
ঢাকার ধামরাইয়ে ১৬ ইউনিয়নে ১৫-১৬টি গ্রামে পৌষ মেলা শুরু হয়েছে। একে সাকরাইন মেলা বা পৌষ সংক্রান্তি মেলাও বলা হয়। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ একে বুড়া-বুড়ির মেলাও বলে থাকেন।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ভোর থেকেই এই মেলা বসে। একে সাকরাইন উৎসব বলা হয়।
এ সব মেলায় সাধারণত ঘুড়ি ওড়ানো, মাটির তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি, মিষ্টি বিক্রি করার সাথে সাথে মুড়ি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বেলুন, বাশি, নারীদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সহ আকর্ষণীয় জিনিসপত্র বিক্রি করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার আইঙ্গন, কাকরান, দেপাশাই, কালামপুর, শ্রীরামপুর, বাসনা, বালিয়া, পৌরসভার যাত্রাবাড়ি মাঠ, হাজীপুর, সীতিপাল্লি, সানোড়া, বাড়িগাঁও, গোপালপুর, বারবারিয়া, রোয়াইল সহ বিভিন্ন জায়গায় এই মেলা বসে।
তবে কোথাও সকালে আবার কোথাও বিকেলে এই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। কোথাও কোথাও তিন দিনব্যাপী হয়ে থাকে এই মেলা।
কিন্তু শ্রীরামপুর মাঠে এই মেলা প্রায় মাসব্যাপী চলে। তবে এই দিনে হিন্দুদের পূজাও পালন করা হয়।
বাঙালি সংস্কৃতিতে পৌষ মাসের এই শেষ দিনটি উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হয়। প্রতিবারের মতো এবারও ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ মেলায় আসেন। মেলায় কুটিরশিল্পের সরঞ্জামসিহ নানা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে থাকেন দোকানিরা।
মুসলমানরাও বিভিন্ন প্রকার জিনিসপত্র বা খাদ্যসামগ্রীর দোকান দিয়ে থাকেন।
এ মেলার প্রধান আকর্ষণ ঘুড়ি উড়ানো।
রুহুল/নাবিল/