ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

খুলনায় সক্রিয় হচ্ছে চরমপন্থিরা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫০ এএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
খুলনায় সক্রিয় হচ্ছে চরমপন্থিরা
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফ

খুলনাসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল একসময় চরমপন্থি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিল। চাঁদাবাজি, খুন, হত্যার হুমকিসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে চরমপন্থিদের সম্পৃক্ততা ছিল। একপর্যায়ে তারাই আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন।

অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে হত্যা-পাল্টা হত্যার ঘটনায় আতঙ্কের জনপদ হয়ে ওঠে খুলনা। তবে বিভিন্ন সময় সরকারের সাধারণ ক্ষমা ও পুলিশ-র‌্যাবের অভিযানে চরমপন্থি কয়েকজন শীর্ষ নেতা গ্রেপ্তার হলে অন্যরা আত্মগোপনে চলে যান। ওই অবস্থাতেও পূর্বশত্রুতার জেরে কয়েকজনকে পাল্টা হত্যার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৯ জানুয়ারি কক্সবাজারে ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার হন খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু। তার হত্যাকাণ্ডের পর চরমপন্থিদের নিয়ে পুরোনো আলোচনা নতুন করে শুরু হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, খুলনার দৌলতপুর, ফুলতলা, ডুমুরিয়া, রূপসা, দিঘলিয়া ও যশোরের অভয়নগর, কেশবপুর এলাকায় ছিল চরমপন্থিদের অবাধ বিচরণ। ১৯৯০ সালের দিকে দৌলতপুর এলাকার গাজী কামরুল ইসলাম বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি গড়ে তোলেন। শুরুর দিকে তার অনুসারী ছিলেন নিহত গোলাম রব্বানী টিপু ও শেখ শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ। দৌলতপুরের আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ছিলেন আকতারুজ্জামান খোকন ওরফে টাইগার খোকন। তার অন্যতম ক্যাডার ছিলেন শাহীন ওরফে বড় শাহীন। 

১৯৯৪ সালে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে খুন হন আকতারুজ্জামান ওরফে টাইগার খোকন। এতে আন্ডারওয়ার্ল্ডে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালে সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলে গাজী কামরুল আত্মসমর্পণ করেন। প্রায় ১৭ বছর কারাভোগের পর ২০১৩ সালে তিনি জামিনে মুক্ত হন।

এদিকে ২০১৫ সালের ৩০ অক্টোবর দৌলতপুরে খুন হন গাজী কামরুলের অনুসারী শেখ শহীদুল ইসলাম ওরফে হুজি শহীদ। ওই হত্যা মামলায় গোলাম রব্বানী টিপুকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় টিপুকে সম্পৃক্ত করার পেছনে গাজী কামরুলের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারলে টিপুর সঙ্গে কামরুলের দূরত্ব তৈরি হয়। হুজি শহীদ হত্যা মামলার আরেক আসামি দিঘলিয়া এলাকার চরমপন্থি নেতা জুলকার নাঈম মুন্না। ২০২২ সালের ৩০ জুন খুলনার মুজগুন্নী এলাকায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একইভাবে ৯ জানুয়ারি ‘টার্গেট কিলিংয়ের’ শিকার হন গোলাম রব্বানী টিপু।

স্থানীয়রা জানান, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কারামুক্ত হন চরমপন্থি নেতা রিফুজি মঈন ও আসলাম ওরফে ট্যারা আসলাম। এ ছাড়া দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর এলাকায় ফিরেছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী টাইগার খোকনের সহযোগী শাহীন ওরফে বড় শাহীন। তাদের সহযোগীরাও এলাকায় ফিরে রীতিমতো ত্ৰাস সৃষ্টি করে।

নিহত টিপুর ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ৫ আগস্টের পর পুরোনো সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরতে শুরু করলে টিপু আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। দীর্ঘদিন তিনি ঢাকা ও কক্সবাজারে আত্মগোপনে থাকেন। এর আগে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়েও পুরোনো চরমপন্থিদের একটি অংশের সঙ্গে গোলাম রব্বানী টিপুর দূরত্ব তৈরি হয়। হত্যাকাণ্ডের পর ওই অংশের দিকেই আঙুল তুলছেন টিপুর পরিবারের সদস্যরা।

টিপুর বাবা গোলাম আকবর বলেন, ‘কক্সবাজারে টিপুর কোনো শত্রু নেই। খুলনার শত্রুরাই কক্সবাজারে গিয়ে টিপুকে হত্যা করেছে।’ তবে ওই সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে তিনি খোলাখুলি কিছু বলতে রাজি হননি।

এদিকে চরমপন্থিদের নতুন করে উত্থানের ঘটনায় জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়াচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর অনেক চরমপন্থি এলাকায় ফিরেছে। কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এসব গোয়েন্দা নজরদারিতে আনতে হবে। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে।’

তবে খবরের কাগজের কাছে নিজেদের সক্রিয়তার তথ্য তুলে ধরেন দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী। বলেন, ‘টিপু হত্যাকাণ্ডের পর তদন্তে বিভিন্ন বিষয় সামনে এসেছে। এসব বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। র‌্যাবের একাধিক টিমও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কাজ করছে। এলাকায় চরমপন্থিদের আনাগোনা নজরদারিতে রাখা হচ্ছে।’

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, কক্সবাজারে টিপুর হত্যার সঙ্গে খুলনার যোগাযোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া চরমপন্থি দলের সদস্যরা নতুন করে সক্রিয় হচ্ছে কি না, তা-ও নজরদারিতে রাখা হয়েছে। কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

একই রাতে বিধবা হলেন বউ-শ্বাশুড়ি

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
একই রাতে বিধবা হলেন বউ-শ্বাশুড়ি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের দাদুয়া গ্রামে একই রাতে বিধবা হলেন বউ-শ্বাশুড়ি। ওই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তথ্যমতে, ওই গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক ছাবেদ আলী (৫৮) দীর্ঘদিন থেকেই নানা রোগে অসুস্থ। ওই অবস্থায় সংসারের হাল ধরেন ছেলে গোলাম রাব্বানী (৩৫)। তিনি সংসারের কৃষিসহ গৃহস্থালী কাজ করার পাশাপাশি রসুনের ব্যবসা করতেন। ওই আয়েই চলতো বাবার চিকিৎসার পাশাপাশি ৫ সদস্যর সংসারের খরচ।

বাবা অসুস্থ হলেও মা গুলেনুর বিবি (৫০), স্ত্রী সালমা বেগম (২৮), মেয়ে রিমি (৭) ও ছেলে সিয়ামকে (৪) নিয়ে রাব্বানীর ছিল সুখের সংসার। কিন্তু সম্প্রতি শারীরিক নানা সমস্যায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে জানা যায়, শরীরে রক্তস্বল্পতার কারণে নানা অসুখে ভুগছিলেন রাব্বানী।

ডাক্তারের পরামর্শে চলছিল তার চিকিৎসা। হঠাৎ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু পথেই মারা যান রাব্বানী। তার মরদেহ রাত ১০ টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি পৌঁছলে বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় অধিবাসী আব্দুস সালাম জানান, রবিবার সকাল ১০টায় বাবা-ছেলের জানাযা নামাজ শেষে দাদুয়া কবরস্থানে পাশাপাশি দাফন করা হয়।

কামাল মৃধা/মাহফুজ

 

তরুণ প্রজন্মের চিন্তা-চেতনাকে বিএনপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
তরুণ প্রজন্মের চিন্তা-চেতনাকে বিএনপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নতুন এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। তাদের চিন্তা চেতনাকে বিএনপি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে (বড় মাঠ) জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

জাতীয় ফুটবলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে স্বপ্ন দেখছি সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন তখনই হবে যখন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। ‘দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব’- আমিনুল হক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সৈয়দ রুম্মান বিন ওয়ালী সাব্বির, পৌর বিএনপির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. কায়েস ও জেলা মহিলা দলের সভাপতি ফোরাতুন নাহার প্রমূখ।

 ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির আয়োজনে জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিনে মাঠে নামে দিনাজপুর জেলা বিএনপি ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপি। আয়োজিত এ ফুটবল টুর্নামেন্টে রংপুর বিভাগের আটটি দল অংশ নেয়।

মাহফুজ/

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তির দায়ে ব্রজেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম
ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তির দায়ে ব্রজেন্দ্রনাথ গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার ব্রজেন্দ্রনাথ রায়। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির দায়ে গাজীপুরে ব্রজেন্দ্রনাথ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা পুলিশ রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বাসন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার রহমান শপিংমলের ৬ষ্ঠ তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার ব্রজেন্দ্রনাথ রায় (৪০) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানার সবদল এলাকার মৃত ভূপেন্দ্রনাথের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা এলাকার ব্লাক লাইফ গার্ডিয়ান নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন।

 গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ জানান, ব্রজেন্দ্রনাথ রায় তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে অডিও ও ভিডিও ক্লিপ থেকে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে আসছিলেন। ব্রজেন্দ্রনাথ রায় তার ফেসবুক পেইজে নিয়মিত মাদ্রাসা এমনকি বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের খতিব সম্পর্কে নিয়মিত লেখালেখি এবং কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রচার করে আসছিলেন। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এসব তথ্য জানায় অভিযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ রায়।

পুলিশকে ব্রজেন্দ্রনাথ আরও জানায়, সে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম ধর্মের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালাতো। তার এমন কর্মের জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপরে সে কখনো কোনোদিন ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কোনো বক্তব্য বা ইসলাম ধর্ম নিয়ে কোনো মন্তব্য করবে না বলে জানিয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পলাশ প্রধান/মাহফুজ

 

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৩ পিএম
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলসহ ১২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিস্ফোরণ, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

আদালতের নির্দেশে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাকলিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। তবে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। 

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা রেকর্ড হয়েছে। মামলায় মোট আসামি ১২৭ জন। পাশাপাশি ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। 

দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরীকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং চসিক মেয়র ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হারুন রশিদ হারুন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহিন আকতার রুজি প্রমূখ।

গত ২৮ জানুয়ারি মধ্যম চাক্তাই এলাকার পিকআপ চালক মো. ইলিয়াছ ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাকলিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে নতুন ব্রিজ এলাকার মীর পেট্রোল পাম্পের সামনে বন্ধুরাসহ জড়ো হন মামলার বাদি মো. ইলিয়াছ। সেদিন দুপুর থেকেই সেখানে অভিযুক্তরা কিরিচ, রামদা, লাঠিসোঁটা, দেশি ও বিদেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেন। এসময় মিছিল নিয়ে আসামিরা আন্দোলন বন্ধে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। 

একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা রিজান হত্যার উদ্দেশে পিকআপ চালক ইলিয়াছের মাথায় কিরিচ দিয়ে কোপ মারে। এসময় তার কব্জির রগ কেটে যায়। একজন সিএনজি অটোরিকশা চালক তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি ৬ থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসা নেন।

মাহফুজ/

টাঙ্গাইলে অটিস্টিক শিশুদের ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১২ পিএম
টাঙ্গাইলে অটিস্টিক শিশুদের ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত
ছবি: খবরের কাগজ

‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে টাঙ্গাইলে অটিজম শিশুদের ক্রীড়া উৎসব-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে টাঙ্গাইল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে উক্ত ক্রীড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শরীফা হকের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।  

জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. আল আমিন কবির, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, টাঙ্গাইল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা আকতার প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম টাঙ্গাইল, হাই কেয়ার (বধির) স্কুল টাঙ্গাইল, প্রয়াস ঘাটাইল এরিয়াসহ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

জুয়েল রানা/মাহফুজ