ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

ফেনীতে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ আটক ২

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪৬ পিএম
ফেনীতে ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার ভারতীয় পণ্যসহ আটক ২
ছবি: খবরের কাগজ

ফেনীর ভারত সীমান্ত এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাচালানী মালামাল জব্দসহ দুজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর পর্যন্ত ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ন এলাকা পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও জোরারগঞ্জ উপজেলার মজুমদারহাট, দেবপুর, চম্পক নগর, অলিনগর বিওপির সীমান্তবর্তী এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জয়নগর গ্রামের মৃত আবু আহম্মদ আকাশের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (২৭) এবং ভোলার চর ফ্যাশন এলাকার নুরাবাদ গ্রামের মো. বসির উদ্দিনের ছেলে মো. রবিউল হাসান (২৬) কে আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, অভিযানে ভারতীয় শাড়ি, লেহেঙ্গা, চিনি, গাঁজা, হুইস্কি, নৌকা ও পিকআপ জব্দ করা হয়। জব্দ করা মালামাল স্থানীয় কাস্টমস্ ও মাদকদ্রব্য নিয়ান্ত্রণ অধিদপ্তরে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এসব মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫০০ টাকা।

ফেনীস্থ-৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে মামলা ও ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কর্মকান্ড ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

নিলয়/মেহেদী

শেরপুরে ১৯৫ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৮ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:৫১ এএম
শেরপুরে ১৯৫ বস্তা ভারতীয় জিরা জব্দ
ছবি : খবরের কাগজ

শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাইপথে আনা ১৯৫ বস্তায় পাঁচ হাজার ৮৩৫ কেজি ভারতীয় জিরা জব্দ করেছে বিজিবি। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিজিবি। এর আগে ভোরে উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশের একটি মাঠ থেকে এসব জিরা জব্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিজিবি জানায়, নাকুগাঁও গ্রামের পাহাড়ি এলাকা দিয়ে চোরাইপথে ভারতীয় জিরা পাচার করা হচ্ছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় হাতিপাগার বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা নাকুগাঁও মাঠে জিরা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিরার বস্তাগুলো জব্দ করে হাতিপাগার ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

এ ছাড়া একই দিন নালিতাবাড়ীসংলগ্ন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সূর্যপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের কচুয়াকুড়া এলাকা থেকে ৮৩৩ কেজি ভারতীয় জিরা এবং একই উপজেলার আইলাতলী ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের বুটিয়াপাড়া এলাকা থেকে ২১ হাজার ৬০০ পিস ভারতীয় জিলেট ব্লেড জব্দ করে।

বিজিবি ৩৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মাদ সানবীর হাসান মজুমদার বলেন, 'ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার আন্তর্জাতিক সীমানা রক্ষায় এবং যেকোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা সদা জাগ্রত থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।'

শাকিল মুরাদ/জোবাইদা/

পটুয়াখালীতে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১১ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৩ এএম
পটুয়াখালীতে শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী
ছবি : খবরের কাগজ

পটুয়াখালীতে আজ শেষ হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জুলাই বিপ্লবের চিত্রপ্রদর্শনী। হৃদয়বিদারক চিত্র দেখে স্তব্ধ সর্বস্তরের মানুষ। তিন দিনে হাজার হাজার মানুষের পদচারণয় মুখরিত ছিল প্রদর্শনীস্থল।

তারুণ্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপনের অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের ঝাউতলা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছিল এই চিত্রপ্রদর্শনী। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বৈরাচার হাসিনাবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামের আলোচিত ছবির পাশাপাশি পটুয়াখালীর আন্দোলন-সংগ্রামের ছবিও স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে। অস্থায়ী প্যান্ডেলে শোভা পাচ্ছে আন্দোলন-সংগ্রামের ছবি।

চিত্রপ্রদর্শনীর ৬২টি ছবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ হাজারও ছাত্র-জনতার ওপর পুলিশী হামলা, ছাত্রলীগের নির্যাতন ফ্যাসিস্ট সরকারের পালিয়ে যাওয়া পরবর্তী উচ্ছ্বাসের ছবি স্থান পেয়েছে। 

এ ছাড়া প্যাভিলিয়নের বাইরে প্রজেক্টরে চলছে জুলাই বিপ্লবের বিভিন্ন ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি। এসব ছবি ভিডিও দেখে অনেকেই আন্দোলন-সংগ্রামের দিনের স্মৃতি তুলে ধরেন।

জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করে কারও স্বার্থে বিভক্ত না হয়ে আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা জানালেন চিত্রপ্রদর্শনীতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।

জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, 'স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় সারা দেশে ইন্টারটে বন্ধ করে গণহত্যা চালানো হয়। এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতেই এ ধরনের আয়োজন।'

হাসিবুর রহমান/জোবাইদা/

ফটিকছড়ি পৌরসভা বেহাল সড়কের কারণে আত্মীয়তায় অনাগ্রহ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
বেহাল সড়কের কারণে আত্মীয়তায় অনাগ্রহ
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার রাস্তার বেহাল দশা। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভার উত্তর ধুরুং ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খালের পূর্ব পাড়ের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রয়েছে। এই রাস্তাটি এলাকার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক ও কর্মজীবী মানুষকে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে চলাচল একেবারেই দুরূহ হয়ে পড়ে। এমনকি সড়কের বেহালের জন্য এই গ্রামের মানুষের সঙ্গে কেউ বিয়ের সূত্রে আত্মীয়তা করতে আগ্রহ দেখান না। ফলে এবার সড়কটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধনের ডাক দেন এলাকাবাসী।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ির সড়কের বিবিরহাট বাসস্টেশনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদরের বিবিরহাট বাজার থেকে উত্তর ধুরুং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে যাওয়া সড়কটিতে খানাখন্দে ভরা। ইটের সলিং উঠে পায়ে হাঁটাও কষ্ট হয়ে পড়েছে। ঝাঁকুনিতে রিকশার যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বোরহান উদ্দিন শাহ মাজার গেট থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক দিয়ে গাড়ি চলা তো দূরে থাক, পায়ে হাঁটাও যায় না। 

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মারুফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘বহুবার কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেও এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই এলাকাবাসী তাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বিবিরহাট বাসস্টেশন এলাকায় মানববন্ধন করেন।’

আল-মদিনা মসজিদের খতিব হাফেজ জুবায়ের হোসেন বাবু বলেন, ‘দূরের কেউ এ গ্রামের মানুষের সঙ্গে আত্মীয়তা করতে চান না। কারণ ঘরবাড়ি দেখতে এসে সড়ক দেখে তারা আর আগ্রহ দেখান না। আমরা এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চাই।’ 

ফটিকছড়ি পৌরসভার বিএনপি নেতা আবদুল মাবুদ মুন্সী বলেন, ‘অতি দ্রুত এই রাস্তার সংস্কারকাজ শুরু করা হোক, যেন জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়।’

বরেন্দ্র অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কার্পাস তুলা চাষ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
বরেন্দ্র অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কার্পাস তুলা চাষ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের একটি তুলা খেত। ছবি: খবরের কাগজ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলের বরেন্দ্র অঞ্চলের তুলাগাছে ফুটে আছে সাদা ফুল। ছড়াচ্ছে মনজুড়ানো শুভ্রতা। কার্পাস তুলার খেত শুধু আনন্দই দিচ্ছে না, কৃষকের মুখে তৃপ্তির হাসিও ফুটিয়েছে।

ভালো ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকরা অনেক খুশি। উপজেলার কসবা ইউনিয়নের কাজলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘১৪ বছর থেকে তুলা চাষ করে আসছি। কারণ অন্য ফসলের চেয়ে তুলা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি।’

আখিলা গ্রামের বাইরুল ইসলাম বলেন, ‘আমগাছের মধ্যে তুলা চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছি। বিঘাপ্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ ফলন হয়। এর আনুমানিক মূল্য ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। সব খরচ বাদ দিলেও ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ কারণে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। গত বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি জমিতে বেড়েছে তুলা চাষ।’

রাজশাহী জোনের নাচোল ইউনিটের কটনিউটার অফিসার বিশ্বজিৎ বর্মণ জানান, বরেন্দ্রভূমির উঁচু জমি যেগুলোতে সেচ সুবিধা নেই বা কম ফসল হয়, সেসব জমিই তুলা চাষের উপযোগী। খরাপ্রবণ বরেন্দ্রভূমিতে সেচ ছাড়া বা কম সেচের ফসল চাষের উপযোগী। অন্যদিকে কোনো দুর্যোগের কবলে পড়ে না বললেই চলে। প্রচলিত অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক। তুলা বিক্রির জন্যও ক্রেতা খুঁজতে হয় না। বরং ক্রেতাই আসে চাষিদের দোরগোড়ায়। ফলে তুলা চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তুলা চাষ। তুলা চাষে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বাড়ানো হয়েছে প্রদর্শনী প্লটও।

ঢাকার হত্যাকাণ্ডে আসামি হলেন ফরিদপুরের ৫৯ ব্যবসায়ী

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
ঢাকার হত্যাকাণ্ডে আসামি হলেন ফরিদপুরের ৫৯ ব্যবসায়ী
ঢাকার বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্ট ঢাকার বাড্ডায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফরিদপুর সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী (২৯)। তবে ঢাকায় নিহত হলেও ২৯ আগস্ট ঢাকায় করা মামলায় ফরিদপুরের ৫৯ জনকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ, তারা নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

নিহতের বাবা শফিকুল জানান, লাবলু তার পরিচিত কেউ নয়। লাবলুর বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার খলিশাডুবি গ্রামে। লাবলু তার সঙ্গে কথা না বলেই তিনি বাড্ডা থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য শফিকুল গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন।

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সম্প্রতি ফরিদপুরের সদর উপজেলার শিবরামপুর এলাকার পাট ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ঘোষ দীপুকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন। পরে জামিন নিয়ে চিকিৎসা করাতে গত ১২ জানুয়ারি কলকাতা যান। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ মামলার অপর আসামি বিশ্বজিৎ ঘোষ দীপুর মেজো ভাই চঞ্চল ঘোষ বলেন, ‘আমরা কখনো কোনো রাজনীতি করিনি। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনা শেষ করে ব্যবসা শুরু করি। কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে বিরোধ ছিল। তারা বিভিন্ন সময় টাকা-পয়সা চাইত। আমরা না দেওয়ার কারণে বিরোধ তৈরি হয়। আর এ কারণে ঢাকার একটি হত্যা মামলায় আমাদের পরিবারের চার ভাইকেই আসামি করা হয়েছে।’

ফরিদপুরের ব্যবসায়ী রাম দত্ত বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন দোকানে ছিলাম। গণ্ডগোলের অবস্থা দেখে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। এই মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে। আমাদের ফোন চেক করে ট্র্যাকিং করলে সব বেরিয়ে আসবে।’

এই মামলার অপর আসামি বিধান সাহা বলেন, ‘আমি ঘটনার দিন বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। মামলায় আমাকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার পর দেশে অনেক দিন পলাতক ছিলাম। পরে দেশ ছেড়ে পরিবার-পরিজন ফেলে বিদেশে চলে এসেছি।’ 

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমি গত বছরের ৫ আগস্ট ফরিদপুরে ছিলাম। কিন্তু বাদী আমাকে আসামি করেছেন। আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মামলার সব কাগজপত্র পাঠিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এই মামলাটি বাড্ডা থানায় হয়েছে। বাড্ডা থানা ঘটনার তদন্ত করে দেখবে। আমরা শুধু এখানে মামলার আসামিদের নাম-ঠিকানাসহ সবকিছু অনুসন্ধান করে তাদের রিপোর্ট দেব। এ ছাড়া কোনোকিছুই আমাদের হাতে নেই। তবে এই মামলার আটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমার কাছে আপাতত কোনো তথ্য নেই।’