ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লেভেল ক্রসিংয়ে অবাধ চলাচল, বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৮ এএম
ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের লেভেল ক্রসিংয়ে অবাধ চলাচল, বাড়ছে দুর্ঘটনা
ফেনী শহরের বারাহীপুর এলাকার একটি লেভেল ক্রসিং পার হচ্ছে অটোরিকশা। ইনসেটে শহরের গোডাউন কোয়ার্টার রেলগেট এলাকার সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড। ছবি: খবরের কাগজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর ২৮ কিলোমিটারের অবৈধ লেভেল ক্রসিং দিয়ে অবাধে চলছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ। এসব অনুমোদনহীন ও রক্ষীবিহীন লেভেল ক্রসিং দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, ঝরছে প্রাণ।

ফেনীর মুহুরীগঞ্জ থেকে শর্শদি ইউনিয়নের পোস্ট (পিলার) পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ৩৫টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ২৩টি বৈধ আর ১২টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং আছে। এসব লেভেল ক্রসিংয়ে গত একবছরে প্রাণহানি হয়েছে ২২ জনের। এসব ঘটনার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতি আর অব্যবস্থাপনাকে দোষারোপ করছেন স্থানীয়রা। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, অবৈধ লেভেল ক্রসিং বন্ধে পদক্ষেপ নিলেও স্থানীয় প্রভাবশালীদের জন্য সেগুলো রক্ষা করা যাচ্ছে না।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শহরের গোড়ান কোয়ার্টার এলাকায় ট্রেন চলাচলের সময় দুই পাশে প্রতিবন্ধক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে উল্টোপথে ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, পথচারি, প্রাইভেট কারসহ অন্য পরিবহন চলাচল করছে। আর এতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে ও প্রাণহানি বাড়ছে।

এর আগে গত বছরের ৫ এপ্রিল ফাজিলপুর মুহুরীগঞ্জে একটি ট্রাক রেললাইনে ওঠে গেলে ট্রেন ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৬ জন নিহত হন। এ ঘটনায় গেটম্যানকে দায়ী করা হয়। অন্যদিকে গত বছরের ২৯ নভেম্বর ফেনী শহরের বারাহীপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে আবদুল্লাহ আল বাসেত নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

রেলওয়ে বিভাগের তথ্যমতে, ২৩টি বৈধ লেভেল ক্রসিংয়ে ৬৬ জন গেটম্যান প্রয়োজন হলেও রয়েছেন ৫৬ জন। অন্যদিকে ১২টি অবৈধ ক্রসিংয়ে কোনো গেটম্যান নেই। আছে শুধু রেল কর্তৃপক্ষের একটি সতর্কীকরণ চিহ্ন। সাময়িক পিলার দিয়ে বন্ধ করা হলেও প্রভাবশালীরা সেগুলো সরিয়ে দিয়ে আবার চলাচল শুরু করে। এসব অরক্ষিত অবৈধ ক্রসিংয়ের কারণেই প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।

সৌরভ নামে এক পথচারী জানান, ফেনীর রেলগেট এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ের প্রতিবন্ধক দেওয়ার পরও মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। এই লেভেল ক্রসিংয়ে একটি ওভারপাস বা আন্ডারপাস নির্মাণ করা হলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যেত। 

জুয়েল নামে অপর পথচারী জানান, মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে। অসাবধানতার কারণেই ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিও রয়েছে।

শহরের গোডাউন কোয়ার্টার এলাকার গেটম্যান আবদুল মতিন বলেন, ‘ট্রেন আসার আগে ব্যারিকেড দিয়ে ব্লক দেওয়ার পরেও মানুষ অন্য পাশ দিয়ে পারাপার হয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতার অভাব রয়েছে। মানুষ ব্যারিকেড ডিঙিয়ে পারাপার হয়। আমরা বাধা দিলে তেড়ে আসেন। এ জন্য অনেক সময় দেখেও না দেখার ভান করে দাঁড়িয়ে থাকি।’

অনুমোদনহীন এসব লেভেল ক্রসিং প্রসঙ্গে ফেনী রেল স্টেশনমাস্টার মো. হারুন বলেন, ‘রেলপথের পাশে বসতঘর থাকায় বিভিন্ন সময় অনুমোদনহীন ক্রসিং তৈরি করা হয়। ফলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’

বাংলাদেশ রেলওয়ে ফেনীর সহকারী প্রকৌশলী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ লেভেল ক্রসিং খুঁটি দিয়ে বন্ধ করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালীরা রাতের অন্ধকারে সেগুলো তুলে নিয়ে আবার চালু করে। ফলে অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলো বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া রেলওয়ের জনবলসংকটও রয়েছে।’

রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
রাজশাহীতে গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার, স্বামী পলাতক
প্রতীকী ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর একটি ভাড়া বাসা থেকে হেলেনা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূর অগ্নিদগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা রেললাইনের পাশের বস্তির ওই বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

নিহত হেলেনা আক্তার নগরীর নামো ভদ্রা রেল লাইন সংলগ্ন এলাকার নায়েক আলীর মেয়ে এবং আলমগীর হোসেন ওরফে রয়েলের স্ত্রী। পুলিশ ওই নারীর দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, হেলেনা রয়েলকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বস্তির এক কক্ষের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। এই বিয়ের পর থেকে পরিবারের সঙ্গে তার চলাচল ছিল না।

এদিকে হেলানাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার মা ও ভাই।

তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে জানান, শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতের কোনো এক সময় হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেনি।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে বস্তির এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া মরদেহ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। নিহতের ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর কিছু পোড়েনি।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হেলেনার আগের স্বামীর এক ছেলে আছে। সে একটি মাদরাসার আবাসিকে থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তারা থাকতেন তার পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা। এ রকম কোনো চিৎকার তিনি শোনেননি। হেলেনার মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পুলিশের কথা হয়েছে। তারা দাবি করছেন হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামীকে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহত হেলেনার স্বজনেরা যদি হত্যা মামলা করতে চাইলে মামলা নেওয়া হবে। তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।

মেহেদী/

বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা যুবদল নেতা মারা গেছেন
নিহত যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ায় পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত স্থানীয় যুবদল নেতা রাশেদ মাহমুদ চিকিসাধীন অবস্থায় শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মারা গেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত করা হলেও শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। রাশেদ হাসান সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদল আহ্বায়ক।  

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিলাদুন-নবী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই উপজেলা বিএনপি সভাপতি পল্লী চিকিৎসক এমএ হান্নান বাটালুর সঙ্গে বিরোধ চলছিল আরেক বিএনপি নেতা নেতা মাজেদুর রহমানে জুয়েলের সমর্থকদের। এ বিরোধের জেরে ৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পাকুল্লা এলাকায় রাশেদ হাসানের ওপর ১৫/২০ জন হামলা করে। গুরুতর আহত রাশেদ হাসানকে বগুড়ায় শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার তিনি মারা যান।

সোনাতলা উপজেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক মো. জিয়াউল হক লিপ্পন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কয়েকজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার জন্য মামলা দায়ের করা হবে। রাশেদকে হত্যার ঘটনায় পাকুল্লা ইউনিয়নে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় বিএনপি নেতা ও কর্মীরা অভিযোগ করে কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টি আগেই প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবিহিত করা হয় কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা দাবি করেন রাশেদ হাসানের বিরুদ্ধে অনৈতিকতার কোনো অভিযোগ নেই।

হাসিবুর রহমান বিলু/মাহফুজ

 

দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে দেড় হাজার টাকার জেরে একজনকে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধা ৭টায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের তালুকদার বাড়িতে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি গ্রাম্য সালিশের দেড় হাজার টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হাবীব তালুকদার (৬০) নামের একবৃদ্ধকে ওই এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতিকারীরা পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাত ১১ টার দিকে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে খবর পেয়ে দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুনায়েত চৌধুরীসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

ওসি জুনায়েত চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী মাকসুদা বেগম মাসু বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজহারনামীয় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।  

তিনি আরও বলেন, আজ শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।

গ্রেপ্তার এজহারনামীয় ২ নম্বর ও ৯ নম্বর আসামিরা হলেন- উপজেলার নয়ানগর গ্রামের চারু ভূঁইয়ার ছেলে মিজান ফকির (৫০) ও একই এলাকার বাবুল ছয়ালের ছেলে শিপন মিয়া (২৪)।

লিটন সরকার বাদল/মাহফুজ

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৪০

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় চট্টগ্রামে গ্রেপ্তার ৪০
গ্রেপ্তারদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ। এদের অধিকাংশই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নগর পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালায় নগরীর ১৬ থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তার ৪০ আসামির বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।

গ্রেপ্তার ৪০ জনের মধ্যে- মো. শাহফাজ মিয়া (৩৪), মো. আবুল কালাম (৫৮), কাজী সালাউদ্দিন লাভলু ওরফে সালাউদ্দিন (২৯), ইসতেশাম আলম দোভাষ ইশরাক (২১), মো. হাবিব উল্লাহ (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫), ও মো. শাহাদাত হোসেন জুয়েল (৩২) কে কোতোয়ালী থানা পুলিশ, তৌহিদুজ্জামান জয় (৩২), মো. ফারুক (৩৫) কে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ, মো. রবিউল হোসেন (২৬) কে চকবাজার থানা পুলিশ, হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. টিটু মাঝী (৪০), তোফাইল আজম তাশকার ওরফে আবিদ (২৪) ও মো. রফিক (৩৫) কে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

এদিকে ফয়সাল (২১), মো. শাকিল (২২), মো. রুবেল (২০) ও মো. ইব্রাহিম (২০) কে আকবরশাহ থানা পুলিশ, মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (৩৮) কে সদরঘাট থানা পুলিশ, মো. হৃদয় (২২), মো. রাব্বি (২৮), বিজ্ঞান কুমার নাথ (৫৬) ও মফিজ (৩২) কে হালিশহর থানা পুলিশ, মো. জাবেদ উদ্দিন (২১) ও মো. রেজাউল করিম (৩১) কে খুলশী থানা পুলিশ এবং আরমান মিয়া (২৭) ও লালন ফকির (২৮) কে ইপিজেড থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

তাছাড়া মো. রবিউল হাসান (১৭), পারভেজ (১৭), মো. ইউসুফ শান্ত (২৫) ও মো. সাদেক (৩৪) কে ডবলমুরিং মডেল থানা পুলিশ, মো. মুন্না (২০ কে পতেঙ্গা মডেল থানা পুলিশ, মো. নুর উদ্দিন (৪০) কে বন্দর থানা পুলিশ। আব্দুল মালেক বাবুল (৬৪), ও গোলজার বেগম রুবি (৫৫) কে পাহাড়তলী থানা পুলিশ, মো. নাছির উদ্দিন (৪০) কে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৮), সালাউদ্দিন রায়হান (২৫) ও মো. জুয়েল রানা (৩৪) কে বাকলিয়া থানা পুলিশ এবং সরোয়ার আলম বাপ্পি(৩৭) কে কর্ণফুলী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

মাহফুজ

সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
সাড়ে ৭ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি
নাফ নদী

প্রায় সাড়ে ৭ বছর পর কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ ধরার অনুমতি দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। তবে এ ক্ষেত্রে মানতে হবে পাঁচটি শর্ত।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের সিভিল স্যুট শাখা থেকে জারি করা এক পত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। দীর্ঘদিন পর মাছ ধরার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় জেলেরা। 

জেলা প্রশাসনের পত্রে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর হাইকোর্টের জারি করা রুলনিশিতে নাফ নদীতে জেলেদের বৈধভাবে মাছ ধরার কার্যক্রম চালু করতে জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে শর্তসাপেক্ষে নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

আরোপিত শর্তগুলো হলো- সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে নাফ নদীতে শাহপরীর দ্বীপ হতে টেকনাফ জেটিঘাট পর্যন্ত মাছ ধরতে পারবে। জেলেরা মাছ ধরতে যাওয়ার সময় বিজিবির পাঁচটি নির্ধারিত চেকপোস্টে টোকেন/পরিচয়পত্র দেখাবে এবং মাছ ধরা শেষে ফেরত আসার পর বিজিবির পোস্টে তল্লাশী করার ব্যাপারে বিজিবি সদস্যকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে। কোনো জেলে চেকপোস্টে না জানিয়ে মাছ ধরতে পারবে না।

কোনোক্রমে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। মৎস্য অধিদপ্তরের হালনাগাদকৃত নিবন্ধিত জেলেদের তালিকা বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করা যেতে পারে। যাতে কোনোক্রমে নিবন্ধিত জেলে ব্যতীত কেউ নাফ নদীতে মাছ ধরতে না পারে। এই অনুমোদন সম্পূর্ণ সাময়িক। তিন মাস পর সীমান্তের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ অনুমতি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্ত করেছে নাফ নদী। মাদকের চোরাচালান ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ইস্যুতে ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট থেকে নাফ নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।

মো. শাহীন/মাহফুজ