয়েছে। যা মোট আক্রান্তের ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া ৬০ থেকে তার চেয়ে বেশি বয়সী ১৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। যা ৪ শতাংশ।  

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, বাচ্চারা দিনের বেলায় বেশির ভাগ সময়ে মশারি ছাড়া ঘুমায়। আর কিশোর ও তরুণরা অবাধে বিভিন্ন স্থানে খেলাধুলা এবং ঘোরাঘুরি করে। ফলে এই বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, তরুণদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি থাকায় মৃত্যুহার কম। তবে শিশু ও বয়স্কদের নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকে যায়।

এদিকে বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ইতিমধ্যে বরগুনাকে ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কি কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি তা এক থাকায় বলা যাচ্ছে না। 

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য সব হাসপাতালকে আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ হাসপাতালে শয্যা, ওষুধপত্র এবং অভিজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। 

 

গাংনীতে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:৩২ পিএম
গাংনীতে গলায় অস্ত্র ঠেকিয়ে শিশুকে ধর্ষণ, অভিযুক্তকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
ছবি: খবরের কাগজ

মেহেরপুরের গাংনীতে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিল আহমেদ নামে একজনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এ ছাড়া অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে উপজেলার চাঁদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটির বাবা গ্রামের মাঠে কাজ করছিলেন। সকাল দশটার দিকে বাড়ি থেকে বাবার জন্য খাবার নিয়ে মাঠে যাওয়ার পথে একই গ্রামের শাকিল শিশুটির গলায় ধারালো হাসুয়া ঠেকিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে না বলতে হুমকি দেন। 
এর পর শিশুটি  বিষয়টি বাবাকে গিয়ে জানালে খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রামের মানুষের মধ্যে। পরে বিকেলে স্থানীয়রা শাকিলকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। একইসঙ্গে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। শিশুটির চিকিৎসা এবং ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর প্রক্রিয়া চলছে।

মেহেদী/

ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:২১ পিএম
ঝিনাইদহে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
সংঘর্ষে আহতরা। ছবি: খবরের কাগজ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নাকোইল বাজারে সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা খবরের কাগজকে জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নাকোইল গ্রামের মহিউদ্দিনের সঙ্গে একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম ওরফে সুরমান মন্ডলের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। রবিবার (১৫ জুন) বিকেলে মহিউদ্দিনের সমর্থক মিঠুর সঙ্গে সুরমান মন্ডলের সমর্থক বিপুলের কথা কাটাকাটি হয়। এরই এক পর্যায়ে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে শৈলকূপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবারও সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শৈলকুপা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সম্রাট খবরের কাগজকে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মারামারিতে কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মাহফুজুর রহমান/মাহফুজ

 

ঈদের ছুটিতে গ্যারেজ থেকে আমদানি করা পণ্য চুরি, গ্রেপ্তার ৪

প্রকাশ: ১৬ জুন ২০২৫, ০৮:১০ পিএম
ঈদের ছুটিতে গ্যারেজ থেকে আমদানি করা পণ্য চুরি, গ্রেপ্তার ৪
ছবি:সংগৃহীত

চট্টগ্রামে গ্যারেজে রাখা পণ্যবাহী গাড়ি থেকে চুরি হওয়া কাপড়ের ৫১টি রোল (গার্মেন্টসের আমদানি পণ্য) উদ্ধার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় জড়িত চোর চক্রের চার সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) বিকালে বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান ট্রাক প্রাইম মুভার পণ্য পরিবহন মালিক এসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের আগে চট্টগ্রাম মহানগরের হালিশহর থানাধীন বড়পুল এলাকায় বশর মিস্ত্রির গ্যারেজের ভেতরে রাখা পণ্যবাহী গাড়ি থেকে আমদানিকৃত কাপড়ের ৫১টি রোল চুরি হয়। ঘটনাটির সঙ্গে ওই গ্যারেজের দারোয়ান মো. হৃদয় জড়িত ছিল। পরে রবিবার (১৫ জুন) রাতে ডিবি (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল হালিশহর ও বন্দর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো. আকবর আলী (২৬), মো. শহিদুল ইসলাম জীবন (২৭), মো. আব্দুল করিম হৃদয় (২৭) ও মো. হাছান (২৬)। 

ডিবি পশ্চিমের পরিদর্শক মো. ইসলাম জানিয়েছেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে কোতোয়ালী থানাধীন টেরিবাজার এলাকার হাজী দুদু মিয়া মার্কেটের তৃতীয় তলায় রায়হান নামের এক ব্যক্তির গুদাম থেকে চুরি হওয়া ৫১টি কাপড়ের রোল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আমদানিকৃত মালামাল পরিবহনের সময় সুযোগ বুঝে পণ্য চুরি করে বিভিন্ন গুদামে মজুদ রেখে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে।

মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করা ২২০ রোল গার্মেন্টসের আমদানি কাপড় গত ৬ জুন সৈকত পরিবহনের মালিকানাধীন কাভার্ডভ্যান (চট্টমেট্রো-ট-১১-৭২৮১) চালক মো. ইউসুফ কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পণ্যগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুরে অবস্থিত লারিজ ফ্যাশন লিমিটেডে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু পবিত্র ঈদুল আজহার বন্ধের কারণে বোঝাইকৃত পণ্যসহ গাড়িটি গত ৬ জুন বিকাল সাড়ে ৪ টায় হালিশহর থানাধীন বড়পুল এলাকার বশর মিস্ত্রির গ্যারেজের দারোয়ান মো. হৃদয়কে দৈনিক ২০০ টাকা পার্কিং চার্জের বিনিময়ে বুঝিয়ে দেন চালক ইউসুফ। গত ৮ জুন গ্যারেজ থেকে বুঝে নেওয়ার সময় গাড়ির পেছনের দরজার কবজা খোলা অবস্থায় দেখতে পান চালক। বিষয়টি সন্দেহ হলে চালক পণ্য গুণে দেখলে ২২০টি রোল গার্মেন্টস পণ্যের মধ্যে ৫১টি রোল কম দেখতে পান। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৩০৬ টাকা। বিষয়টি জানতে পেরে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে চক্রের অবস্থান শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।